ঢাকা , শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫, ১২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo যুব অধিকার পরিষদের কমিটি গঠনকল্পে হবিগঞ্জ জেলা প্রেসক্লাবে মতবিনিময় Logo সরকারি গাছ কাটা ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করেও ছেড়ে দিচ্ছে উপজেলা প্রশাসন Logo হিম উৎসবে কাওয়ালী গানে মুগ্ধ দর্শক Logo মাগুরা সদরে কৃষকদলের উদ্যোগে কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত Logo উদ্ধার হওয়া বস্তাবন্দি লাশের হত্যার রহস্য উদঘাটন Logo ফরিদপুরে কবর বাসীর মাগফিরাত কামনায় যুব সংগঠনের ওয়াজ মাহফিল Logo ফরিদপুরে দুই শহীদের কবর জিয়ারত ও পরিবারের খোঁজখবর নিলেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ Logo আরাফাত রহমানের কোকোর দশম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা ও দোয়া মাহফিল Logo পিন্স আওয়াদ-৪ শিপ এর শুভ উদ্বোধন Logo কালুখালীতে পর্যটক শিল্পের সম্ভাবনা রয়েছে -এনডিএম মহাসচিব
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

সালথায় তিন বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতিঃ নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট

ফরিদপুরের সালথায় পাশাপাশি তিন বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতদল ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের হাত-পা ও মুখ গামছা দিয়ে বেঁধে রেখে নগদ টাকা এবং স্বর্ণালংকারসহ মালামল লুট করে নিয়ে বলে জানা গেছে। রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) গভীর রাতে উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের দিয়াপাড়া গ্রামের বিজিবি সদস্য কাজী সাইদুল হক নিলু, মো. সোহেল মাতুব্বর ও মো. রবিউল হাসান রবিনের বাড়িতে এই ডাকাতির ঘটনা ঘটে।

 

ভুক্তভোগী সোহেল মাতুব্বরের স্ত্রী নার্গিস সুলতানা বলেন, ঘটনার রাতে আমার স্বামী বাড়িতে ছিলেন না। তিনি আটরশি দরবার শরিফে ছিলেন। বাড়িতে আমি আর আমার সন্তান ছিলাম। রাত আনুমানিক আড়াইটার আমাদের বাথরুমের ভেন্টিলেটার ও টিনের চালা টেকে ৫-৬ জনের মুখোশধারী ডাকাতদল ঘরে প্রবেশ করে। তারা প্রথমে আমাদের দুজনের হাত-পা ও মুখ গামছা দিয়ে বেঁধে ফেলে। পরে ডাকাতদল ঘরের ভেতরে আলমারিতে থাকা নগদ ৪ লাখ টাকা, ১.৫ ওজনের স্বর্ণালংকার, ৬.৫ ভরি ওজনের রুপার চেইন ও নুপুর, মোবাইল ও টিভি লুট করে নিয়ে যায়।

 

আরেক ভুক্তভোগী বিজিবি সদস্য কাজী সাইদুল হক নিলুর স্ত্রী জুলিয়া বেগম বলেন, আমার স্বামী বাড়িতে ছিলেন না। বাড়িতে আমি আর আমার শাশুড়ি ছিলাম। ডাকাতদল দরজা ভেঙে আমার ঘরে প্রবেশ একইভাবে আমাদের হাত-পা ও মুখ বেঁধে রেখে নগদ ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা, ৪.৫ ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার ও মোবাইলসহ মালামাল লুট করে নিয়ে। একই সময় প্রতিবেশী রবিউলের ঘরে ঢুকে নগদ ১৭ হাজার টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়। তবে রবিউলের পরিবারের সদস্যরা কেউ ডাকাতির ঘটনার সময় বাড়িতে ছিলেন না। তিনি আরও বলেন, ডাকাতদলের সদসস্যদের মুখে মাক্স ও মাফলার পেঁচানো ছিল। তবে তারা আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলেছেন।

 

 

সালথা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মাদ ফায়েজুর রহমান বলেন, ডাকাতির খবর পেয়ে ভুক্তভোগিদের বাড়িতে খোঁজখবর নেওয়া হয়েছে। মামলা অনুয়ায়ী দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

যুব অধিকার পরিষদের কমিটি গঠনকল্পে হবিগঞ্জ জেলা প্রেসক্লাবে মতবিনিময়

error: Content is protected !!

সালথায় তিন বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতিঃ নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট

আপডেট টাইম : ০৩:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩
এফ.এম.আজিজুর রহমান, সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি :

ফরিদপুরের সালথায় পাশাপাশি তিন বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতদল ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের হাত-পা ও মুখ গামছা দিয়ে বেঁধে রেখে নগদ টাকা এবং স্বর্ণালংকারসহ মালামল লুট করে নিয়ে বলে জানা গেছে। রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) গভীর রাতে উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের দিয়াপাড়া গ্রামের বিজিবি সদস্য কাজী সাইদুল হক নিলু, মো. সোহেল মাতুব্বর ও মো. রবিউল হাসান রবিনের বাড়িতে এই ডাকাতির ঘটনা ঘটে।

 

ভুক্তভোগী সোহেল মাতুব্বরের স্ত্রী নার্গিস সুলতানা বলেন, ঘটনার রাতে আমার স্বামী বাড়িতে ছিলেন না। তিনি আটরশি দরবার শরিফে ছিলেন। বাড়িতে আমি আর আমার সন্তান ছিলাম। রাত আনুমানিক আড়াইটার আমাদের বাথরুমের ভেন্টিলেটার ও টিনের চালা টেকে ৫-৬ জনের মুখোশধারী ডাকাতদল ঘরে প্রবেশ করে। তারা প্রথমে আমাদের দুজনের হাত-পা ও মুখ গামছা দিয়ে বেঁধে ফেলে। পরে ডাকাতদল ঘরের ভেতরে আলমারিতে থাকা নগদ ৪ লাখ টাকা, ১.৫ ওজনের স্বর্ণালংকার, ৬.৫ ভরি ওজনের রুপার চেইন ও নুপুর, মোবাইল ও টিভি লুট করে নিয়ে যায়।

 

আরেক ভুক্তভোগী বিজিবি সদস্য কাজী সাইদুল হক নিলুর স্ত্রী জুলিয়া বেগম বলেন, আমার স্বামী বাড়িতে ছিলেন না। বাড়িতে আমি আর আমার শাশুড়ি ছিলাম। ডাকাতদল দরজা ভেঙে আমার ঘরে প্রবেশ একইভাবে আমাদের হাত-পা ও মুখ বেঁধে রেখে নগদ ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা, ৪.৫ ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার ও মোবাইলসহ মালামাল লুট করে নিয়ে। একই সময় প্রতিবেশী রবিউলের ঘরে ঢুকে নগদ ১৭ হাজার টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়। তবে রবিউলের পরিবারের সদস্যরা কেউ ডাকাতির ঘটনার সময় বাড়িতে ছিলেন না। তিনি আরও বলেন, ডাকাতদলের সদসস্যদের মুখে মাক্স ও মাফলার পেঁচানো ছিল। তবে তারা আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলেছেন।

 

 

সালথা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মাদ ফায়েজুর রহমান বলেন, ডাকাতির খবর পেয়ে ভুক্তভোগিদের বাড়িতে খোঁজখবর নেওয়া হয়েছে। মামলা অনুয়ায়ী দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


প্রিন্ট