ফরিদপুর উপজেলার মধুখালী উপজেলার আড়পাড়া ইউনিয়নের চরগয়েশপুর মধুমতী নদীর বালুর চর সংলগ্ন মাগুরা জেলা সীমান্ত এলাকায় আকাশ হত্যাকারীর ফাঁসি চাই কুখ্যাত খুনী, চোর, ধর্ষনকারী জাকিরের ফাঁসি চাই ফাঁসি চাই এই শ্লোগানে মানববন্ধন করে এলাকাবাসীর লোকজন। শনিবার বিকাল ৪.৩০ টার সময় চরগয়েশপুর মধুমতী নদীর বালির চরে মানববন্ধন করে চরগয়েশপুর এলাকা ও মাগুরা জেলার সচেতন মহলের শত শত নারী ও পুরুষ এবং বিভিন্ন বয়সের লোকজন।
মানববন্ধনে অংশ গ্রহণ করে ছিলো, নিহত আকাশ শেখের বড় বোন রমিছা খাতুন, বিল্লাল শেখ, রিনা খাতুন, মিনা খাতুন, ফাতেমা, সোনালী, শামীমা, আল্লাদি, সুফিয়া, বিথী, পলি, রোজিনা, সুইটি, মিনা, হাসিনা, ফারজানা, আফরোজা, মমতাজ, সীমা, লাভলী, মনিরা, জেসমিন, আম্বিয়া, মতিয়ার রহমান, জিন্নাগ বেগম আকাশের মা, আকিদুল ইসলাম, মোস্তফা, নাসির, নয়ন, বাবু শেখ, পান্নু শেখ, রিয়াজুল শেখ, শামছুর রহমান, মোফাজ্জেল, নজরুল শেখ, আশরাফুল শেখ, তামিম, শাওন, সৈয়দ, নয়ন, শাহাবুর, রাজু, ফারুক আহমেদ, লাফুজ, রায়হান, মুন্না, সজীব, কায়েম, সাহেব আলী মন্ডল, নিজেল বিশ্বাস, রেজাউল বিশ্বাস, সদু মন্ডল, শহীদ শেখ সহ প্রমুখ এলাকার শত শত লোকজন।
তারা সবাই মানববন্ধনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের কাছে ও ফরিদপুর জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের কাছে খুনি জাকির শেখ সহ এর সাথে জড়িত সকল দোষী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় দ্রুত গ্রেফতার করে শাস্তি ও ফাঁসির দাবি জানায়। এলাকাবাসীর বেশ কয়েকজন জানায়, জাকির শেখ একজন ধুরন্দর লম্পট দুশ্চরিত্র ব্যক্তি, চোর, ডাকাতি, মারামারি ইত্যাদি বিভিন্ন অপরাধ মূলক কাজের সাথে জড়িত বহু বছর পূর্ব থেকে।
গ্রাম পুলিশ তৈয়বুর রহমান বলেন, বশার মিয়ার বাড়ির সামনে বাঁশের ঝাড়ে আকাশের রক্তমাখা একগোছা চুলসহ শীতের টুপি পাওয়া যায় এবং জাকির শেখের ঘরের পিছনে আকাশের পায়ের স্যান্ডেল ও কবির শেখের ছোট খানা গর্ত পুকুরে বালিমিশ্রিত আরেকটি স্যান্ডেল পাওয়া যায়।
মধুখালি থানার মামলা নং- ০৩ তাং- ৪ জানুয়ারি ২০২৪ ।
মামলার তদন্ত সাব ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) সান্টু কুমার দেব জানান, মামলার ব্যাপারে মিডিয়া সেলের দায়িত্বরত আছেন অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মিরাজ হোসেন।
মধুখালি থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মিরাজ হোসেন জানান, আকাশের মরদেহ উদ্ধার করে অজ্ঞাত নামা আসামির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। খোজ খবর করে জাকির নামে একব্যক্তি নিখোঁজ রয়েছে বলে জানতে পেরেছি। আমরা তাকে ধরার চেষ্টা করছি। এছাড়া গোপন সংবাদে জাকিরের বাড়ি আসার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ভাবে রাত্রে একটা পুলিশের টিম পাঠিয়েছিলাম কিন্তু তাকে পাওয়া যায়নি।
এব্যাপারে আমরা তৎপর রয়েছি। আসামি গ্রেফতারের এবং হত্যা ঘটনার রহস্য উদঘাটনের জন্য আমাদের একাধিক টিম কাজ করছে।
প্রিন্ট