ঢাকা , শনিবার, ১৭ মে ২০২৫, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo বালিয়াকান্দিতে ট্রেনে কাটা পড়ে যুবক নিহত Logo শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা: হিটু শেখের মৃত্যুদণ্ড, খালাস ৩ Logo সংযুক্ত আরব আমিরাতে আ.লীগ নেতাদের সম্পদের পাহাড়, টাকা ফেরত দিতে ইতিবাচক সাড়া Logo ১০ লাখ ফিলিস্তিনিকে লিবিয়ায় পাঠাতে চায় যুক্তরাষ্ট্র Logo ছাড়া পেয়ে সাংবাদিকদের যা বললেন উপদেষ্টার মাথায় বোতল ছুড়ে মারা সেই শিক্ষার্থী Logo গোমস্তাপুরে বজ্রপাতে এক কৃষকের মৃত্যু Logo সড়ক দুর্ঘটনায় আহত সাংবাদিক ‌ সিরাজুল ইসলাম সিরাজ Logo কিশোর গ্যাংদের কোপে দুই কিশোর নিহতের ঘটনার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল Logo ৪০ রোহিঙ্গাকে সমুদ্রে ফেলে দিয়েছে ভারত! Logo মঙ্গলকোট থানার লাখুড়িয়ায় শান্তির খোঁজে বসছে স্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাগাতিপাড়ার জয়ের বাড়িতে নেই ঈদ আনন্দ

সোমালি জলদস্যুদের হাতে জিম্মি নাটোরের বাগাতিপাড়ার জয় মাহমুদের পরিবারে ঈদের আনন্দ নেই। নেই ঈদের কেনাকাটা। ঈদ উদযাপনের প্রস্তুতিও নেই। নিরানন্দে পরিণত হয়েছে তাদের ঈদ।

জিম্মির খবরের পর থেকেই জয়ের বাবা-মা নিরবে অশ্রু বিসর্জন করে চলেছেন। দস্যুদের হাতে ছেলেকে আটক রেখে কিভাবে ঈদের আনন্দ করবেন এমন প্রশ্ন বাবা-মায়ের মনে তাড়া করে বেড়াচ্ছে। ছেলের মুক্তির খবর ছাড়া তাদের যেন কোনো ঈদ নেই। তাকে ফিরে পাওয়ার আশায় দিন গুনছে পরিবার।

সোমবার জয়ের বাড়িতে গিয়ে কথা হয় পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে। কান্নাজড়িত কণ্ঠে বাবা জিয়াউর রহমান বলেন, ‘আমার বুকের মানিক জলদস্যুদের হাতে বন্দি। তাকে বিপদে রেখে আমরা কিভাবে ঈদ করব? আমার ছেলের কত আশা ছিল এ ঈদকে ঘিরে। ভাগ্যের কী পরিহাস, ছেলে আমার হাজার হাজার মাইল দূরে জলদস্যুদের হাতে জিম্মি হয়ে আছে। কবে মুক্তি পাবে আমার ছেলে।’
জয়ের মা রোজিনা বেগম বলেন, ‘ছেলের সুস্থতা আর নিরাপদে ফিরে আসার অপেক্ষা করছি আমরা। তাড়াতাড়ি আমার বুকের মানিক বুকে ফিরে আসুক, সেই কামনা করছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘ছেলেকে দ্রুত ফিরে পেতে চাই আমরা। সরকার যেন দ্রুত আমার ছেলেসহ অন্যদের দেশে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেয়, সেই দাবি ও অনুরোধ করছি। ’

জয়ের চাচাতো ভাই মারুফ বলেন, অপহরণের পর থেকে পরিবারের সদস্যরা তার ফেরার দিকে চেয়ে আছেন। ঈদের আগেই সরকার বা জাহাজ মালিকদের পক্ষ থেকে সুসংবাদের অপেক্ষায় জয়ের মা-বাবাসহ স্বজনরা।

সোমালি জলদস্যুদের হাতে ভারত মহাসাগর থেকে জিম্মি হন বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহর ২৩ জন নাবিক। তাদের মধ্যে আছেন বাগাতিপাড়া উপজেলার সালাইনগর দক্ষিণপাড়া গ্রামের জিয়াউর রহমান-রোজিনা বেগম দম্পতির বড় সন্তান জয় মাহমুদ।

প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

বালিয়াকান্দিতে ট্রেনে কাটা পড়ে যুবক নিহত

error: Content is protected !!

জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাগাতিপাড়ার জয়ের বাড়িতে নেই ঈদ আনন্দ

আপডেট টাইম : ০৯:৫৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ এপ্রিল ২০২৪
মোঃ আনিসুর রহমান, বাগাতিপাড়া, (নাটোর) প্রতিনিধি :
সোমালি জলদস্যুদের হাতে জিম্মি নাটোরের বাগাতিপাড়ার জয় মাহমুদের পরিবারে ঈদের আনন্দ নেই। নেই ঈদের কেনাকাটা। ঈদ উদযাপনের প্রস্তুতিও নেই। নিরানন্দে পরিণত হয়েছে তাদের ঈদ।

জিম্মির খবরের পর থেকেই জয়ের বাবা-মা নিরবে অশ্রু বিসর্জন করে চলেছেন। দস্যুদের হাতে ছেলেকে আটক রেখে কিভাবে ঈদের আনন্দ করবেন এমন প্রশ্ন বাবা-মায়ের মনে তাড়া করে বেড়াচ্ছে। ছেলের মুক্তির খবর ছাড়া তাদের যেন কোনো ঈদ নেই। তাকে ফিরে পাওয়ার আশায় দিন গুনছে পরিবার।

সোমবার জয়ের বাড়িতে গিয়ে কথা হয় পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে। কান্নাজড়িত কণ্ঠে বাবা জিয়াউর রহমান বলেন, ‘আমার বুকের মানিক জলদস্যুদের হাতে বন্দি। তাকে বিপদে রেখে আমরা কিভাবে ঈদ করব? আমার ছেলের কত আশা ছিল এ ঈদকে ঘিরে। ভাগ্যের কী পরিহাস, ছেলে আমার হাজার হাজার মাইল দূরে জলদস্যুদের হাতে জিম্মি হয়ে আছে। কবে মুক্তি পাবে আমার ছেলে।’
জয়ের মা রোজিনা বেগম বলেন, ‘ছেলের সুস্থতা আর নিরাপদে ফিরে আসার অপেক্ষা করছি আমরা। তাড়াতাড়ি আমার বুকের মানিক বুকে ফিরে আসুক, সেই কামনা করছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘ছেলেকে দ্রুত ফিরে পেতে চাই আমরা। সরকার যেন দ্রুত আমার ছেলেসহ অন্যদের দেশে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেয়, সেই দাবি ও অনুরোধ করছি। ’

জয়ের চাচাতো ভাই মারুফ বলেন, অপহরণের পর থেকে পরিবারের সদস্যরা তার ফেরার দিকে চেয়ে আছেন। ঈদের আগেই সরকার বা জাহাজ মালিকদের পক্ষ থেকে সুসংবাদের অপেক্ষায় জয়ের মা-বাবাসহ স্বজনরা।

সোমালি জলদস্যুদের হাতে ভারত মহাসাগর থেকে জিম্মি হন বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহর ২৩ জন নাবিক। তাদের মধ্যে আছেন বাগাতিপাড়া উপজেলার সালাইনগর দক্ষিণপাড়া গ্রামের জিয়াউর রহমান-রোজিনা বেগম দম্পতির বড় সন্তান জয় মাহমুদ।

প্রিন্ট