ঢাকা , রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo সংবাদ সম্মেলনে মাধ্যমে নির্বাচনে প্রার্থিতা বর্জনের ঘোষণা দিলেন সালথা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী অহিদুজ্জামান Logo ফরিদপুরে প্রভু জগৎবন্ধু সুন্দরের ১৫৪ তম শুভ আবির্ভাব উৎসব শ্রীধাম শ্রী অঙ্গনে ভক্তবৃন্দের ঢল Logo নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন চেয়ারম্যান প্রার্থী মিলন মৃধা Logo ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধের দাবীতে লন্ডনে যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভ অব্যাহত Logo মোহনপুরে অর্ধশতাধিক পয়েন্টে অবৈধ পুকুর খনন ও মাটি বানিজ্যে Logo কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সদর খানকে শোকজ Logo সদরপুরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত Logo মোঃ ইমান আলী মোল্লাকে ফুলের শুভেচ্ছা প্রদান করল জাতীয় শ্রমিক লীগ Logo রাজশাহীতে এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ ধান উৎপাদন Logo ফরিদপুরের চর মাধবদিয়া ইউনিয়নে বিট পুলিশিং সভা অনুষ্ঠিত
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

কুষ্টিয়ায় পাটে নয় পাটকাঠিতে বেশী দাম পেয়ে খুশি চাষীরা

কুষ্টিয়ায় পাটে নয়,পাটকাঠিতে বেশী দাম পেয়ে কৃষকের মুখে হাসি। বাণিজ্যিকভাবে পাটকাঠির ব্যবহার বৃদ্ধির কারণে কদর বেড়েছে পাটকাঠির। কৃষকের বাড়তি আয় হচ্ছে পাটকাঠি বিক্রি করে। এই জন্য পাটকাঠির যত্নও নিচ্ছেন কৃষকরা বেশী।

এক সময় মানুষ পাটকাঠি ফেলে দিতো। আবার কখনও রান্নার জ্বালানি বা ঘরের বেড়া তৈরিতে ব্যবহার করা হতো। কিন্তু বর্তমানে বিশ্ববাজারে পাটকাঠির চাহিদা বেড়েছে। তাই এ অঞ্চলের কৃষকরা সোনালি আঁশের রুপালি কাঠিতে আশার আলো দেখছেন।

এক সময় জ্বালানীর বিকল্প হিসেবে পাটকাঠি (পাটখড়ি) ব্যবহার হতো গ্রামাঞ্চলে। এখন বহুমুখী ব্যবহারে পাটকাঠি বা পাটখড়ির চাহিদা তিনগুন বেড়েছে। বর্তমানে একবিঘা জমিতে যেদামে পাট বিক্রি হচ্ছে তার দ্বিগুণ দামে কৃষক পাটখড়ি বিক্রি করে বেশী টাকা গুনছে। আবার পাটকাঠির ছাই ও ফেলনা না। এর ছাই ব্যবহার হচ্ছে ফসলের ক্ষেতে।

কৃষকরা জানিয়েছেন- বৃষ্টি আর বর্ষার পানির অভাবে এবার পাট জাগ দিতে হিমশিম খেয়েছে চাষিরা। মাটি খুঁড়ে পাট জাগ দিতে বাধ্য হয়েছে অনেকেই। এতে পাটের কালার নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে পাটের দামও তুলনামূলক এই অঞ্চলে কম বলে জানিয়েছে কৃষকরা।

উপজেলার মোকারিমপুর ইউনিয়নের ক্ষেমিরদিয়াড় গ্রামের পাট চাষি লাল ফকির ও নুরু মোল্লা বলেন, এবার জমিতে বেশী পাট আবাদ করে লোকসান গুনতে হচ্ছে। এক মণ পাট বিক্রি করছি মাত্র ১৭শ’ থেকে ১৮শ’ টাকা। বিঘা প্রতি খরচ হয়েছে ২১শ’ থেকে ২২শ’ টাকা।

উপজেলার জুনিয়াদহ ইউনিয়নের জগশ্বর এলাকার আমির দফাদারসহ আরও কয়েকজন চাষিরা জানান, এবার পাট বিক্রি করে নয় পাটকাঠিতে আমাদের আশা জাগিয়েছে। এখন পাটকাঠি বিক্রি করে ভালো দাম পাচ্ছি। ছোট ছোট করে বাধা ১০০ আটি পাটকাঠি এক হাজার থেকে ১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

 

 

ভেড়ামারা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের কৃষি কর্মকর্তা শায়খুল ইসলাম বলেন, ভেড়ামারায় ৪১২০ হেক্টর জমিতে পাট এর টার্গেট ছিলো। বাস্তবে চাষ আবাদ হয়েছে ৪২৯০ হেক্টর জমিতে। যা গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি। ভেড়ামারায় বেশি পাট চাষ হওয়ায় উপজেলা জুড়ে পাটের পাশাপাশি বেড়েছে পাটকাঠিও। পাট ও পাটকাঠির ভালো দাম পাওয়ায় প্রতি বছরই ভেড়ামারাতে পাটের আবাদ বাড়ছে। বৃষ্টি না থাকায় পানির অভাবে পাট জাগে পাটের ভালো কালার না হওয়ায় দাম কম পাচ্ছে কৃষকরা। কিন্তু পাটকাঠি বেশী দামে বিক্রি করতে পেরে কৃষকরা বড় ধরনের ক্ষতি পুষিয়ে নিচ্ছেন।

Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

সংবাদ সম্মেলনে মাধ্যমে নির্বাচনে প্রার্থিতা বর্জনের ঘোষণা দিলেন সালথা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী অহিদুজ্জামান

error: Content is protected !!

কুষ্টিয়ায় পাটে নয় পাটকাঠিতে বেশী দাম পেয়ে খুশি চাষীরা

আপডেট টাইম : ০৫:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩

কুষ্টিয়ায় পাটে নয়,পাটকাঠিতে বেশী দাম পেয়ে কৃষকের মুখে হাসি। বাণিজ্যিকভাবে পাটকাঠির ব্যবহার বৃদ্ধির কারণে কদর বেড়েছে পাটকাঠির। কৃষকের বাড়তি আয় হচ্ছে পাটকাঠি বিক্রি করে। এই জন্য পাটকাঠির যত্নও নিচ্ছেন কৃষকরা বেশী।

এক সময় মানুষ পাটকাঠি ফেলে দিতো। আবার কখনও রান্নার জ্বালানি বা ঘরের বেড়া তৈরিতে ব্যবহার করা হতো। কিন্তু বর্তমানে বিশ্ববাজারে পাটকাঠির চাহিদা বেড়েছে। তাই এ অঞ্চলের কৃষকরা সোনালি আঁশের রুপালি কাঠিতে আশার আলো দেখছেন।

এক সময় জ্বালানীর বিকল্প হিসেবে পাটকাঠি (পাটখড়ি) ব্যবহার হতো গ্রামাঞ্চলে। এখন বহুমুখী ব্যবহারে পাটকাঠি বা পাটখড়ির চাহিদা তিনগুন বেড়েছে। বর্তমানে একবিঘা জমিতে যেদামে পাট বিক্রি হচ্ছে তার দ্বিগুণ দামে কৃষক পাটখড়ি বিক্রি করে বেশী টাকা গুনছে। আবার পাটকাঠির ছাই ও ফেলনা না। এর ছাই ব্যবহার হচ্ছে ফসলের ক্ষেতে।

কৃষকরা জানিয়েছেন- বৃষ্টি আর বর্ষার পানির অভাবে এবার পাট জাগ দিতে হিমশিম খেয়েছে চাষিরা। মাটি খুঁড়ে পাট জাগ দিতে বাধ্য হয়েছে অনেকেই। এতে পাটের কালার নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে পাটের দামও তুলনামূলক এই অঞ্চলে কম বলে জানিয়েছে কৃষকরা।

উপজেলার মোকারিমপুর ইউনিয়নের ক্ষেমিরদিয়াড় গ্রামের পাট চাষি লাল ফকির ও নুরু মোল্লা বলেন, এবার জমিতে বেশী পাট আবাদ করে লোকসান গুনতে হচ্ছে। এক মণ পাট বিক্রি করছি মাত্র ১৭শ’ থেকে ১৮শ’ টাকা। বিঘা প্রতি খরচ হয়েছে ২১শ’ থেকে ২২শ’ টাকা।

উপজেলার জুনিয়াদহ ইউনিয়নের জগশ্বর এলাকার আমির দফাদারসহ আরও কয়েকজন চাষিরা জানান, এবার পাট বিক্রি করে নয় পাটকাঠিতে আমাদের আশা জাগিয়েছে। এখন পাটকাঠি বিক্রি করে ভালো দাম পাচ্ছি। ছোট ছোট করে বাধা ১০০ আটি পাটকাঠি এক হাজার থেকে ১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

 

 

ভেড়ামারা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের কৃষি কর্মকর্তা শায়খুল ইসলাম বলেন, ভেড়ামারায় ৪১২০ হেক্টর জমিতে পাট এর টার্গেট ছিলো। বাস্তবে চাষ আবাদ হয়েছে ৪২৯০ হেক্টর জমিতে। যা গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি। ভেড়ামারায় বেশি পাট চাষ হওয়ায় উপজেলা জুড়ে পাটের পাশাপাশি বেড়েছে পাটকাঠিও। পাট ও পাটকাঠির ভালো দাম পাওয়ায় প্রতি বছরই ভেড়ামারাতে পাটের আবাদ বাড়ছে। বৃষ্টি না থাকায় পানির অভাবে পাট জাগে পাটের ভালো কালার না হওয়ায় দাম কম পাচ্ছে কৃষকরা। কিন্তু পাটকাঠি বেশী দামে বিক্রি করতে পেরে কৃষকরা বড় ধরনের ক্ষতি পুষিয়ে নিচ্ছেন।