ঢাকা , শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo বর্তমান সরকার ব্যর্থ হলে ছাত্র জনতার বিপ্লব ব্যর্থ হয়ে যাবেঃ -মাহবুবুল হাসান ভূঁইয়া পিংকু Logo লালপুরে বিএনপির মতবিনিময় ও কর্মীসভা অনুষ্ঠিত Logo ফরিদপুরে ৭ই ডিসেম্বর কর্মশালা সফল করার লক্ষ্যে ফরিদপুর বিভাগীয় বিএনপির প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত Logo তানোরে সার পচার, বিতরণে অনিয়ম, হট্টগোল ও মারপিট Logo ঝালকাঠির কাঠালিয়ায় কওমী মাদরাসা ঐক্য পরিষদের পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত Logo বাংলাদেশের নৃত্য দল ভারতে সাংস্কৃতিক উৎসবে অংশগ্রহণ করে Logo সুন্দরবন প্রেসক্লাবের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন Logo বাগাতিপাড়ায় স্ত্রীর পরকীয়ার অভিযোগে স্বামীর আত্মহত্যা ! Logo কালুখালীতে জামায়াতের কর্মী সমাবেশ Logo বাগাতিপাড়ায় জাটকা মাছ জব্দ করে দন্ড
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

বাংলাদেশ দূতাবাস লিসবনে ‘ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ দিবস’ পালিত

বাংলাদেশ দূতাবাস লিসবনে যথাযথ মর্যাদার সাথে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চের প্রদত্ত কালজয়ী ভাষণের স্মরণে “ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ” পালন করেছে।

“ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ” দিবসটি উপলক্ষ্যে দূতাবাসের মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে দূতবাসের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশীগণ অংশগ্রহণ করেন। দিবসটি উপলক্ষে সকালে চ্যান্সারি প্রাঙ্গনে রাষ্ট্রদূত রেজিনা আহমেদ দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারির উপস্থিতিতে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিবসটির কর্মসূচীর সূচনা করেন। বিকেলে আলোচনা সভার শুরুতে, রাষ্ট্রদূত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন এবং “ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ ” উপলক্ষ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়।

পরবর্তীতে দূতাবাসের কর্মকর্তা, কর্মচারীবৃন্দ এবং আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দের অংশগ্রহণে দিবসটি উপলক্ষ্যে এক মুক্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় যেখানে আলোচকবৃন্দ বাঙালি জাতির ইতিহাসে ঐতিহাসিক এই ভাষণের তাৎপর্য তুলে ধরেন। সমাপনী বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত রেজিনা আহমেদ, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে তিনি বলেন, “ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ” বাংলাদেশী জাতির জন্য একটি গর্বের দিন। ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ এর প্রেক্ষাপট তুলে ধরে তিনি উল্লেখ করেন যে, বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ তৎকালীন পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠী থেকে স্বাধীনতা ও অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনের সংগ্রামে সমগ্র জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিল।

 

রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ এর ভাষণে অনুপ্রাণিত হয়ে বাঙালি জাতি সশস্ত্র যুদ্ধের প্রস্তুতি শুরু করেছিল। লক্ষ লক্ষ মানুষের সামনে বঙ্গবন্ধুর দেওয়া ভাষণটি বাংলাদেশ ও তাঁর জনগণের ভাগ্য নির্ধারণ করেছিল সেদিন। সেই সাথে ৭ই মার্চের ভাষণ বিশ্বের ইতিহাসে প্রদত্ত অন্যতম সেরা ভাষণ। তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর অবিসংবাদিত নেতৃত্বের ক্যারিশমা এবং ৭ই মার্চের ভাষণে জনগণের অভূতপূর্ব সাড়া বিশ্বের ইতিহাসে বিরল যার ফলে ইউনেস্কো মানবজাতির প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে ‘মেমোরি অফ দ্য ওয়ার্ল্ড রেজিস্টারে’ উক্ত ভাষণকে অন্তর্ভুক্ত করে। তিনি প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে সকল প্রবাসীদের বৈধ পথে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স প্রেরণের জন্য আহবান করে।

 

 

আলোচনা সভাশেষে “ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ -এর ভাষণ” এর উপর নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
সবশেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারবর্গ, মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী সকল শহিদের আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশের প্রত্যাশায় বিশেষ দোয়া করা হয়।

 


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

বর্তমান সরকার ব্যর্থ হলে ছাত্র জনতার বিপ্লব ব্যর্থ হয়ে যাবেঃ -মাহবুবুল হাসান ভূঁইয়া পিংকু

error: Content is protected !!

বাংলাদেশ দূতাবাস লিসবনে ‘ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ দিবস’ পালিত

আপডেট টাইম : ০৮:০৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৮ মার্চ ২০২৪
কমরেড খোন্দকার, ইউরোপ ব্যুরো :

বাংলাদেশ দূতাবাস লিসবনে যথাযথ মর্যাদার সাথে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চের প্রদত্ত কালজয়ী ভাষণের স্মরণে “ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ” পালন করেছে।

“ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ” দিবসটি উপলক্ষ্যে দূতাবাসের মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে দূতবাসের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশীগণ অংশগ্রহণ করেন। দিবসটি উপলক্ষে সকালে চ্যান্সারি প্রাঙ্গনে রাষ্ট্রদূত রেজিনা আহমেদ দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারির উপস্থিতিতে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিবসটির কর্মসূচীর সূচনা করেন। বিকেলে আলোচনা সভার শুরুতে, রাষ্ট্রদূত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন এবং “ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ ” উপলক্ষ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়।

পরবর্তীতে দূতাবাসের কর্মকর্তা, কর্মচারীবৃন্দ এবং আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দের অংশগ্রহণে দিবসটি উপলক্ষ্যে এক মুক্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় যেখানে আলোচকবৃন্দ বাঙালি জাতির ইতিহাসে ঐতিহাসিক এই ভাষণের তাৎপর্য তুলে ধরেন। সমাপনী বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত রেজিনা আহমেদ, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে তিনি বলেন, “ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ” বাংলাদেশী জাতির জন্য একটি গর্বের দিন। ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ এর প্রেক্ষাপট তুলে ধরে তিনি উল্লেখ করেন যে, বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ তৎকালীন পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠী থেকে স্বাধীনতা ও অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনের সংগ্রামে সমগ্র জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিল।

 

রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ এর ভাষণে অনুপ্রাণিত হয়ে বাঙালি জাতি সশস্ত্র যুদ্ধের প্রস্তুতি শুরু করেছিল। লক্ষ লক্ষ মানুষের সামনে বঙ্গবন্ধুর দেওয়া ভাষণটি বাংলাদেশ ও তাঁর জনগণের ভাগ্য নির্ধারণ করেছিল সেদিন। সেই সাথে ৭ই মার্চের ভাষণ বিশ্বের ইতিহাসে প্রদত্ত অন্যতম সেরা ভাষণ। তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর অবিসংবাদিত নেতৃত্বের ক্যারিশমা এবং ৭ই মার্চের ভাষণে জনগণের অভূতপূর্ব সাড়া বিশ্বের ইতিহাসে বিরল যার ফলে ইউনেস্কো মানবজাতির প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে ‘মেমোরি অফ দ্য ওয়ার্ল্ড রেজিস্টারে’ উক্ত ভাষণকে অন্তর্ভুক্ত করে। তিনি প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে সকল প্রবাসীদের বৈধ পথে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স প্রেরণের জন্য আহবান করে।

 

 

আলোচনা সভাশেষে “ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ -এর ভাষণ” এর উপর নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
সবশেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারবর্গ, মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী সকল শহিদের আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশের প্রত্যাশায় বিশেষ দোয়া করা হয়।

 


প্রিন্ট