পৌষের শেষ দিকে জেঁকে বসেছে শীত। কনকনে ঠান্ডা আর ঘন কুয়াশায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। বিশেষ করে দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষ কষ্টে দিন পার করছেন। কুয়াশায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বোরো ধানের বীজতলা। হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা। ভেড়ামারায় আজ সারাদিন সূর্যের দেখা মিলেনি। সেই সঙ্গে দুদিন ধরে কুয়াশাচ্ছন্ন রয়েছে ভেড়ামারার প্রকৃতি। আবহাওয়া অফিস বলছে, এ রকম কুয়াশাচ্ছন্ন পরিবেশ এ সপ্তাহজুড়ে থাকবে।
শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) থেকে সপ্তাহজুড়ে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের ওপর ঘন কুয়াশার বেল্ট থাকতে পারে, যার ফলে সূর্য দেখা পেতে দুপুর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে -এ তথ্য জানিয়েছেন কুমারখালি আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ অফিসার মামুন।
তিনি জানান,শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় কুষ্টিয়া ভেড়ামারা সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ৯৩%। সকাল ছয়টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১.০০ ডিগ্রি এবং বাতাসের আর্দ্রতা ৯২%। এ সপ্তাহজুড়ে তাপমাত্রা ১২/১৩ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করবে। আগামী দুইদিনের মধ্যে নিম্নচাপ ও ভারী কুয়াশ পড়তে পারে।
এদিকে আবহাওয়ার এ তারতম্যে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগবালাই। বিশেষ করে সর্দি-কাশি-জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে বেশি। শিশুরা ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় ভুগছে।
- আরও পড়ুনঃ টগবগিয়ে ছুঁটছেছিল ২২ ঘোড়া!
ভেড়ামারা স্বাস্থ পরিবার পরিক্লপনার অপিসার নূরুল আমীন জানান, উপজেলার হাসপাতালে অর্ধশতাধিক ডায়রিয়া-ঠান্ড-কাশি জ্বর নিয়ে শিশু ভর্তি আছে। এ ছাড়াও বহির্বিভাগে প্রতিদিন ৫০থেকে ৬০জন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। উপজেলার হাসপাতাগুলোতেও বাড়ছে রোগীর সংখ্যা।
প্রিন্ট