একটি পাকা রাস্তার অভাবে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার রাতইল গ্রামে কয়েক হাজার কৃষকের অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।বেহাল রাস্তার কারণে কৃষকদের উৎপাদিত ফসল পরিবহনে দ্বিগুন খরচ হচ্ছে। ফলে কয়েকশ’ বিঘা ফসলি জমি অনাবাদী হয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। রাস্তাটি ইট সলিং করার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় কৃষকরা।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার রাতইল ইটভাটা থেকে কাশিয়ানী-গোবরা রেলসড়ক পর্যন্ত মাত্র এক কিলোমিটার পায়ে হাটা রাস্তা দীর্ঘ দিন ধরে অবহেলিত।রাস্তাটি দিয়ে ওই এলাকার কয়েক হাজার কৃষক তাদের উৎপাদিত সরিষা, মসুর, খেসারী, বোরো ধান সহ বিভিন্ন রবি শস্য ভ্যান-নছিমন ও ঘোড়া-গরুর গাড়িতে পরিবহন করে থাকে। কিন্তু রাস্তাটি মেরামত ও ইটের সলিং না হওয়ায় জায়গায় জায়গায় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে ও অসমতল। বৃষ্টি হলে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয় কৃষকদের।কাঁদা মাড়িয়ে মাথায় করে ফসল ঘরে তুলতে হয়।
রাতইল গ্রামের কৃষক হাবিবুর রহমান মোল্যা বলেন,‘কৃষিপণ্য পরিবহনে রাস্তাটি অনেক গুরুত্বপর্ণ হলেও পাকা না হওয়ায় ফসল ঘরে তুলতে আমাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। অনেক জায়গায় গর্ত সৃষ্টিহয়েছে। বৃষ্টি হলে কর্দমাক্ত হয়ে পড়ে এবং বর্ষাকালে রাস্তাটি তলিয়ে যায়। রাস্তাটি পাকা হলে আমরা জমির ফসল বিভিন্ন যানবাহনে করে ঘরে তুলতে পারতাম।’
একই গ্রামের কৃষক লুৎফর রহমান বলেন, ‘শুষ্ক মৌসুমে ঘোড়ার গাড়ি ও ভ্যানে করে ফসল ঘরে তোলা যায়। কিন্তু বৃষ্টিতে গাড়ি চলাচল তো দূরের কথা, হেঁটেও চলাচল করা দায়। শ্রমিক দিয়ে মাথায় করে ফসল ঘরে তুলতে হয়। এতে আমাদের উৎপাদিত ফসলের পরিবহন খরচ বেড়ে যায়। ফলে আমাদের লোকসান হয়। রাস্তাটি সংস্কার বা পাকা হলে সহজেই যানবাহনে করে ফসল ঘরে তুলতে পারবো। তাই রাস্তাটি দ্রুত পাকা করার দাবি জানাই।’
ইউপি সদস্য মো. জুয়েল সরদার বলেন,‘রাস্তা খারাপ থাকার কারণে জমির ফসল পরিবহন করতে কৃষকদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। ফসল উৎপাদনে অনেক লোকসানও হয়।রাস্তাটি দ্রুত মেরামতের উদ্যোগ নিতে এমপিম হোদয়ের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।’
রাতইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আঞ্জরুল ইসলাম বলেন,‘রাস্তাটির কাজ হওয়া খুবই জরুরি। এতো বড় রাস্তার কাজ করার মতো বরাদ্দ ইউনিয়ন পরিষদে নেই। তবে রাস্তার কাজের স্কিম উপজেলা এলজিইডি অফিসে দেওয়া হয়েছে।‘
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মিরান হোসেন মিয়া বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে আমাদের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে এমপি মহোদয় বরাদ্দের ব্যবস্থা করে দিলে কাজটি করে দিতে পারবো।’
প্রিন্ট