কুষ্টিয়ায় অবস্থিত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বিভিন্ন জায়গা থেকে ছয়টি ককটেলসদৃশ বস্তু উদ্ধার করেছে প্রশাসন। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দেড়টা থেকে আজ শুক্রবার সকাল নয়টা পর্যন্ত ক্যাম্পাসে চারটি স্থানে পড়ে থাকা অবস্থায় এগুলো উদ্ধার করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক শাহাদৎ হোসেন আজাদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, পুলিশ ও আনসার সদস্যদের সহায়তায় ককটেলসদৃশ বস্তুগুলো পানিভর্তি বালতিতে রাখা হয়েছে। একেকটির ওজন আধা কেজি হতে পারে।
এদিকে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে থাকা অবস্থায় ককটেলসদৃশ বস্তু উদ্ধারের ঘটনায় ক্যাম্পাসে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের পর গত সোমবার থেকে ক্যাম্পাসে ক্লাস শুরু হয়েছে। হলগুলোও খোলা রয়েছে। আজ শুক্রবার ছুটির দিন।
প্রক্টর শাহাদৎ হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার রাত দেড়টার দিকে শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে জানতে পারেন, লালন শাহ হলের পাশে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের পকেট গেটে দুটি ককটেলসদৃশ বস্তু পড়ে আছে। বিষয়টি জানার পর তিনি পুলিশ ও নিরাপত্তায় নিয়োজিত আনসার সদস্যদের সহায়তায় উদ্ধার করেন। এরপর সকাল সাতটার দিকে জিয়া হলের সামনে একটি, ব্যবসায় অনুষদ ভবনের পাশে দুটি এবং সকাল নয়টার দিকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সামনে একটি ককটেলসদৃশ বস্তু পাওয়া গেছে। সব কটি একই রকমের। লাল স্কচটেপ দিয়ে মোড়ানো।
উদ্ধার হওয়া সব কটি ককটেলসদৃশ বস্তু পানিভর্তি বালতিতে রাখা হয়েছে উল্লেখ করে প্রক্টর আরও বলেন, ইতিমধ্যে পুলিশ প্রশাসনের কাছে সহায়তা চাওয়া হয়েছে, যাতে ক্যাম্পাসজুড়ে তল্লাশি করা হয়। এ ছাড়া বিষয়টি নিয়ে ক্যাম্পাসে উপাচার্যের বাংলোতে এক জরুরি সভা করা হচ্ছে। বিস্তারিত পরে উপাচার্য জানাতে পারবেন। কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে, এখনো তা জানা যায়নি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রশাসনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপাচার্য আবদুস সালাম, দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা কে বলেন, উদ্ধার হওয়া ককটেলসদৃশ বস্তুগুলো ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে ছিল। এটা একটু আতঙ্কের বিষয়। পুলিশকে বলা হয়েছে। তাদের দিয়ে আরও তল্লাশি করানো হচ্ছে। হঠাৎ এমন হওয়ার কারণ জানতে চাইলে উপাচার্য বলেন, তেমন কোনো কিছু আঁচ করা যাচ্ছে না। তবে সামনে কয়েকটি নিয়োগ বোর্ড রয়েছে। সব মিলিয়ে পুলিশ তদন্ত করছে।
কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও মিডিয়া) পলাশ কান্তি নাথ বলেন, ছয়টি ককটেলসদৃশ বস্তু উদ্ধার করা হয়েছে। তদন্ত চলছে। ক্যাম্পাসে পুলিশ স্থানীয়ভাবে উদ্ধার হওয়া বস্তুগুলো পর্যবেক্ষণ করছে। প্রয়োজন হলে আরও পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আর ক্যাম্পাসের সিসি ক্যামেরাগুলোর ফুটেজ সংগ্রহ করা হচ্ছে।
প্রিন্ট