ঢাকা , শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫, ২৮ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo রাজশাহী অঞ্চলের ৯১৩টি চালকল আসছে শাস্তির আওতায় Logo রাজাপুরে মামলা করে বিপাকে একটি পরিবার Logo কুষ্টিয়া ধর্ষণের শিকার’ কিশোরী জন্ম দিল ছেলে সন্তান Logo হরিপুরে জমি দখল নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষ, ১৪৪ ধারা জারি Logo ফিলিস্তিনে ইসরাইলী বাহিনীর গণহত্যার প্রতিবাদে পাংশায় বিক্ষোভ Logo ফিলিস্তিনিদের উপর গণহত্যার প্রতিবাদে পাংশায় তাওহীদি জনতার বিক্ষোভ সমাবেশ Logo বাঘায় ভুট্রার পাতা কাটছিল শফিকুল, পেছন থেকে কুপিয়ে মারলো গিয়াস Logo নরসিংদীর মাধবদীতে ১৮ দিনেও উদ্ধার হয়নি কিশোরী পরিবারে আর্তনাদ ! Logo পাংশায় নকলমুক্ত পরিবেশে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু Logo কুষ্টিয়ায় চালকল নেতার বাড়িতে গুলির ঘটনায় হত্যাচেষ্টা মামলা, গ্রেপ্তার ১
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

পদ্মায় ইলিশ মাছ ধরা বন্ধ হচ্ছে না

এখন ইলিশের প্রজনন মৌসুম চলছে। মা ইলিশ রক্ষায় টানা ১২ অক্টোবব থেকে ২নভেম্বর পর্যন্ত এই ২২ দিনের জন্য সরকার মাছধরা নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। তবুও অসাধু কিচ্ছু জেলেরা আইন অমান্য করে ভেড়ামারার পদ্মা নদীতে ইলিশ মাছ শিকার করছে। তারা প্রশাসনের চোঁখ ফাঁকি দিয়ে জাটকা থেকে শুরু করে দেড় কেজি পর্যন্ত ওজনের ইলিশ ধরছে। এর মধ্যে ডিমওয়ালা ইলিশ চোখে পরার মত।

 

স্থানীয়দের তথ্যমতে, পদ্মা নদীতে ইলিশ মাছ শিকার বন্ধে প্রতি বছর যে ধরনের কার্যক্রম চালানো হয় এ বছর তেমন একটা দেখা যাচ্ছে না। নদীতে অভিযানের পরিবর্তে নামমাত্র সভা-সেমিনার করেই দায়িত্ব শেষ করেছেন ভেড়ামারা মৎস্য কর্মকর্তা। এবার পদ্মা নদীতে প্রশাসনের তেমন কার্যক্রম না থাকায় অনায়াসেই ইলিশ শিকার করে যাচ্ছে জেলেরা।

 

উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানাগেছে, ভেড়ামারা উপজেলার চরাঞ্চলের চার ইউনিয়নের ইলিশ মাছ শিকারের জেলের সংখ্যা মোট ৮৮৬ জন । তারমধ্যে তালিকাভূক্ত জেলের সংখ্যা ৩৪০ জন।

 

ভেড়ামারা উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা শাম্মী শিরীন বলেন, ইলিশের নিরাপদ প্রজনন নিশ্চিত করতে আগামী ১২ অক্টোবর থেকে দুই নভেম্বর পর্যন্ত মা ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ করেছেন সরকার। এছাড়া জেলেদের সচেতন করার লক্ষ্যে আমরা বেশ কিছু মতবিনিময় সভা করেছি। ইলিশ ধরায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা, জেলেরা পাচ্ছেন ২৫ কেজি করে চাল।

 

তবে জেলেদের অভিযোগ- অভিযানের আগে বা অভিযানের সময় তাদের যে ভিজিএফ চাল দিয়ে সহযোগিতা করা হয় তা পর্যাপ্ত নয়। যাদের তালিকাভূক্ত করা হয়েছে,অনেকেই জেলে না। মূল জেলেরা এই তালিকার বাইরে থাকার কারণে তারা কোনো সাহায্য-সহযোগিতা পান না।

 

মোকারিমপুর ইউনিয়নের জেলে সুরুজ মিয়া বলেন, নাম নিবন্ধন আছে, তার পরও তাকে চাল দিয়ে হয়নি। চেয়ারম্যানের তালিকা অনুযায়ী চাল পায় বেশীর ভাগ ভ্যানচালক, ও রিকশাচালকরা। তাই মেটের দায়ে অভিযানের সময় তাদের বাধ্য হয়ে মাছ ধরতে নামতে হয় নদীতে।

 

একই এলাকার আরেক জেলে সুরমা আলী বলেন, বিগত সময়ে ৮০ কেজি করে চাল দেওয়া হলেও এখন দিচ্ছে ২৫ কেজি। এই সামান্য চালে ২২ দিন কীভাবে চলে? পরিবার পরিজন নিয়ে ধার-দেনা করে খুব কষ্টে চলতে হচ্ছে। সহযোগিতা না পেয়ে মাছ ধরছি।

 

উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা শাম্মী শিরীন জানান, নদীপাড়ের জেলেদের নিয়ে সচেতনতা সভা করা হয়েছে। নদীতে দু’একটি অভিযানও চালানো হয়েছে। কম লোকবল থাকার পরও ইলিশ শিকার বন্ধে কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। মা-ইলিশ রক্ষায় এবং অসাধু জেলেদের ধরতে অভিযান অব্যাহত থাকবে।

 

 

এ বিষয়ে ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আকাশ কুমার কুন্ডু বলেন, নদীতে মোবাইল টিম কাজ করছে। মা-ইলিশ নিধনে কারো কোনো ধরনের সম্পৃক্ততা থাকলে ছাড় দেওয়া হবে না। পদ্মায় নিয়মিত অভিযান চালছে। এই অভিযান নিষেধ্যজ্ঞা সময় পযন্ত অব্যাহত থাকবে।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Amin Hossain

জনপ্রিয় সংবাদ

রাজশাহী অঞ্চলের ৯১৩টি চালকল আসছে শাস্তির আওতায়

error: Content is protected !!

পদ্মায় ইলিশ মাছ ধরা বন্ধ হচ্ছে না

আপডেট টাইম : ০৮:১৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৩
ইসমাইল হোসেন বাবু, কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি :

এখন ইলিশের প্রজনন মৌসুম চলছে। মা ইলিশ রক্ষায় টানা ১২ অক্টোবব থেকে ২নভেম্বর পর্যন্ত এই ২২ দিনের জন্য সরকার মাছধরা নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। তবুও অসাধু কিচ্ছু জেলেরা আইন অমান্য করে ভেড়ামারার পদ্মা নদীতে ইলিশ মাছ শিকার করছে। তারা প্রশাসনের চোঁখ ফাঁকি দিয়ে জাটকা থেকে শুরু করে দেড় কেজি পর্যন্ত ওজনের ইলিশ ধরছে। এর মধ্যে ডিমওয়ালা ইলিশ চোখে পরার মত।

 

স্থানীয়দের তথ্যমতে, পদ্মা নদীতে ইলিশ মাছ শিকার বন্ধে প্রতি বছর যে ধরনের কার্যক্রম চালানো হয় এ বছর তেমন একটা দেখা যাচ্ছে না। নদীতে অভিযানের পরিবর্তে নামমাত্র সভা-সেমিনার করেই দায়িত্ব শেষ করেছেন ভেড়ামারা মৎস্য কর্মকর্তা। এবার পদ্মা নদীতে প্রশাসনের তেমন কার্যক্রম না থাকায় অনায়াসেই ইলিশ শিকার করে যাচ্ছে জেলেরা।

 

উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানাগেছে, ভেড়ামারা উপজেলার চরাঞ্চলের চার ইউনিয়নের ইলিশ মাছ শিকারের জেলের সংখ্যা মোট ৮৮৬ জন । তারমধ্যে তালিকাভূক্ত জেলের সংখ্যা ৩৪০ জন।

 

ভেড়ামারা উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা শাম্মী শিরীন বলেন, ইলিশের নিরাপদ প্রজনন নিশ্চিত করতে আগামী ১২ অক্টোবর থেকে দুই নভেম্বর পর্যন্ত মা ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ করেছেন সরকার। এছাড়া জেলেদের সচেতন করার লক্ষ্যে আমরা বেশ কিছু মতবিনিময় সভা করেছি। ইলিশ ধরায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা, জেলেরা পাচ্ছেন ২৫ কেজি করে চাল।

 

তবে জেলেদের অভিযোগ- অভিযানের আগে বা অভিযানের সময় তাদের যে ভিজিএফ চাল দিয়ে সহযোগিতা করা হয় তা পর্যাপ্ত নয়। যাদের তালিকাভূক্ত করা হয়েছে,অনেকেই জেলে না। মূল জেলেরা এই তালিকার বাইরে থাকার কারণে তারা কোনো সাহায্য-সহযোগিতা পান না।

 

মোকারিমপুর ইউনিয়নের জেলে সুরুজ মিয়া বলেন, নাম নিবন্ধন আছে, তার পরও তাকে চাল দিয়ে হয়নি। চেয়ারম্যানের তালিকা অনুযায়ী চাল পায় বেশীর ভাগ ভ্যানচালক, ও রিকশাচালকরা। তাই মেটের দায়ে অভিযানের সময় তাদের বাধ্য হয়ে মাছ ধরতে নামতে হয় নদীতে।

 

একই এলাকার আরেক জেলে সুরমা আলী বলেন, বিগত সময়ে ৮০ কেজি করে চাল দেওয়া হলেও এখন দিচ্ছে ২৫ কেজি। এই সামান্য চালে ২২ দিন কীভাবে চলে? পরিবার পরিজন নিয়ে ধার-দেনা করে খুব কষ্টে চলতে হচ্ছে। সহযোগিতা না পেয়ে মাছ ধরছি।

 

উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা শাম্মী শিরীন জানান, নদীপাড়ের জেলেদের নিয়ে সচেতনতা সভা করা হয়েছে। নদীতে দু’একটি অভিযানও চালানো হয়েছে। কম লোকবল থাকার পরও ইলিশ শিকার বন্ধে কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। মা-ইলিশ রক্ষায় এবং অসাধু জেলেদের ধরতে অভিযান অব্যাহত থাকবে।

 

 

এ বিষয়ে ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আকাশ কুমার কুন্ডু বলেন, নদীতে মোবাইল টিম কাজ করছে। মা-ইলিশ নিধনে কারো কোনো ধরনের সম্পৃক্ততা থাকলে ছাড় দেওয়া হবে না। পদ্মায় নিয়মিত অভিযান চালছে। এই অভিযান নিষেধ্যজ্ঞা সময় পযন্ত অব্যাহত থাকবে।


প্রিন্ট