সাবাস!
মুক্তিযোদ্ধা
বাংলার দুরন্ত গেরিলারা,
সাবাস!
বাঙালি বীর সেনানী আর আপাময় জনতা,
সোনার বাঙলা আজ মুক্ত!
তোমাদের মুখশ্রীতে তাই জ্বলছে
খুশী আর বিস্ময়!
২৫ মার্চ রাতের গভীর,
নিরন্দ্র অন্ধকারে,
পশ্চিম পাকিস্তানের সামরিক জান্তা
মেতেছিল নারকীয় হত্যাযজ্ঞে।
সাড়ে সাত কোটি বাঙালির
স্বাধিকার, সার্বভৌমত্ব ও জাতিসত্তা,
নিশ্চিহ্নের ষড়যন্ত্র
করেছিল মৃত্যূসেনারা।
হত্যাযজ্ঞের ধ্বংসস্তূপ থেকে
ঘুরে দাঁড়াল বাঙালি,
দেশ মুক্তির প্রতীক্ষায়
তারা যেন এক একটি
উদ্দীপ্ত অভিযাত্রী।
সময় গড়িয়ে চলল
১৬ই ডিসেম্বর
এলো,
সেই বিভাষিকাময় রাত্রির
অবসান ঘটাতে।
অনেক বিনাশ সাঙ্গ হল যেন
ভোরের আকাশে,
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় সূর্য
উঠল জেগে।
এতো রক্তমাখা সূযোর্দয়
বাঙালি কি দেখেছে আগে?
না!
তবু
অনেক প্রাণের বিনিময়ে,
এলো তা আশার আলো হয়ে।
১৬ই ডিসেম্বর
রোজ বৃহস্পতিবার,
অপরাহ্নের ঘড়িতে তখন পাঁচটা,
এক মিনিটের কাঁটায় যখন
থামল এসে ঘড়ি,
দখলদার পাক-বাহিনী
বিনা র্শতে
আত্ন-সমর্পণ
করতে হল রাজি।
শব্দের অঙ্গার আর
স্ফূলিঙ্গ সদৃশ ভাষায়
চারিদিক ব্যাপী উচ্চারিত হল
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ
এক স্বাধীন রাষ্ট্রের নাম।
প্রিন্ট