বাংলাদেশ দূতাবাস লিসবনে যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যে ১০ জানুয়ারি বুধবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালন করেছে।
লিসবন দূতাবাসের আয়োজিত স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালনের আলোচনা সভা অনুষ্ঠানে দূতাবাসের কর্মকর্তা, কর্মচারীবৃন্দ এবং পর্তুগাল প্রবাসী বাংলাদেশীগণ অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পর্তুগালে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রেজিনা আহমেদ দূতাবাসের কর্মকর্তা কর্মচারীগণকে সাথে নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন। অতঃপর ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়।
পরবর্তীতে দূতাবাসের কর্মকর্তা, কর্মচারীবৃন্দ এবং প্রবাসী বাংলাদেশীদের অংশগ্রহণে জাতির পিতার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে এক মুক্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। রাষ্ট্রদূত রেজিনা আহমেদ তাঁর বক্তব্যে, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা প্রকাশ করেন। তাঁর বক্তব্যে বলেন যে, আজকের দিনটি বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে মাথা উচুঁ করে দাড়ানোর জন্য সামনের দিনগুলোতে কাজ করে যাওয়ার অঙ্গিকার করার দিন। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার দৃঢ় প্রত্যয় গ্রহণের দিন এবং সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়ার দিন।
পরবর্তীতে তিনি প্রবাসী বাংলাদেশীদের সাথে মতবিনিময় করেন এবং কন্স্যুলার সেবা সহ প্রবাসী বাংলাদেশীদের যে কোন কাজে সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন এবং তাদেরকে বৈধ পথে রেমিট্যান্স প্রেরণের জন্য আহ্বান জানান। আলোচনা সভাশেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস এর উপর নির্মিত প্রামান্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
- আরও পড়ুনঃ মুক্তিযুদ্ধের বিজয় পূর্ণতা পাওয়ার দিন আজ
সবশেষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারবর্গ, জাতীয় চার নেতা এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী সকল শহিদদের আত্মার মাগফেরাত ও প্রধানমন্ত্রীর সুস্বাস্থ্য কামনা করে বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্য বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
প্রিন্ট