ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন হাট-বাজারগুলোতে মৌসুমী রসালো ফল তরমুজের দাম আকাশ ছোঁয়া ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। রমজানকে পুঁজি করে ব্যবসায়ীগণ তাদের ইচ্ছে মতো প্রতি পিচ তরমুজের দাম হাকিয়ে নিচ্ছে ৫শত থেকে ৬শত টাকা তরমুজ বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ করেছেন ক্রেতা ও জনসাধারণ।
এদিকে গত কয়েক দিনে তীব্র গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন । এ তাপদাহ থেকে সামান্য পরিত্রাণ পেতে ইফতারে ধর্মপ্রাণ রোজাদাররা তরমুজই বেশি পছন্দ করেন। কিন্তু আকাশ ছোঁয়া দামের কারণে এখন আর তরমুজের স্বাদ নিতে পারছেন না নিম্ন ও মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষেররা। এরইমধ্যে তরমুজের দাম সাধারণ ক্রেতাদের হাতের নাগালের বাইরে চলে গেছে।
এদিকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন তদারকি না থাকার কারণে ইচ্ছেমত দাম হাকিয়ে নিচ্ছে এক ধরণের অসাধু তরমুজ ব্যবসায়ীরা বলে সাধারণ ক্রেতাদের অভিযোগ।
কৃষ্ণপুরের নাইম মোল্যা নামে একজন বলেন, ভাই অনেক ইচ্ছা ছিলো একটি তরমুজ কিনবো। রোজার সময় বাড়ির সবাইকে নিয়ে ইফতারি করবো। সেটা আর হলো না দামের কারনে।
উপজেলার সতের রশি গ্রামের আলমগীর হোসেন নামে একজন বলেন, আমি বাচ্চার ইচ্ছে পূরণ করতে একটি তরমুজ কিনেছি ৬শত টাকা দাম পড়েছে । এতো দামের কারণে তরমুজ আর সামনের দিনে কপালে আর জুটবে কি না ! তিনি বলেন মাঠ পর্যায় থেকে সরাসরি সঠিক তদারকি করার প্রয়োজন তরমুজ সহ প্রতিটি নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিষের। একই চিত্র উপজেলা সদর সহ প্রতিটি হাট বাজারে।
এদিকে বিশিষ্টজনেরা ও সাধারণ মানুষের দাবী মনে করেন তরমুজ ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারণে অতিরিক্ত মূল্য দরে তরমুজ বিক্রি হচ্ছে। তবে তারা মনে করেন, বাজার মনিটরিং করে কৃষক পর্যায় থেকে পাইকারদের উপর কঠোর নজরদারী করলে বাজারের স্থিতিশিলতা বজায় থাকবে।
উপজেলা সদর বাজারের তরমুজ ব্যবসায়ী মোকসেদ মোল্যা বলেন, ‘দাম না বেড়ে তো উপায় নেই। এদিকে লকডাউনের মাঝে মহাজনদের নিকট গিয়ে তরমুজ আগের থেকে বেশি দামে কিনতে হয়েছে। এছাড়া তীব্র গরম ও রোজার কারণে তরমুজের ব্যাপক চাহিদা থাকায় দামও বেড়েছে।’
প্রিন্ট