ঢাকা , বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

তানোরের প্রকাশনগর অবৈধ মটরের ছড়াছড়ি

রাজশাহীর তানোরের মুন্ডুমালা পৌরসভার প্রকাশনগর, টকটকিয়া ও পরানপুর মহল্লায় অবৈধ সেচ মটরের ছড়াছড়ি। এতে বিএমডিএ’র সেচ প্রকল্প হুমকির মুখে পড়েছে। এলাকার গভীর নলকুপগুলো প্রায় অকার্যকর হয়ে পড়েছে। অধিকাংশ অবৈধ মটর মালিক সেচ চার্জ আদায়ের নামে কৃষকদের রিতিমতো শোষণ করছে। এদিকে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির একশ্রেণীর দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাগণ সবকিছু জেনেও এসব অবৈধ মটরের আবাসিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন না করে জরিমানার নামে লাখ লাখ টাকা বাণিজ্য করছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয়রা জানান, মুন্ডুমালা পৌরসভার প্রকাশনগর মহল্লার বাসিন্দা শরিফুল ইসলামের ঘনিষ্ঠ সহচর ও আমজাদ আলীর পুত্র আসলাম আলী ওরফে রাসেল গ্রামবাসীর বাধা উপেক্ষা করে প্রকাশনগর মৌজায় ১ নম্বর খাস খতিয়ানভুক্ত ১৫৭ নম্বর দাগে তিনটি অবৈধ মটর স্থাপন করেছেন।
এছাড়াও শরিফুলের ভাই শফিকুল ইসলাম চার পুকুরিয়া একটি মিটার থেকে বাইপাশ লাইনে দুইটি অবৈধ মটরে সেচ বাণিজ্যে করছে। এমনকি বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) গভীর নলকূপ থেকে অবৈধ মটরের স্কীমে পানি বিক্রি করছে।
অন্যদিকে চুনিয়াপাড়া মৌজার কালীকান্দর মহল্লায় বিএমডিএ’র গভীর নলকূপ থেকে পানি নিয়ে যাচ্ছে এবং একই সঙ্গে  আলমগীর ইসলাম ও মমিনুল ইসলাম এই দু’জনের মাধ্যমে হাড়িপুকুরিয়া ও টকটকিয়া মহল্লায় আবাসিক সংযোগ থেকে আলুর প্রজেক্টে সেচ বাণিজ্যে করা হচ্ছে।
অন্যদিকে প্রকাশনগর জ্যাটডাঙ্গী মহল্লায় শরিফুলের ঘনিষ্ঠ সহচর আসলাম আলী রাশেল মহল্লার শ্রীধারণের নামে মিটার নিয়ে মহসিন আলীর বাড়িতে অবৈধ মটর বসিয়ে সেচ বাণিজ্যে করছে বলে একাধিক মহল্লাবাসী অভিযোগ করেছেন।
এবিষয়ে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি তানোর জোনের (ডিজিএম) জহুরুল ইসলাম বলেন, আবাসিক সংযোগ থেকে সেচ বাণিজ্যের কোনো সুযোগ নাই। তিনি বলেন, এবিষয়ে বিস্তারিত খোঁজখবর নিয়ে দ্রুত সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে।
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

error: Content is protected !!

তানোরের প্রকাশনগর অবৈধ মটরের ছড়াছড়ি

আপডেট টাইম : ০৭:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৪
রাজশাহীর তানোরের মুন্ডুমালা পৌরসভার প্রকাশনগর, টকটকিয়া ও পরানপুর মহল্লায় অবৈধ সেচ মটরের ছড়াছড়ি। এতে বিএমডিএ’র সেচ প্রকল্প হুমকির মুখে পড়েছে। এলাকার গভীর নলকুপগুলো প্রায় অকার্যকর হয়ে পড়েছে। অধিকাংশ অবৈধ মটর মালিক সেচ চার্জ আদায়ের নামে কৃষকদের রিতিমতো শোষণ করছে। এদিকে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির একশ্রেণীর দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাগণ সবকিছু জেনেও এসব অবৈধ মটরের আবাসিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন না করে জরিমানার নামে লাখ লাখ টাকা বাণিজ্য করছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয়রা জানান, মুন্ডুমালা পৌরসভার প্রকাশনগর মহল্লার বাসিন্দা শরিফুল ইসলামের ঘনিষ্ঠ সহচর ও আমজাদ আলীর পুত্র আসলাম আলী ওরফে রাসেল গ্রামবাসীর বাধা উপেক্ষা করে প্রকাশনগর মৌজায় ১ নম্বর খাস খতিয়ানভুক্ত ১৫৭ নম্বর দাগে তিনটি অবৈধ মটর স্থাপন করেছেন।
এছাড়াও শরিফুলের ভাই শফিকুল ইসলাম চার পুকুরিয়া একটি মিটার থেকে বাইপাশ লাইনে দুইটি অবৈধ মটরে সেচ বাণিজ্যে করছে। এমনকি বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) গভীর নলকূপ থেকে অবৈধ মটরের স্কীমে পানি বিক্রি করছে।
অন্যদিকে চুনিয়াপাড়া মৌজার কালীকান্দর মহল্লায় বিএমডিএ’র গভীর নলকূপ থেকে পানি নিয়ে যাচ্ছে এবং একই সঙ্গে  আলমগীর ইসলাম ও মমিনুল ইসলাম এই দু’জনের মাধ্যমে হাড়িপুকুরিয়া ও টকটকিয়া মহল্লায় আবাসিক সংযোগ থেকে আলুর প্রজেক্টে সেচ বাণিজ্যে করা হচ্ছে।
অন্যদিকে প্রকাশনগর জ্যাটডাঙ্গী মহল্লায় শরিফুলের ঘনিষ্ঠ সহচর আসলাম আলী রাশেল মহল্লার শ্রীধারণের নামে মিটার নিয়ে মহসিন আলীর বাড়িতে অবৈধ মটর বসিয়ে সেচ বাণিজ্যে করছে বলে একাধিক মহল্লাবাসী অভিযোগ করেছেন।
এবিষয়ে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি তানোর জোনের (ডিজিএম) জহুরুল ইসলাম বলেন, আবাসিক সংযোগ থেকে সেচ বাণিজ্যের কোনো সুযোগ নাই। তিনি বলেন, এবিষয়ে বিস্তারিত খোঁজখবর নিয়ে দ্রুত সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে।