মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া থানা কৈজুরী গ্রামের বিবাহ বিচ্ছেদ অভিযোগ এনে গ্রাম্যসালিশে এক যুবকের এক লাখ টাকা জরিমানা, আরও এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করার ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনায় যুবকের মামা মোঃ হাসান আলী সরকার গত কয়দিন আগে মানিকগঞ্জ জেলা সাটুরিয়া থানায় স্থানীয় ইউপি মেম্বার মোঃ জসিম উদ্দীন (৪৫) সহ আরো কয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া থানার কৈজুরী গ্রামের পিতা মৃত মতিয়ার রহমান ছেলে মোঃ দরবেশ আলী (৪২) এর সহিত মোছা: কমলা বেগম এর বিবাহ বিচ্ছেদকে কেন্দ্র করিয়া ইং ০৫/০২/২০২৪ তারিখ রাত্র অনুমান ১১:০০ ঘটিকার সময় বিবাদীর বাড়ীতে উক্ত বিষয় নিয়া এক শালিশ বিচার বসে।উক্ত শালিশ বিচারে গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গগন মোহরানা এবং অন্যান্য বিষয়ে মোহাম্মদ দরবেশ আলী কে এক লক্ষ টাকা জরিমানা ধার্য্য করে। কিন্তু বিবাদী উক্ত শালিশ বিচার অমান্য করিয়া সে নিজে নিজেই এক তরফা ভাবে দুইলক্ষ টাকা দাবী করে। বৈঠকে নেতৃত্ব দেন ইউপি মেম্বার মোঃ জসিম উদ্দীন (৪৫) সহ আরো অনেকে।
এরপর জানা যায়, তার মামা মোঃ হাসান আলী সরকার এবং ভাগিনা মোহাম্মদ দরবেশ আলী প্রতিবাদ করিলে বিবাদী তাদেরকে গালিগালাজ করে। পরিশেষে বিবাদী উত্তেজিত হইয়া লোহার শাবল দ্বারা তাদেরকে মারপিট করিতে তেড়ে আসে। বিবাদীর ছেলে মো: আব্দুল আলীম ও পলাশ সরকার এর বুক পকেটে থাকা নগদ ২,০০,০০০/-টাকা বাহির করে গলায় থাকা তিন ভরি ওজনের স্বর্নের একটি চেইন যাহার মূল্য অনুমান ৩,৮০,০০০ টাকা টান দিয়া ছিড়ে নিয়া যায়। আশপাশ হইতে লোকজন ঘটনাস্থলে আসিয়া উক্ত ঘটনা দেখে শোনে। বিবাদী উপস্থিত লোক জনদের সম্মুখে প্রকাশ্যে আমাদের খুন প্রাণনাশের হুমকি দেয়।বিষয়টি জানাজানি হলে গ্রামের সাধারণ মানুষের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
এদিকে ঘটনার পর ছেলের মামা মোঃ হাসান আলী সরকার বাধ্য হয়ে কয়েকদিন আগে ইউপি মেম্বার মোঃ জসিম উদ্দিন সহ কয়েক জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন।
এ ব্যাপারে সাটুরিয়া থানার ওসি সফিকুল ইসলাম মোল্লা বলেন, এ ঘটনায় অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রিন্ট