বরগুনার আমতলী পৌরসভায় নিকাহ রেজিস্ট্রার (কাজী) অফিসে ভোগান্তির স্বিকার হচ্ছেন সাধারন মানুষ। তারা কাবিনের নকল নিতে পারছেনা। পুরাতন রেকর্ডপত্রাদী এখোনো জমা দেয়নি অবসরের প্রায় ৯ বছর পরে ও সাবেক কাজী ও তার পরিবার।
আমতলী পৌরসভার দায়িত্বপ্রাপ্ত কাজী মো. জয়নুল আবেদীন জানান, গত ২০/৪/২০১৫ ইং তারিখ আমতলী পৌরসভার ৪.৫.৬ নং ওয়ার্ডের নিকাহ রেজিষ্টার এজেডএম সালেহর অবসর জনিত কারনে তার নিকাহ রেজিষ্টার সম্পর্কিত সকল কার্যক্রম বন্দ করেন একই সঙ্গে তাহার অফিসে সংরক্ষিত যাবতীয় রেকর্ড পত্রাদী (ব্যাবহৃত/অব্যবহৃত)জেলা রেজিষ্টার বরগুনা এর সদর মহাফেজ খানায় জমা দেয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। বরগুনার তৎকালীন জেলা রেজিষ্টার মো. মকবুল হোসেন খান ।
কিন্ত অবসর প্রাপ্ত কাজী এজেএম সালেহ উক্তরেকর্ড পত্রাদী (ব্যাবহৃত/অব্যবহৃত) জমা দেয়নি। এজেএম সালেহ ২০১৮ সালে মৃত্যুবরন করেন ।
তার মৃত্যুর পরেও তার পরিবারের সদস্যরা অদ্যবদি রেকর্ড পত্রাদী (ব্যাবহৃত/অব্যবহৃত) জমা দেয়নি। আর রেকর্ড পত্রাদী জমা না দেওয়ার কারনে চরম ভোগান্তির মধ্যে রয়েছে ভুক্তভোগিরা । কোন কাবিনের নকল দিতে পারছেনা বলে জানান, দায়িত্বপ্রাপ্ত কাজী জয়নুল আবেদীন।
জেলা রেজিস্ট্রার মো. সিরাজুল করিম বলেন, এজেএম সালেহ ও তার পরিবার এখোনো রেকর্ড পত্রাদী মহাফেজ খানায় জমা দেয়নি। রেকর্ড পত্র জমা দেয়ার জন্য জরুরী ভিভিত্তে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয় এজেড এম সালেহর ছেলে মাহমুদ বলেন, এবিষয় আমি কোন কথা বলতে চাইনা।
এবিষয়ে আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, আমি বিষয়টি জেনেছি উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার ও জেলা রেজিস্ট্রারের সাথে কথা বলেছি তারা আমাকে বলছেন দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রিন্ট