ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

রাজবাড়ীতে তরমুজ খেয়ে একই পরিবারের চারজন হাসপাতালে ভর্তি

রাজবাড়ীতে তরমুজ খেয়ে চারজন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বলে দাবি স্বজনদের। তবে চিকিৎসক বলছেন, পরীক্ষার পরেই জানা যাবে প্রকৃত কারণ। সোমবার (২৫ মার্চ) দুপুরে ওই চারজন হাসপাতালে ভর্তি হন।
চার রোগী হলেন- রাজবাড়ী সদর উপজেলার বরাট ইউনিয়নের হাউলী জয়পুর গ্রামের আমজাদ হোসেন, তার ছেলে রুহুল আমিন, পুত্রবধূ রুপসী বেগম ও নাতনী রাজিয়া আক্তার।
চিকিৎসাধীন রুহুল আমিন জানান, শনিবার রাজবাড়ী সদর উপজেলার দাদশী বাজার থেকে একটি তরমুজ কিনে বাড়ি যান তিনি। ওইদিন ইফতারে অর্ধেক তরমুজ খান তারা। পরে রোববার তরমুজের বাকি অংশটুকু ইফতারের সময় খাওয়া হয়। এসময় পরিবারের পাঁচ সদস্যের মধ্যে চারজনই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে সোমবার সকালে তারা হাসপাতালে ভর্তি হন।
রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শেখ মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান জানান, অসুস্থদের হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। ডায়রিয়া কি কারনে হয়েছে তা পরীক্ষার পর জানা যাবে।
তিনি আরও বলেন, অনেক সময় ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত লাভের আশায় তরমুজে ফরমালিন, স্যাকারিন, দূষিত পানিসহ নানান ধরনের ক্ষতিকর কেমিক্যাল মেশায়। এতে করে তরমুজ পাকা এবং লাল দেখানোর জন্য এগুলো খুবই বিপজ্জনক আকারে ধারন করে। এছাড়াও ইনজেকশনের সিরিঞ্জের মাধ্যমে তরমুজের বোঁটা দিয়ে এসব দ্রব্য ঢুকিয়ে দিয়ে পাকা ও লাল টকটকে বলে বিক্রি করা হয়। এমন তরমুজ খেয়ে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে।
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

রাজবাড়ীতে তরমুজ খেয়ে একই পরিবারের চারজন হাসপাতালে ভর্তি

আপডেট টাইম : ০৮:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ মার্চ ২০২৪
রাজবাড়ীতে তরমুজ খেয়ে চারজন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বলে দাবি স্বজনদের। তবে চিকিৎসক বলছেন, পরীক্ষার পরেই জানা যাবে প্রকৃত কারণ। সোমবার (২৫ মার্চ) দুপুরে ওই চারজন হাসপাতালে ভর্তি হন।
চার রোগী হলেন- রাজবাড়ী সদর উপজেলার বরাট ইউনিয়নের হাউলী জয়পুর গ্রামের আমজাদ হোসেন, তার ছেলে রুহুল আমিন, পুত্রবধূ রুপসী বেগম ও নাতনী রাজিয়া আক্তার।
চিকিৎসাধীন রুহুল আমিন জানান, শনিবার রাজবাড়ী সদর উপজেলার দাদশী বাজার থেকে একটি তরমুজ কিনে বাড়ি যান তিনি। ওইদিন ইফতারে অর্ধেক তরমুজ খান তারা। পরে রোববার তরমুজের বাকি অংশটুকু ইফতারের সময় খাওয়া হয়। এসময় পরিবারের পাঁচ সদস্যের মধ্যে চারজনই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে সোমবার সকালে তারা হাসপাতালে ভর্তি হন।
রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শেখ মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান জানান, অসুস্থদের হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। ডায়রিয়া কি কারনে হয়েছে তা পরীক্ষার পর জানা যাবে।
তিনি আরও বলেন, অনেক সময় ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত লাভের আশায় তরমুজে ফরমালিন, স্যাকারিন, দূষিত পানিসহ নানান ধরনের ক্ষতিকর কেমিক্যাল মেশায়। এতে করে তরমুজ পাকা এবং লাল দেখানোর জন্য এগুলো খুবই বিপজ্জনক আকারে ধারন করে। এছাড়াও ইনজেকশনের সিরিঞ্জের মাধ্যমে তরমুজের বোঁটা দিয়ে এসব দ্রব্য ঢুকিয়ে দিয়ে পাকা ও লাল টকটকে বলে বিক্রি করা হয়। এমন তরমুজ খেয়ে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে।