ঢাকা , রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫, ১৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo আন্তর্জাতিক ক্লিন এনার্জি দিবস উপলক্ষে ফরিদপুরে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত Logo দুইশ বছর পরেও স্মরণ করার মানে হচ্ছে প্রশ্নাতীতভাবে ‘মাইকেল মধুসূদন অমর’ Logo ফরিদপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী Logo তানোরের কৃষ্ণপুর স্কুল শিক্ষা বিস্তারে ভুমিকা রাখছে Logo পাবনা মিছিল করতে গিয়ে ছাত্রলীগের সভাপতিসহ গ্রেপ্তার ৫ Logo কুমারখালীতে দেড়শ রক্তদাতাকে সম্মাননা প্রদান করলো ইয়থ ডেভলপমেন্ট ফোরাম Logo আমিরাতের ৫২ জন সিআইপিকে সম্মাননা প্রদান Logo গুঁজিশহর মেলা বাণিজ্যের অর্থ নয়ছয় দুদুকের হস্তক্ষেপ কামনা Logo নাটোরে মিষ্টিতে ভ্যাট না কমালে আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির Logo বড়াইগ্রামে লালন স্মরণ উৎসব অনুষ্ঠিত
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

রংপুরে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ

খননের সময় মিলল মানুষের হাড়

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট টাইম : ১১:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ নভেম্বর ২০২০
  • ২৬৫ বার পঠিত

মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের জন্য খননের সময় রংপুর টাউন হল বধ্যভূমিতে মানুষের হাড়-দাঁতের অংশ পাওয়া গেছে। মহান মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর ব্যবহৃত টাউন হল টর্চার সেলের পাশের বধ্যভূমি থেকে সোমবার এগুলো পাওয়া যায়।

এ খবর ছড়িয়ে পড়লে সাংবাদিকসহ সাধারণ মানুষ ছুটে যান টাউন হল বধ্যভূমি চত্বরে। পরে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও বধ্যভূমি এলাকা পরিদর্শন করেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার সকালে ওই বধ্যভূমিতে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ কাজের জন্য শ্রমিকরা মাটি খুঁড়লে এসব হাড়গোড় বের হয়।

স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা ও খনন কাজে নিয়োজিত শ্রমিকরা জানান, মাটিতে ভরাট হওয়া কুয়ার উপরিভাগ কেবল খোঁড়া হয়েছে। পুরো কুয়া খুঁড়লে মুক্তিযুদ্ধকালীন নির্যাতনের শিকার হয়ে মারা যাওয়া মানুষের আরও হাড়গোড় পাওয়া যেতে পারে।

বধ্যভূমি পরিদর্শনে এসে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির রংপুর সভাপতি ডা. মফিজুল ইসলাম মান্টু বলেন, এক বিশাল খবর। বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মারক এই টাউন হল বধ্যভূমি। পাকিস্তান হানাদার বাহিনী টাউন হলে টর্চার সেল হিসেবে ব্যবহার করেছিল। মুক্তিকামী বাঙালি, মুক্তিযোদ্ধা ও নিরীহ মানুষদের ধরে এনে টর্চার সেলে নির্যাতন ও হত্যা করেছিল। মা-বোনদের ইজ্জত লুটসহ তাদের হত্যা করে ফেলে দেয়া হয়েছিল টাউন হলের পাশের কুয়ার ভেতর। এ ইতিহাসের কথা এতদিন আমরা সবাই বলছিলাম। হায়েনাদের হাতে নিহত মানুষের আজ হাড়গোড় মিলেছে। আমরা মুক্তিযুদ্ধের মহান ইতিহাস সংরক্ষণ করে অমরগাথা ও স্মারক চিহ্ন জীবন্ত রাখতে চাই।

এদিকে বিষয়টি জানাজানি হলে কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাদত হোসেন, সুজনের জেলা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর হোসেনসহ বিভিন্ন প্রগতিশীল ও মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের চেতনার সংস্কৃতিকর্মী ও সংগঠকরা বধ্যভূমি পরিদর্শনে আসেন।

সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ১৬ নভেম্বর ওই স্থানে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করা হয়। ঐতিহাসিক টাউন হল ও আশপাশের সৌন্দর্যবর্ধন বৃদ্ধিসহ মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত বধ্যভূমিটি সংরক্ষণে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করছে রংপুর জেলা প্রশাসন। বধ্যভূমিতে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ ও সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ আগামী বছরের জুনে শেষ হবে। এর নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৪ লাখ টাকা।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

আন্তর্জাতিক ক্লিন এনার্জি দিবস উপলক্ষে ফরিদপুরে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

error: Content is protected !!

রংপুরে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ

খননের সময় মিলল মানুষের হাড়

আপডেট টাইম : ১১:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ নভেম্বর ২০২০
ডেস্ক রিপোর্ট :

মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের জন্য খননের সময় রংপুর টাউন হল বধ্যভূমিতে মানুষের হাড়-দাঁতের অংশ পাওয়া গেছে। মহান মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর ব্যবহৃত টাউন হল টর্চার সেলের পাশের বধ্যভূমি থেকে সোমবার এগুলো পাওয়া যায়।

এ খবর ছড়িয়ে পড়লে সাংবাদিকসহ সাধারণ মানুষ ছুটে যান টাউন হল বধ্যভূমি চত্বরে। পরে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও বধ্যভূমি এলাকা পরিদর্শন করেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার সকালে ওই বধ্যভূমিতে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ কাজের জন্য শ্রমিকরা মাটি খুঁড়লে এসব হাড়গোড় বের হয়।

স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা ও খনন কাজে নিয়োজিত শ্রমিকরা জানান, মাটিতে ভরাট হওয়া কুয়ার উপরিভাগ কেবল খোঁড়া হয়েছে। পুরো কুয়া খুঁড়লে মুক্তিযুদ্ধকালীন নির্যাতনের শিকার হয়ে মারা যাওয়া মানুষের আরও হাড়গোড় পাওয়া যেতে পারে।

বধ্যভূমি পরিদর্শনে এসে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির রংপুর সভাপতি ডা. মফিজুল ইসলাম মান্টু বলেন, এক বিশাল খবর। বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মারক এই টাউন হল বধ্যভূমি। পাকিস্তান হানাদার বাহিনী টাউন হলে টর্চার সেল হিসেবে ব্যবহার করেছিল। মুক্তিকামী বাঙালি, মুক্তিযোদ্ধা ও নিরীহ মানুষদের ধরে এনে টর্চার সেলে নির্যাতন ও হত্যা করেছিল। মা-বোনদের ইজ্জত লুটসহ তাদের হত্যা করে ফেলে দেয়া হয়েছিল টাউন হলের পাশের কুয়ার ভেতর। এ ইতিহাসের কথা এতদিন আমরা সবাই বলছিলাম। হায়েনাদের হাতে নিহত মানুষের আজ হাড়গোড় মিলেছে। আমরা মুক্তিযুদ্ধের মহান ইতিহাস সংরক্ষণ করে অমরগাথা ও স্মারক চিহ্ন জীবন্ত রাখতে চাই।

এদিকে বিষয়টি জানাজানি হলে কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাদত হোসেন, সুজনের জেলা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর হোসেনসহ বিভিন্ন প্রগতিশীল ও মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের চেতনার সংস্কৃতিকর্মী ও সংগঠকরা বধ্যভূমি পরিদর্শনে আসেন।

সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ১৬ নভেম্বর ওই স্থানে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করা হয়। ঐতিহাসিক টাউন হল ও আশপাশের সৌন্দর্যবর্ধন বৃদ্ধিসহ মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত বধ্যভূমিটি সংরক্ষণে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করছে রংপুর জেলা প্রশাসন। বধ্যভূমিতে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ ও সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ আগামী বছরের জুনে শেষ হবে। এর নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৪ লাখ টাকা।


প্রিন্ট