ফরিদপুরের সালথায় পাশাপাশি তিন বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতদল ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের হাত-পা ও মুখ গামছা দিয়ে বেঁধে রেখে নগদ টাকা এবং স্বর্ণালংকারসহ মালামল লুট করে নিয়ে বলে জানা গেছে। রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) গভীর রাতে উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের দিয়াপাড়া গ্রামের বিজিবি সদস্য কাজী সাইদুল হক নিলু, মো. সোহেল মাতুব্বর ও মো. রবিউল হাসান রবিনের বাড়িতে এই ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী সোহেল মাতুব্বরের স্ত্রী নার্গিস সুলতানা বলেন, ঘটনার রাতে আমার স্বামী বাড়িতে ছিলেন না। তিনি আটরশি দরবার শরিফে ছিলেন। বাড়িতে আমি আর আমার সন্তান ছিলাম। রাত আনুমানিক আড়াইটার আমাদের বাথরুমের ভেন্টিলেটার ও টিনের চালা টেকে ৫-৬ জনের মুখোশধারী ডাকাতদল ঘরে প্রবেশ করে। তারা প্রথমে আমাদের দুজনের হাত-পা ও মুখ গামছা দিয়ে বেঁধে ফেলে। পরে ডাকাতদল ঘরের ভেতরে আলমারিতে থাকা নগদ ৪ লাখ টাকা, ১.৫ ওজনের স্বর্ণালংকার, ৬.৫ ভরি ওজনের রুপার চেইন ও নুপুর, মোবাইল ও টিভি লুট করে নিয়ে যায়।
আরেক ভুক্তভোগী বিজিবি সদস্য কাজী সাইদুল হক নিলুর স্ত্রী জুলিয়া বেগম বলেন, আমার স্বামী বাড়িতে ছিলেন না। বাড়িতে আমি আর আমার শাশুড়ি ছিলাম। ডাকাতদল দরজা ভেঙে আমার ঘরে প্রবেশ একইভাবে আমাদের হাত-পা ও মুখ বেঁধে রেখে নগদ ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা, ৪.৫ ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার ও মোবাইলসহ মালামাল লুট করে নিয়ে। একই সময় প্রতিবেশী রবিউলের ঘরে ঢুকে নগদ ১৭ হাজার টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়। তবে রবিউলের পরিবারের সদস্যরা কেউ ডাকাতির ঘটনার সময় বাড়িতে ছিলেন না। তিনি আরও বলেন, ডাকাতদলের সদসস্যদের মুখে মাক্স ও মাফলার পেঁচানো ছিল। তবে তারা আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলেছেন।
সালথা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মাদ ফায়েজুর রহমান বলেন, ডাকাতির খবর পেয়ে ভুক্তভোগিদের বাড়িতে খোঁজখবর নেওয়া হয়েছে। মামলা অনুয়ায়ী দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রিন্ট