যথাযোগ্য মর্যাদায় ১৮ অক্টোবর বুধবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা বেগম শেখ ফজিলাতুন নেছার কনিষ্ঠ পুত্র শহীদ শেখ রাসেলের ৬০তম জন্মদিন উদযাপন করেছে জেনেভাস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস। দিবসটি পালন উপলক্ষ্যে মিশন মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভার শুরুতে শহীদ শেখ রাসেল-এর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
এরপর ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট খুনি-ঘাতক চক্রের হাতে নিহত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও পরিবারের সদস্যদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়। দিবসটি উপলক্ষ্যে মিশনের কর্মকর্তাগণ মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধামন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনান । অনুষ্ঠানের পরবর্তী পর্বে বড় পর্দায় শিশু রাসেল এর আলোকিত শৈশব ও রাজনৈতিক পরিবারে বেড়ে উঠা নিয়ে প্রামাণ্যচিত্র ও দিবসটি পালনের প্রতিপাদ্য বিষয় নিয়ে নির্মিত মিউজিক ভিডিও প্রদর্শন করা হয়।
শেখ রাসেল দিবস ২০২৩ উদযাপন উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন, জেনেভা আয়োজিত আলোচনা সভায় রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি মোঃ সুফিউর রহমান বলেন – জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা-এর কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেল ১৯৬৪ সালের এই দিনে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কের বাসায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট মানবতার ঘৃণ্য শত্রু স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তির নির্মম বুলেটের হাত থেকে রক্ষা পায়নি বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলও। শিশু রাসেল হত্যাকান্ড ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসে নিষ্ঠুরতম মানবাধিকার লংঘনের ঘটনা।
রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, শেখ রাসেল আজ বাঙালির সবচেয়ে বেদনাদয়ক ট্রাজেডির নাম। বঙ্গবন্ধুর অতি আদরের সন্তান শেখ রাসেল বেঁচে থাকলে আজ পিতার মতোই সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠে দেশ ও সমাজ গঠনে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতেন। অনুপ্রেরণার উৎস হতে পারতেন সকল মানবিক কর্মকান্ডের। নেতৃত্ব দিতেন বিশ্বের নিপীড়িত মানুষের মুক্তির দূত হয়ে। এমন এক উজ্জ্বল শিশুর সত্তা বুকে ধারণ করে বাংলাদেশের শিশুরা বড় হোক। শিশুদের অধিকার আদায়ের প্রতীক হয়ে সবার মাঝে বেঁচে থাকুক শেখ রাসেল। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়তে দেশের সব শিশু এগিয়ে আসুক-এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন রাষ্ট্রদূত।
সুইজারল্যান্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি জমাদার নজরুল ইসলাম তার বক্তব্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের নির্মম হত্যাকে উপস্থিত সকলকে তাদের নিজ পরিবারে ঘটলে কেমন অনুভূতি হত এটা উপলব্ধি করার অনুরোধ জানান।
সাধারণ সম্পাদক শ্যামল খান বঙ্গবন্ধু পরিবারের নির্মম হত্যাকাণ্ডের কথা উল্লেখ করে বলেন – একাত্তরের পরাজিত শক্তি ও তাদের সম্রাজ্যবাদী কুচক্রী দোসরেরা যেন এরকম ঘটনার পুনরাবৃত্তি করতে না পারে সেই লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধভাবে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে আরো শক্তিশালী করতে এবং আগামী জাতীয় নির্বাচনে জননেত্রী শেখ হাসিনার বিজয় নিশ্চিত করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
সুইজারল্যান্ড প্রবাসী, মিশনের কর্মকর্তা/কর্মচারীবৃন্দ ও বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্যবৃন্দ আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন। অভ্যাগত অতিথিদের আপ্যায়নের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
প্রিন্ট