এছাড়াও স্কুলটিতে বিগত ৮ মাস পূর্বে গোপনে বড় অংকের উৎকোচ গ্রহন করে নামমাত্র পরিক্ষার মাধ্যমে অযোগ্য চার ব্যক্তিকে চতুর্থ শ্রেণীর ৪টি পদে ১জন অফিস সহায়ক, ১জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী, ১জন আয়া ও ১জন নৌশপ্রহরী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এমনি নানাবিদ অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যাচ্ছে (অনুন্নত ও বিল অঞ্চল) নারকেল বাড়ি গ্ৰামের একমাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি।
এবিষয়ে শিক্ষার্থীদের অভিভাবক সহ নারিকেল বাড়ি এলাকাবাসীর মধ্যে ব্যপক আলোচনা সমালোচনার পাশাপাশি ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
ওই এলাকার সমাজ সেবক পলাশ মিনা সাংবাদিকদের জানান, এলাকার প্রভাবশালী মহল ফরহাদ শেখের নেতৃত্বে দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয়টির ম্যানেজিং কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদ দখল করে রেখেছে। অসাধু কয়েকজন শিক্ষক ও অফিস সহকারী মকবুল হোসেন উকিল এর সাথে আঁতাত করে অনিয়ম ও দুর্নীতি মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে বিদ্যালয়টিকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দিয়েছে। এবিষয়ে কার্যকরী ব্যবস্থা নিতে শিক্ষা দপ্তরের উদ্ধতন কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন সমাজ সেবক পলাশ মিনা, শিক্ষার্থী অভিভাবক ও এলাকাবাসী।
তবে এসকল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিদ্যালয়টির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ফরহাদ শেখ, প্রধান শিক্ষক সুজিত ভৌমিক ও অফিস সহকারী মকবুল হোসেন উকিল। তাদের দাবি এলাকার একটি কুচক্রী মহল তাদের নামে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মুহাম্মদ সিদ্দিকুল ইসলাম বলেন, এ সকল অনিয়মের বিষয়ে কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। তবে পরিক্ষার ফির নামে বাড়তি টাকা নেওয়া বেআইনি। আমি খোঁজ নিয়ে দেখবো অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রিন্ট