ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার সাতৈর ইউনিয়নের মজুরদিয়া ঘাট এলাকায় কুমার নদে আড়াআড়ি বাঁধ দিয়ে মাছ শিকারের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় স্থানীয় মৎস্যজীবিদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। উন্মুক্ত নদে বাঁধ দিয়ে মাছ শিকার নিষিদ্ধ হলেও সেটা চালিয়ে যাচ্ছেন ওই এলাকার নাজিমুদ্দিনসহ কয়েকজন প্রভাবশালী মহল।
শনিবার সকালে সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, সারাবছর জুড়ে কুমার নদে জাল দিয়ে মাছ শিকার করে তা বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন এ অঞ্চলের কয়েকশ মৎস্যজীবি। কুমার নদের মজুরদিয়া ঘাট এলাকায় এপার থেকে ওপার পর্যন্ত বানা ও বাঁশের বেড়া দিয়ে বাঁধ তৈরী করে দীর্ঘদিন ধরে মাছ শিকার করা হচ্ছে। এ নিয়ে স্থানীয় মৎসজীবিদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হলেও প্রভাবশালী হওয়ায় কেউই নাজিমুদ্দিনের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস পাইনা।
স্থানীয় কয়েকজন মৎস্যজীবি নামপ্রকাশ না করার শর্তে বলেন, নদ-নদীতে বাঁধ নির্মাণ করে মাছ শিকার করা দন্ডনীয় অপরাধ হলেও প্রভাবশালী মহলটি তা করে যাচ্ছে অবলীলায়। নদে বাঁধ দেওয়ার কারণে তারা মাছ শিকার করতে পারছেন না বলে মৎস্যচাষীরা জানান।
স্থানীয় বাসিন্দা এনামুল হক ও ফোরকান মিয়া জানান, কুমার নদের মাঝে বাঁধ দেওয়ায় মাছের অবাধ চলাচল ও প্রজনন বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। বাঁধ দিয়ে ডিমওয়ালা মাছ নিধন করায় মাছের সংকট তৈরী হচ্ছে। চোখের সামনে এ ধরনের অপরাধমূলক কর্মকান্ড মেনে নেওয়া যায় না। বাঁধ অপসারণে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে মৎস্যজীবি ও এলাকাবাসী।
বুধবার বিকেলে এ ব্যাপারে বোয়ালমারী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা রুহুল আমিন বলেন, আমি সরেজমিনে অবস্থান করছি। কিছুক্ষণের মধ্যেই কুমার নদের বাঁধ অপসারণ করা হবে।
প্রিন্ট