ঢাকা , রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫, ২ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo মধুখালীতে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপির) উদ্যোগে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত Logo মধুখালীতে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন উদ্বোধন Logo মধুখালীতে প্রথম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা ! Logo মধুখালী উপজেলা প্রেসক্লাবের আয়োজনে ইফতার দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত Logo রাজশাহীতে ৫ কেজি হেরোইনসহ দুই নারী মাদককারবারি গ্রেফতার Logo নড়াইলে দুপক্ষের সংঘর্ষে যুবক নিহত, অস্ত্র ও গুলিসহ আটক-২ Logo কালুখালীতে ডিবি পুলিশের হাতে আকবর গ্রেফতার Logo মানবিক আচরণের মধ্যে দিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে: মিজানুর রহমান মোল্লা Logo বড়াইগ্রামে প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ২ Logo বাগাতিপাড়া উপজেলা বিএনপির ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

সালথায় শিশু ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে তিন সন্তানের জনক গ্রেফতার

ফরিদপুরের সালথায় ৬ বছর বয়সি এক শিশুকন্যাকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে শিশুটির বাবা বাদী হয়ে সালথা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন। যাহার মামলা নং ১৯।

 

পুলিশ অভিযুক্ত একমাত্র আসামি নুরইসলাম মাতুব্বর তিন সন্তানের জনক (৪০) কে গ্রেফতার করেছে। সে উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের মইফুলদে গ্রামের খালেক মাতুব্বরের ছেলে।

মালার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, নির্যাতনের শিকার শিশুটির বাবা একজন দিনমুজুর। দরিদ্রতার কারণে তিনি মানুষের ক্ষেতে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। আসামি ভিকটিমের প্রতিবেশী ও গ্রাম সম্পর্কে চাচা হন।

 

শিশুটির মা বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার আগ মুহুর্তে প্রতিবেশি গ্রাম্য ডাক্তার সঞ্জায় এর বাড়িতে রজনি করা দুধ আনতে আমার মেয়েকে পাঠাই। দুধ না পেয়ে ফিরে আসছিলো আমার মেয়ে , পথে খড়ির স্তুপের মধ্যে নিয়ে গিয়ে আসামী নুরইসলাম আমার মেয়েকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় মেয়েটি ভয়ে চিৎকার করে। আশপাশের লোকজন ছুটে আসলে সে পালিয়ে যায়। মেয়ে ভয়ে কাঁদতে কাঁদতে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। পরে স্থানীয় লোকজন সালথা থানা পুলিশ কে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনা স্থলে এসে আমার মেয়েকে থানায় নিয়ে যায়। থানায় গিয়ে আমার স্বামী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করে। পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে আসামীকে গ্রেফতার করে।

 

 

সালথা থানার উপপরিদর্শক মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই আজাদ জানান, এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে থানায় মামলা হয়। আমরা রাতে অভিযান চালিয়ে আসামিকে গ্রেফতার করি। শুক্রবার সকালে তাকে আদালতের মাধ্যমে ফরিদপুর কারাগারে পাঠানো হয়েছে। নির্যাতিত শিশুটি জবানবন্দি গ্রহনের জন্য বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

মধুখালীতে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপির) উদ্যোগে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

error: Content is protected !!

সালথায় শিশু ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে তিন সন্তানের জনক গ্রেফতার

আপডেট টাইম : ০১:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
এফ.এম আজিজুর রহমান, সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি :

ফরিদপুরের সালথায় ৬ বছর বয়সি এক শিশুকন্যাকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে শিশুটির বাবা বাদী হয়ে সালথা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন। যাহার মামলা নং ১৯।

 

পুলিশ অভিযুক্ত একমাত্র আসামি নুরইসলাম মাতুব্বর তিন সন্তানের জনক (৪০) কে গ্রেফতার করেছে। সে উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের মইফুলদে গ্রামের খালেক মাতুব্বরের ছেলে।

মালার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, নির্যাতনের শিকার শিশুটির বাবা একজন দিনমুজুর। দরিদ্রতার কারণে তিনি মানুষের ক্ষেতে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। আসামি ভিকটিমের প্রতিবেশী ও গ্রাম সম্পর্কে চাচা হন।

 

শিশুটির মা বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার আগ মুহুর্তে প্রতিবেশি গ্রাম্য ডাক্তার সঞ্জায় এর বাড়িতে রজনি করা দুধ আনতে আমার মেয়েকে পাঠাই। দুধ না পেয়ে ফিরে আসছিলো আমার মেয়ে , পথে খড়ির স্তুপের মধ্যে নিয়ে গিয়ে আসামী নুরইসলাম আমার মেয়েকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় মেয়েটি ভয়ে চিৎকার করে। আশপাশের লোকজন ছুটে আসলে সে পালিয়ে যায়। মেয়ে ভয়ে কাঁদতে কাঁদতে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। পরে স্থানীয় লোকজন সালথা থানা পুলিশ কে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনা স্থলে এসে আমার মেয়েকে থানায় নিয়ে যায়। থানায় গিয়ে আমার স্বামী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করে। পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে আসামীকে গ্রেফতার করে।

 

 

সালথা থানার উপপরিদর্শক মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই আজাদ জানান, এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে থানায় মামলা হয়। আমরা রাতে অভিযান চালিয়ে আসামিকে গ্রেফতার করি। শুক্রবার সকালে তাকে আদালতের মাধ্যমে ফরিদপুর কারাগারে পাঠানো হয়েছে। নির্যাতিত শিশুটি জবানবন্দি গ্রহনের জন্য বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে।


প্রিন্ট