জানা যায়, বুধবার সন্ধ্যা পৌনে ৫টার দিকে রশিতে বাঁধা কম্বল দেখতে পান স্থানীয়রা। জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল দিলে পুলিশ এসে মরদেহটি উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
স্বজনরা জানান, ২০ দিন আগে খুলনার ছেলে প্রেমিক হাফিজুর রহমানের সঙ্গে বিয়ে হয় রেখা খাতুনের। রেখার স্বামী হাফিজুর রহমান বর্তমানে মাগুরায় পপুলার কোম্পানিতে কর্মরত আছেন।
রেখা খাতুনের দুলাভাই বিএডিসি মসজিদের মোয়াজ্জেম মো. সোলাইমান বলেন, শ্যালিকা বুধবার সকাল ৯টার দিকে কলজে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। সন্ধ্যায় সেজ ভায়রা জামির কল দিয়ে শ্যালিকার খোঁজ নেয়। এরপর মসজিদে নামাজ পড়াতে গেলে মুসল্লিদের মুখে শুনি একটি মরদেহ পাওয়া গেছে। হাসপাতাল মর্গে গিয়ে মরদেহ দেখে শ্যালিকাকে শনাক্ত করি।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সোহেল রানা বলেন, আমরা হাউজিং সি ব্লক থেকে রেখা খাতুন নামে এক তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করেছি। প্রাথমিক ধারণা করা হচ্ছে তাকে শ্বাসরোধে হত্যার পর ফেলা রাখা হয়। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
প্রিন্ট