কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার প্রাগপুর ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী পাকুড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক সহ দুজনের বিরুদ্ধে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ৪ টি পদে নিয়োগ দিয়ে মোটা অংকের টাকা নিয়োগ বানিজ্য করার জন্য তড়িঘড়ি করে পত্রিকার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বিদ্যালয়ের ম্যানিজিং কমিটির একজন দাতা সদস্য শহিদুল ইসলামের স্ত্রী রেবেকা পারভীন (৫৬) সে নির্বাচিত না হয়ে অনিয়মের মধ্য দিয়ে দাতা সদস্য হয়ে আসছে। চলমান নির্বাচিত ম্যানিজিং কমিটি গঠনে পুনরায় দাতা সদস্য নির্বাচিত করতে গেলে এলাকাবাসীর তীব্র আপত্তি থাকা সত্ত্বেও তাকে পূনরায় দাতা সদস্য করা হয়।
এই ঘটনায় কমিটির মধ্যে চরম ক্ষোভ সৃষ্টি হয় । তারা বলেন সে নির্বাচিত না, কি ভাবে কমিটির দাতা সদস্য হতে পারে, এ নিয়ে কমিটির মধ্যে তুমুল উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এবং কমিটির মধ্য থেকে এক অভিভাবক সদস্য আশারাফুজ্জামান ও গোলাম মোস্তফা বাদী হয়ে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় দৌলতপুর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে দেওয়ানী মামলা দায়ের করেন।
যাহার নাম্বার নং ২৩৮/২০২২ ইং তারিখ। মামলার অভিযোগে সে কি ভাবে সদস্য না হয়ে কমিটির কর্মকান্ডে পরিচালিত করে সেটা জবাব দেওয়ার জন্য সভাপতি জয়নাল আবেদন ও প্রধান শিক্ষক সাইফুল ইসলাম কে আদালতে হাজির হয়ে উপস্থাপন করতে বলেছেন এবং এ মামলা চলাকালীন সময়ে কোন প্রকারের নিয়োগ সহ আর্থিক কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকতে বলেছেন ।
বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশনা থাকলেও সেটা উপেক্ষা করে অর্থ লোভী সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকসহ দুইজনের জোগ সাজোসে আদালতে চলমান আদেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে গত ১ এপ্রিল ২০২৪ ইং তারিখে কুষ্টিয়া থেকে প্রকাশিত স্থানীয় দৈনিক কুষ্টিয়ার খবর ও মানবকন্ঠ পত্রিকায় বিদ্যালয়ের ১ জন অফিস সহকারী, ১ জন অফিস সহায়ক, ১ জন নৈশ প্রহরি, ১ জন আয়া নিয়োগ দেওয়া হবে বলে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে । বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হওয়ার পর তাদের মোটা টাকা বাণিজ্যের জন্য পছন্দের প্রার্থীদের দরখাস্ত আহ্বান করেছন।
হয়তো দরখাস্ত যাচাই বাছাই, ডিজির প্রতিনিধি নিয়োগের কাজ শেষ হলে তাদের কোথাও গোপনে পরীক্ষা নিয়ে নিয়োগ দেওয়া হবে বলে মনে করা হচ্ছে। বিজ্ঞ আদালত ত্রুটি পণ্য কমিটির সমাধান না করে পূর্ণাঙ্গ কমিটির হাতে এ সমস্ত নিয়োগ না হওয়ার জন্য অধীর আগ্রহে রয়েছেন এলাকাবাসী । কিন্তু এ বিজ্ঞপ্তিতে ত্রুটিপূর্ণ কমিটি নিয়োগ দিলে এলাকায় চরম উত্তেজনা ও রক্তাক্তের আশঙ্কা রয়েছে।
এই ঘটনায় স্থানী সাংবাদিকরা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জনাব শফিউল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন বিজ্ঞ আদালতে মামলা আছে কি না আমার জানা নাই, তবে বিজ্ঞপ্তিতে নিয়োগে কোন সমস্যা হবে না। বিজ্ঞ আদালতের প্রতিশ্রদ্ধা রেখে এই নিয়োগ বানিজ্য কার্যক্রম বন্ধের দাবিতে সু বিচার কামনা করছেন এলাকাবাসী।
প্রিন্ট