ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo ব্যাটারিচালিত রিক্সা ভ্যান মালিক সমিতির নেতাকর্মীদের সাথে চেয়ারম্যান প্রার্থী বিপুলের মতবিনিময় Logo সোনামসজিদ বন্দর দিয়ে ৬দিনে এলো ১২’শ মেট্রিক টন পেঁয়াজ Logo নাগরপুরে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী বিএনপি নেতা গোলাম বহিষ্কার Logo নড়াইলের জমজম রেস্টুরেন্টের উপর তলার নির্মাণাধীন ভবন থেকে ভিক্টোরিয়া কলেজ শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার Logo ভেড়ামারায় অগ্নিকাণ্ডে পানবরজ ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মাঝে সহায়তা প্রদান Logo ফরিদপুরে বান্ধব পল্লীতে প্রভু জগৎবন্ধু সুন্দরের ‌ ১৫৪ তম শুভ আবির্ভাব ‌ উৎসব পালন Logo ৫৬১ কোটি টাকার সার আত্মসাতে সাবেক এমপি পোটন সহ পাঁচজন কারাগারে Logo তানোরে কৃষি ভুর্তুকির মেশিন বিতরণে অনিয়ম Logo ভূরুঙ্গামারী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় বিএনপি নেতা বহিষ্কার Logo বাঘায় উদ্ধার করা দুই মোটরসাইকেল মালিককে খুঁজছে পুলিশ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

কাশিয়ানীতে কাঁচা রাস্তায় হাজারো কৃষকের দুর্ভোগ

একটি পাকা রাস্তার অভাবে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার রাতইল গ্রামে কয়েক হাজার কৃষকের অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।বেহাল রাস্তার কারণে কৃষকদের উৎপাদিত ফসল পরিবহনে দ্বিগুন খরচ হচ্ছে। ফলে কয়েকশ’ বিঘা ফসলি জমি অনাবাদী হয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। রাস্তাটি ইট সলিং করার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় কৃষকরা।

 

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার রাতইল ইটভাটা থেকে কাশিয়ানী-গোবরা রেলসড়ক পর্যন্ত মাত্র এক কিলোমিটার পায়ে হাটা রাস্তা দীর্ঘ দিন ধরে অবহেলিত।রাস্তাটি দিয়ে ওই এলাকার কয়েক হাজার কৃষক তাদের উৎপাদিত সরিষা, মসুর, খেসারী, বোরো ধান সহ বিভিন্ন রবি শস্য ভ্যান-নছিমন ও ঘোড়া-গরুর গাড়িতে পরিবহন করে থাকে। কিন্তু রাস্তাটি মেরামত ও ইটের সলিং না হওয়ায় জায়গায় জায়গায় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে ও অসমতল। বৃষ্টি হলে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয় কৃষকদের।কাঁদা মাড়িয়ে মাথায় করে ফসল ঘরে তুলতে হয়।

 

রাতইল গ্রামের কৃষক হাবিবুর রহমান মোল্যা বলেন,‘কৃষিপণ্য পরিবহনে রাস্তাটি অনেক গুরুত্বপর্ণ হলেও পাকা না হওয়ায় ফসল ঘরে তুলতে আমাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। অনেক জায়গায় গর্ত সৃষ্টিহয়েছে। বৃষ্টি হলে কর্দমাক্ত হয়ে পড়ে এবং বর্ষাকালে রাস্তাটি তলিয়ে যায়। রাস্তাটি পাকা হলে আমরা জমির ফসল বিভিন্ন যানবাহনে করে ঘরে তুলতে পারতাম।’

 

একই গ্রামের কৃষক লুৎফর রহমান বলেন, ‘শুষ্ক মৌসুমে ঘোড়ার গাড়ি ও ভ্যানে করে ফসল ঘরে তোলা যায়। কিন্তু বৃষ্টিতে গাড়ি চলাচল তো দূরের কথা, হেঁটেও চলাচল করা দায়। শ্রমিক দিয়ে মাথায় করে ফসল ঘরে তুলতে হয়। এতে আমাদের উৎপাদিত ফসলের পরিবহন খরচ বেড়ে যায়। ফলে আমাদের লোকসান হয়। রাস্তাটি সংস্কার বা পাকা হলে সহজেই যানবাহনে করে ফসল ঘরে তুলতে পারবো। তাই রাস্তাটি দ্রুত পাকা করার দাবি জানাই।’

 

ইউপি সদস্য মো. জুয়েল সরদার বলেন,‘রাস্তা খারাপ থাকার কারণে জমির ফসল পরিবহন করতে কৃষকদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। ফসল উৎপাদনে অনেক লোকসানও হয়।রাস্তাটি দ্রুত মেরামতের উদ্যোগ নিতে এমপিম হোদয়ের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।’

 

রাতইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আঞ্জরুল ইসলাম বলেন,‘রাস্তাটির কাজ হওয়া খুবই জরুরি। এতো বড় রাস্তার কাজ করার মতো বরাদ্দ ইউনিয়ন পরিষদে নেই। তবে রাস্তার কাজের স্কিম উপজেলা এলজিইডি অফিসে দেওয়া হয়েছে।‘

 

 

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মিরান হোসেন মিয়া বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে আমাদের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে এমপি মহোদয় বরাদ্দের ব্যবস্থা করে দিলে কাজটি করে দিতে পারবো।’

Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

ব্যাটারিচালিত রিক্সা ভ্যান মালিক সমিতির নেতাকর্মীদের সাথে চেয়ারম্যান প্রার্থী বিপুলের মতবিনিময়

error: Content is protected !!

কাশিয়ানীতে কাঁচা রাস্তায় হাজারো কৃষকের দুর্ভোগ

আপডেট টাইম : ০৩:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

একটি পাকা রাস্তার অভাবে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার রাতইল গ্রামে কয়েক হাজার কৃষকের অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।বেহাল রাস্তার কারণে কৃষকদের উৎপাদিত ফসল পরিবহনে দ্বিগুন খরচ হচ্ছে। ফলে কয়েকশ’ বিঘা ফসলি জমি অনাবাদী হয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। রাস্তাটি ইট সলিং করার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় কৃষকরা।

 

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার রাতইল ইটভাটা থেকে কাশিয়ানী-গোবরা রেলসড়ক পর্যন্ত মাত্র এক কিলোমিটার পায়ে হাটা রাস্তা দীর্ঘ দিন ধরে অবহেলিত।রাস্তাটি দিয়ে ওই এলাকার কয়েক হাজার কৃষক তাদের উৎপাদিত সরিষা, মসুর, খেসারী, বোরো ধান সহ বিভিন্ন রবি শস্য ভ্যান-নছিমন ও ঘোড়া-গরুর গাড়িতে পরিবহন করে থাকে। কিন্তু রাস্তাটি মেরামত ও ইটের সলিং না হওয়ায় জায়গায় জায়গায় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে ও অসমতল। বৃষ্টি হলে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয় কৃষকদের।কাঁদা মাড়িয়ে মাথায় করে ফসল ঘরে তুলতে হয়।

 

রাতইল গ্রামের কৃষক হাবিবুর রহমান মোল্যা বলেন,‘কৃষিপণ্য পরিবহনে রাস্তাটি অনেক গুরুত্বপর্ণ হলেও পাকা না হওয়ায় ফসল ঘরে তুলতে আমাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। অনেক জায়গায় গর্ত সৃষ্টিহয়েছে। বৃষ্টি হলে কর্দমাক্ত হয়ে পড়ে এবং বর্ষাকালে রাস্তাটি তলিয়ে যায়। রাস্তাটি পাকা হলে আমরা জমির ফসল বিভিন্ন যানবাহনে করে ঘরে তুলতে পারতাম।’

 

একই গ্রামের কৃষক লুৎফর রহমান বলেন, ‘শুষ্ক মৌসুমে ঘোড়ার গাড়ি ও ভ্যানে করে ফসল ঘরে তোলা যায়। কিন্তু বৃষ্টিতে গাড়ি চলাচল তো দূরের কথা, হেঁটেও চলাচল করা দায়। শ্রমিক দিয়ে মাথায় করে ফসল ঘরে তুলতে হয়। এতে আমাদের উৎপাদিত ফসলের পরিবহন খরচ বেড়ে যায়। ফলে আমাদের লোকসান হয়। রাস্তাটি সংস্কার বা পাকা হলে সহজেই যানবাহনে করে ফসল ঘরে তুলতে পারবো। তাই রাস্তাটি দ্রুত পাকা করার দাবি জানাই।’

 

ইউপি সদস্য মো. জুয়েল সরদার বলেন,‘রাস্তা খারাপ থাকার কারণে জমির ফসল পরিবহন করতে কৃষকদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। ফসল উৎপাদনে অনেক লোকসানও হয়।রাস্তাটি দ্রুত মেরামতের উদ্যোগ নিতে এমপিম হোদয়ের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।’

 

রাতইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আঞ্জরুল ইসলাম বলেন,‘রাস্তাটির কাজ হওয়া খুবই জরুরি। এতো বড় রাস্তার কাজ করার মতো বরাদ্দ ইউনিয়ন পরিষদে নেই। তবে রাস্তার কাজের স্কিম উপজেলা এলজিইডি অফিসে দেওয়া হয়েছে।‘

 

 

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মিরান হোসেন মিয়া বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে আমাদের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে এমপি মহোদয় বরাদ্দের ব্যবস্থা করে দিলে কাজটি করে দিতে পারবো।’