ফরিদপুরের সালথায় তান্ডবের ঘটনায় পুলিশের করা মামলার আসামী আবুল হোসেন আলী (৪৫) নামে এক ব্যক্তি পুলিশ হেফাজতে স্টক জনিতকারনে মৃত্যু হয়েছে। সে সালথা উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের গোপালীয়া গ্রামের মৃত ইমান উদ্দীন হাজীর ছেলে।
ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মোঃ আলীমুজ্জামান ঘটনা নিশ্চিত করে জানান, সালথায় তান্ডবের ঘটনায় জড়িত থাকায় পুলিশের করা একটি মামলায় আবুল হোসেন আলীকে গত কয়েকদিন আগে গ্রেপ্তার করা হয়। গত ২৮ এপ্রিল তাকে পুলিশ রিমান্ডে আনা হয়। শনিবার (১ মে) দিবাগত শেষ রাতে তিনি সেহরি খেয়ে নামাজ পড়ে বাথরুম গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং বমি করেন। তাকে অসুস্থ অবস্থায় ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে ডাক্তার মৃত ঘোষনা করে।
তিনি আরও বলেন, এই ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ জামাল পাশাকে প্রধান করে চার সদস্যর একটি তদন্ত টিম করা হয়েছে। তাদেরকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া ময়না তদন্ত রির্পোট পাওয়া গেলে বিস্তারিত জানা যাবে বলেও তিনি জানান।
স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, সম্প্রতি আবুল হোসেন আলীর বড় ছেলে একটি মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনা নিয়ে তিনি মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়ে ছিলেন।
এ বিষয়ে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাঃ গনেশ আগরওয়াল জানান, রোগীর গায়ে কোন ধরনের আঘাতের চিহ্ন বা অন্য কোন অস্বাভাবিকতা দেখা যায়নি। প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে ষ্টকজনীত কারনে স্বভাবিক মৃত্যু হতে পারে।
প্রসঙ্গত, লকডাউনকে কেন্দ্র করে গুজব ছড়িয়ে গত ৫ এপ্রিল সালথা উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন সরকারি অফিসে হামলা চালায় উত্তেজিত জনতা। এ সময় দুটি সরকারি গাড়িসহ কয়েকটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয় তারা। এ ঘটনায় দু’যুবক নিহত হয়।এতে প্রায় পাঁচ কোটি টাকার ক্ষয় ক্ষতি হয়।
প্রিন্ট