ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার জাহাপুর ইউনিয়নের মুরারদিয়া গ্রামে সন্ত্রাসী হামলার ভয়ে বাড়িতে ফিরতে পারছে না পাঁচটি পরিবারের নারী ও শিশুসহ প্রায় ২৮ জন সদস্য। সম্প্রতি দুর্বৃত্তরা তাদের বাড়ি ঘরে হামলা চালিয়ে বাড়ি ছাড়া করে গবাদি পশু ও কৃষি পণ্যসহ মালামাল লুট করে নেয়। এরপর আজ বুধবার সকালে আপোষমিমাংসার নামে সভা ডেকে আবারো তাদের ভয়ভীতি দেখানো হয় বলে অভিযোগ করেন তারা।
জানা গেছে, বাড়ির উঠানে ধান শুকানোকে কেন্দ্র করে গত রোববার বিকেলে মুরারদিয়া গ্রামের রইস মোল্যা ও তাঁর আত্মিয়স্বজনদের বাড়িতে হামলা করে প্রতিপক্ষ রউফ মাতুব্বরের লোকেরা। তারা পরিবারের লোকদের ঘরের মধ্যে আটকে এসব পরিবারের ১১টি গরু, ১টি মোটর সাইকেল, স্বর্নালংকার, পেয়াজ, পেয়াজের দানা, ধান, চাল ও গৃহস্থালি মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। ঘরের বিভিন্ন মালামাল লুট করে। ৬ মাস আগেও একইভাবে তারা হামলা ও লুট করে বলে তারা অভিযোগ করেন।
এ ঘটনার পর হামলার শিকার পরিবারগুলো গ্রাম ছেড়ে ভয়ে পালিয়ে যান।
মঙ্গলবার ১৮ এপ্রিল এ ঘটনায় লিটন মোল্যা বাদি হয়ে মধুখালী থানায় দ্রুত বিচার আইনে একটি মামলা করেন। মামলায় রউফ মাতুব্বর ও সোহরাব মাতুব্বর সহ ১৯ জনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৫/৬ জনকে আসামী করা হয়। পুলিশ মামলার প্রধান আসামী রউফ মাতুব্বরকে গ্রেফতার করেছে। তবে লুট হওয়া গবাদি পশু ও মালামাল উদ্ধার হয়নি।
এদিকে বুধবার সকালে স্থানীয় এক রাজনৈতিক নেতার নেতৃত্বে মুরারদিয়া উত্তরপাড়া গাবতলা মোড়ে বিষয়টি নিয়ে একটি সভা হয়। এসময় মামলার একজন আসামীসহ রউফ মাতুব্বরের লোকেরা সেখানে উপস্থিত ছিলো। তারা উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে এবং গ্রামছাড়া এসব পরিবারকে ফিরলে আবারো হামলার হুমকি দেয় বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
মধুখালী থানার ওসি মোঃ শহিদুল ইসলাম বলেন, গত রোববারের ওই ঘটনার পর পুলিশ ওই এলাকায় কড়া নজরদারি রেখেছে। সেখানে কেউ কাউকে বাড়ি ফিরতে বাধা দিচ্ছে এমন কোন তথ্য জানা নেই। যাদের নামে মামলা নেই তাদের বাড়ি ফিরতে কোন বাধা নেই। মামলা দুটি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রিন্ট