ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার নাসিরাবাদ ইউনিয়নের বালিয়াহাটি গ্রামের একজন কৃষককে পিটিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার সকাল ১০টার সময় বাড়ির পাশে মহিউদ্দিন বেপারী কলোই ক্ষেতে কৃষক হাবিবুর রহমান বেপারী(৬০) লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। সে ঐ গ্রামের মৃত ইউনুস বেপারী পুত্র। নিহতের মাথায়, কানে, গলায় ও মুখে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসি ধারণা করছে, বাড়ির পাশে ১টি বাগানে দুর্বৃত্তরা হাবিবুর রহমানকে হত্যা করে চাদর দিয়ে মুড়িয়ে কলোই ক্ষেতে ফেলে যায়।
নিহতের ছেলে সোহাগ বেপারী জানান, আমার বাবা হাবিবুর রহমান বেপারী সন্ধ্যার পর ভাত খেয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে বাজারে যায়। রাত অনুমানিক ৯ টা ১০ টা হবে বাড়িতে না আসায় রাতভর অনেক খোঁজাখুঁজি করি এবং মসজিদের মাইকে মাইকিং করি। শনিবার সকাল ৯টার সময় বাড়ির পাশে মহিউদ্দিন বেপারী কলোই ক্ষেত থেকে আমার বাবার লাশ দেখতে পাই। তবে আমার বাবার বড় কোন শত্রু ছিল না। শুধু চাচাদের সাথে জমি নিয়ে একটু বিরোধ ছিল।
আমি আমার বাবার হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই।
এ ব্যাপারে নাসিরাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলমগীর খান জানান, আমি শুনেছি ৭ নং ওয়ার্ডের বালিয়াহাটি গ্রামের কারিকর পাড়া মৃত্যু ইউনুস বেপারী ছেলে হাবিবুর রহমান বেপারীকে কে বা কাহারা তাকে হত্যা করেছে । তার লাশ বাড়ির পাশের কলোই ক্ষেতে লাশ ফেলে গিয়েছে। এলাকাবাসী লাশ দেখে আমাকে খবর দেয়। পরে আমি ভাঙ্গা থানাকে অবহিত করি এবং পুলিশ এসে হাবিবুর রহমান লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
ভাঙ্গা থানার ওসি মামুনুর রশিদ জানান, সংবাদ পেয়ে আমি দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। নিহত কৃষক হাবিবুর রহমানের লাশ উদ্ধার করি। নিহতর শরীরে বেশ কয়েকটি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে পাশেই বাগানের তাকে হত্যা করে এরপর চাদর দিয়ে মুড়িয়ে কলোই ক্ষেতে ফেলে যায় দুর্বৃত্তরা। আমরা তদন্ত করছি, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ফরিদপুর মর্গে পাঠানো হয়েছে। স্বজনেরা অভিযোগ দিলে আশা করছি দ্রুত হত্যাকারীদের সনাক্ত করতে সক্ষম হব। ঘটনাস্থলে একাধিক টিম কাজ করছে। ঘটনাস্থল থেকে দুর্বৃত্তর এক জোড়া স্যান্ডেল পাওয়া গেছে।
প্রিন্ট