রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরে নিয়োগবিধি সংশোধনসহ বেতন আপগ্রেডেশনের দাবীতে গত রবিবার (২৯.১১.২০) ৩য় দিনের মত কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করেছে স্বাস্থ্যসহকারীরা।
গত বৃহস্পতিবার (২৬.১১.২০) থেকে নিয়োগবিধি সংশোধনসহ বেতন আপগ্রেডেশনের দাবীতে কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করে আসছে স্বাস্থ্যসহকারীরা।
বাংলাদেশ স্বাস্থ্য বিভাগীয় পরিদর্শক সমিতি, বাংলাদেশ স্বাস্থ্য বিভাগীয় মাঠ কর্মচারী এসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ হেল্থ ইন্সপেক্টর সেক্টোরাল এসোসিয়েশনের সমন্বয়ে বাংলাদেশ হেল্থ এসিস্ট্যান্ট এসোসিয়েশনের ব্যানারে সকাল সাড়ে ৮টায় কর্মবিরতি কর্মসূচি শুরু করে বিকেল তিনটায় ৩য় দিনেরমত কর্মবিরতি কর্মসূচি শেষ হয়।
দাবী বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক নিগার সুলতানার সভাপতিত্বে কর্মবিরতি অনুষ্ঠানে দাবী বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব আরিফুল ইসলাম ও স্বাস্থ্যসহকারী নাজমা বেগম প্রমূখ বক্তব্য রাখেন। তারা বলেন, নিয়োগবিধি সংশোধনসহ বেতন বৈষম্য নিরসনের দাবীতে সারাদেশের ন্যায় পাংশা উপজেলাতে বাংলাদেশ হেল্থ এসিস্ট্যান্ট এসোসিয়েশনের ব্যানারে কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।
কর্মবিরতি চলাকালিন সময় টিকাদান কার্যক্রম বন্ধ করে স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্যসহকারীরা পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরে অবস্থান করেন।
নিয়োগ বিধি সংশোধনসহ ক্রমানুসারে স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য সহকারীদের বেতন গ্রেড ১৬ থেকে যথাক্রমে ১১, ১২ ও ১৩তম গ্রেডে উন্নীতকরণ দাবীর যৌক্তিকতা তুলে ধরে নিগার সুলতানা বলেন, কর্মবিরতি কর্মসূচি পালনের ফলে চলমান পাংশার ২৬৪টি অস্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রে টিকা প্রদান কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। আসন্ন ৫ ডিসেম্বর জাতীয় হাম-রুবেলা ক্যাম্পেইন-২০২০ কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার ঘোষণা দেন তারা।
আরিফুল ইসলাম বলেন, দাবী আদায়ের লক্ষ্যে আমরা একমাস আগে স্বাস্থ্যসহকারীদের পক্ষ থেকে দেশের সকল সিভিল সার্জনের মাধ্যমে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করি। কর্মবিরতি কর্মসূচিতে পাংশার ২৭জন স্বাস্থ্যসহকারী ও ৪জন সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক অংশগ্রহণ করেন। দাবী বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন অব্যাহত থাকবে বলে জানান তারা।
প্রিন্ট