ঢাকা , রবিবার, ০১ জুন ২০২৫, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo বৈষম্যবিরোধী নেত্রীর উপর হামলাঃ নগরকান্দা থানার ওসি স্ট্যান্ড রিলিজ Logo নাটোরের বাগাতিপাড়ায় চাঁদা না দেওয়ায় হামলা চালিয়ে নিয়োগ পরীক্ষা পন্ড, তিনজন আটক Logo দাম কমলো অকটেন, পেট্রোল ও ডিজেলেরঃ বেড়েছে কেরোসিনের Logo দৌলতপুরে পুষ্টি সপ্তাহ উদযাপনে সভা অনুষ্ঠিত Logo কিশোর-তরুণদের রক্ষায় পাবলিক প্লেসে ধূমপাণ নয় Logo রংপুরে ছাত্রশিবিরের হেল্প ডেস্কে হামলা, আটক ১ Logo ১০ কেজি গাঁজাসহ ২ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার Logo মাদারীপুরে বিদ্যালয়গুলোতে চলছে রমরমা প্রাইভেট পড়ানোর বাণিজ্য Logo দৌলতপুর সীমান্ত দিয়ে ৯ বাংলাদেশিকে পুশ-ইন, বিজিবির প্রতিবাদ Logo জেলা ক্রীড়া অফিস ফরিদপুর কর্তৃক সাঁতার প্রশিক্ষণের সমাপনী ও সনদ বিতরণী অনুষ্ঠিত
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাগাতিপাড়ার জয়ের বাড়িতে নেই ঈদ আনন্দ

সোমালি জলদস্যুদের হাতে জিম্মি নাটোরের বাগাতিপাড়ার জয় মাহমুদের পরিবারে ঈদের আনন্দ নেই। নেই ঈদের কেনাকাটা। ঈদ উদযাপনের প্রস্তুতিও নেই। নিরানন্দে পরিণত হয়েছে তাদের ঈদ।

জিম্মির খবরের পর থেকেই জয়ের বাবা-মা নিরবে অশ্রু বিসর্জন করে চলেছেন। দস্যুদের হাতে ছেলেকে আটক রেখে কিভাবে ঈদের আনন্দ করবেন এমন প্রশ্ন বাবা-মায়ের মনে তাড়া করে বেড়াচ্ছে। ছেলের মুক্তির খবর ছাড়া তাদের যেন কোনো ঈদ নেই। তাকে ফিরে পাওয়ার আশায় দিন গুনছে পরিবার।

সোমবার জয়ের বাড়িতে গিয়ে কথা হয় পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে। কান্নাজড়িত কণ্ঠে বাবা জিয়াউর রহমান বলেন, ‘আমার বুকের মানিক জলদস্যুদের হাতে বন্দি। তাকে বিপদে রেখে আমরা কিভাবে ঈদ করব? আমার ছেলের কত আশা ছিল এ ঈদকে ঘিরে। ভাগ্যের কী পরিহাস, ছেলে আমার হাজার হাজার মাইল দূরে জলদস্যুদের হাতে জিম্মি হয়ে আছে। কবে মুক্তি পাবে আমার ছেলে।’
জয়ের মা রোজিনা বেগম বলেন, ‘ছেলের সুস্থতা আর নিরাপদে ফিরে আসার অপেক্ষা করছি আমরা। তাড়াতাড়ি আমার বুকের মানিক বুকে ফিরে আসুক, সেই কামনা করছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘ছেলেকে দ্রুত ফিরে পেতে চাই আমরা। সরকার যেন দ্রুত আমার ছেলেসহ অন্যদের দেশে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেয়, সেই দাবি ও অনুরোধ করছি। ’

জয়ের চাচাতো ভাই মারুফ বলেন, অপহরণের পর থেকে পরিবারের সদস্যরা তার ফেরার দিকে চেয়ে আছেন। ঈদের আগেই সরকার বা জাহাজ মালিকদের পক্ষ থেকে সুসংবাদের অপেক্ষায় জয়ের মা-বাবাসহ স্বজনরা।

সোমালি জলদস্যুদের হাতে ভারত মহাসাগর থেকে জিম্মি হন বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহর ২৩ জন নাবিক। তাদের মধ্যে আছেন বাগাতিপাড়া উপজেলার সালাইনগর দক্ষিণপাড়া গ্রামের জিয়াউর রহমান-রোজিনা বেগম দম্পতির বড় সন্তান জয় মাহমুদ।

প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

বৈষম্যবিরোধী নেত্রীর উপর হামলাঃ নগরকান্দা থানার ওসি স্ট্যান্ড রিলিজ

error: Content is protected !!

জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাগাতিপাড়ার জয়ের বাড়িতে নেই ঈদ আনন্দ

আপডেট টাইম : ০৯:৫৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ এপ্রিল ২০২৪
মোঃ আনিসুর রহমান, বাগাতিপাড়া, (নাটোর) প্রতিনিধি :
সোমালি জলদস্যুদের হাতে জিম্মি নাটোরের বাগাতিপাড়ার জয় মাহমুদের পরিবারে ঈদের আনন্দ নেই। নেই ঈদের কেনাকাটা। ঈদ উদযাপনের প্রস্তুতিও নেই। নিরানন্দে পরিণত হয়েছে তাদের ঈদ।

জিম্মির খবরের পর থেকেই জয়ের বাবা-মা নিরবে অশ্রু বিসর্জন করে চলেছেন। দস্যুদের হাতে ছেলেকে আটক রেখে কিভাবে ঈদের আনন্দ করবেন এমন প্রশ্ন বাবা-মায়ের মনে তাড়া করে বেড়াচ্ছে। ছেলের মুক্তির খবর ছাড়া তাদের যেন কোনো ঈদ নেই। তাকে ফিরে পাওয়ার আশায় দিন গুনছে পরিবার।

সোমবার জয়ের বাড়িতে গিয়ে কথা হয় পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে। কান্নাজড়িত কণ্ঠে বাবা জিয়াউর রহমান বলেন, ‘আমার বুকের মানিক জলদস্যুদের হাতে বন্দি। তাকে বিপদে রেখে আমরা কিভাবে ঈদ করব? আমার ছেলের কত আশা ছিল এ ঈদকে ঘিরে। ভাগ্যের কী পরিহাস, ছেলে আমার হাজার হাজার মাইল দূরে জলদস্যুদের হাতে জিম্মি হয়ে আছে। কবে মুক্তি পাবে আমার ছেলে।’
জয়ের মা রোজিনা বেগম বলেন, ‘ছেলের সুস্থতা আর নিরাপদে ফিরে আসার অপেক্ষা করছি আমরা। তাড়াতাড়ি আমার বুকের মানিক বুকে ফিরে আসুক, সেই কামনা করছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘ছেলেকে দ্রুত ফিরে পেতে চাই আমরা। সরকার যেন দ্রুত আমার ছেলেসহ অন্যদের দেশে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেয়, সেই দাবি ও অনুরোধ করছি। ’

জয়ের চাচাতো ভাই মারুফ বলেন, অপহরণের পর থেকে পরিবারের সদস্যরা তার ফেরার দিকে চেয়ে আছেন। ঈদের আগেই সরকার বা জাহাজ মালিকদের পক্ষ থেকে সুসংবাদের অপেক্ষায় জয়ের মা-বাবাসহ স্বজনরা।

সোমালি জলদস্যুদের হাতে ভারত মহাসাগর থেকে জিম্মি হন বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহর ২৩ জন নাবিক। তাদের মধ্যে আছেন বাগাতিপাড়া উপজেলার সালাইনগর দক্ষিণপাড়া গ্রামের জিয়াউর রহমান-রোজিনা বেগম দম্পতির বড় সন্তান জয় মাহমুদ।

প্রিন্ট