ঢাকা , বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo দৌলতপুর সীমান্তে উদ্ধার ভূখণ্ডে সীমান্ত পিলার স্থাপন করবে বিজিবি Logo শিশু তাহমিদ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে শীতার্থদের মাঝে কম্বল বিতরণ Logo যশোরে সজাগ’র কম্বল বিতরণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত Logo রাজশাহী জেলা ছাত্রদল নেতার পিতা বাচ্চু সরকারের দাফন সম্পন্ন Logo লালপুরে মাদক বিরোধী অভিযানে গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক Logo হাতিয়ায় ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত Logo ফরিদপুরে যুবককে কুপিয়ে হত্যার দায়ে একজনের যাবজ্জীবন Logo পাংশায় ডায়াগনস্টিক এন্ড ক্লিনিক এ্যাসোসিয়েশনের নবগঠিত কমিটির পরিচিতি সভা Logo বাংলাদেশ ও ঘানার জন্য আইএইচডিএফ গ্লোবাল মেডিকেল ক্যাম্প ইনিশিয়েটিভ ঘোষণা Logo বোয়ালমারীতে অরক্ষিত রেলক্রসিং ট্রেনের ধাক্কায় নছিমন চালক নিহত
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

‘দাফনের’ পাঁচদিন পর জীবিত ফিরলেন গৃহবধূ

ফরিদপুরের সদরপুরে নিখোঁজের ১৫ দিন পর লাশ উদ্ধার এবং লাশ দাফনের ৫ দিন পর হাসি বেগম(২৪) নামের এক নারীকে জীবন্ত উদ্ধারের ঘটনা ঘটেছে। হাসি বেগম উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের শৌলডুবী গ্রামের হাবিবুর রহমানের মেয়ে। এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে নানা প্রশ্ন ও চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

 

সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সদরপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই)মো. নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ময়মনসিংহের নান্দাইল থেকে হাসি বেগমকে আটক করে সদরপুর থানায় নিয়ে আসেন। এর আগে গত ৭ সেপ্টেম্বর হাসি বেগম নিখোঁজ হন। গত ২০ সেপ্টেম্বর তার পরিবারের তত্ত্বাবধানে শৌলডুবী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

 

এলাকাবাসী ও পুলিশ সুত্রে জানাগেছে, গত ৮ বছর পূর্বে একই উপজেলার চরবিষ্ণুপুর ইউনিয়নের বড় বাড়ির মৃত শাহাআলম শেখের ছেলে মোতালেব শেখের সাথে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয় হাসি বেগমের। তাদের হুসাইন নামক ৭ বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। গত ৭ সেপ্টেম্বর হাসি বেগম তার শশুর বাড়ি থেকে বিদ্যুৎ বিল দেওয়ার কথা বলে সদরপুর আসার উদ্দেশ্যে বের হওয়ার পর থেকে নিখোঁজ হয় হাসি বেগম।

 

এ ঘটনায় হাসির বাবা শেখ হাবিবুর রহমান গত ১১ সেপ্টেম্বর সদরপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে উল্লেখ করা হয় তার মেয়ে হাসি বেগমকে হত্যা করে লাশ গুম করেছে জামাতা মোতালেব শেখ (৪৫)।পরবর্তীতে দুই দিন পর ১৪ সেপ্টেম্বর হাসির স্বামী মোতালেব শেখ সদরপুর থানায় পাল্টা একটি অভিযোগ দায়ের করেন এবং অভিযোগে উল্লেখ করেন তার স্ত্রী হাসি বেগম নগদ টাকাসহ প্রায় ১০ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে বাবার বাড়িতে পালিয়ে গেছে।

 

এদিকে গত ২০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় ভাঙ্গা উপজেলার মানিকদহ ইউনিয়নের আদমপুর এলাকার নাউটানা এলাকায় কচুরিপানার ভেতর থেকে একটি অর্ধগলিত নারীর লাশ উদ্ধার করে ভাঙ্গা থানা পুলিশ। পরবর্তীতে নিখোঁজ হাসি বেগমের মা সালমা বেগম লাশের কোমরে একটি তাবিজ ও পায়ের একটি আঙুল ছোট থাকায় নিখোঁজ হাসি বেগমের লাশ হিসেবে শনাক্ত করলে ময়নাতদন্ত ও আইনগত প্রক্রিয়ার পর শৌলডুবী মদিনাতুল কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়।

 

অপরদিকে, অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ চলা অবস্থায় গত ২৩ সেপ্টেম্বর হাসি বেগম ফোন করে তার বাবা-মাকে জানায় সে জীবিত আছে। পরবর্তীতে সোমবার সদরপুর থানা পুলিশ হাসি বেগমকে ময়মনসিংহের নান্দাইল থেকে জীবিত উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন।

 

এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার মোঃ গফফার শিকদার বলেন,এর আগে জানতে পারি নিখোঁজের পর হাসি বেগমের লাশ পাওয়া গেছে এবং পরবর্তীতে তার পরিবারের লোকজন হাসির লাশও দাফন করে। হঠাৎ আবার জানতে পারলাম হাসি বেগম মারা যায়নি।

এ বিষয়ে জেলা পরিষদের সদস্য, এখলাছ আলী বলেন, এ রকম একটি ঘটনা লোকমুখে শুনেছি। কিন্তু বিস্তারিত তথ্য জানতে পারিনি।

 

 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সদরপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মামুন আল রশিদ বলেন, হাসি বেগমকে ময়মনসিংহের নান্দাইল এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি থানায় আছেন। এখনই এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানানো সম্ভব নয়। পরবর্তীতে বিস্তারিত জানানো যাবে। ঘটনাটি ভাঙ্গা ও সদরপুর থানার জড়িয়ে আছে বিধায় সঠিক কিছু বলতে একটু সময় লাগবে।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

দৌলতপুর সীমান্তে উদ্ধার ভূখণ্ডে সীমান্ত পিলার স্থাপন করবে বিজিবি

error: Content is protected !!

‘দাফনের’ পাঁচদিন পর জীবিত ফিরলেন গৃহবধূ

আপডেট টাইম : ০২:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩
মোঃ হুমায়ুন কবির, সদরপুর (ফরিদপুর) প্রতিনিধি :

ফরিদপুরের সদরপুরে নিখোঁজের ১৫ দিন পর লাশ উদ্ধার এবং লাশ দাফনের ৫ দিন পর হাসি বেগম(২৪) নামের এক নারীকে জীবন্ত উদ্ধারের ঘটনা ঘটেছে। হাসি বেগম উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের শৌলডুবী গ্রামের হাবিবুর রহমানের মেয়ে। এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে নানা প্রশ্ন ও চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

 

সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সদরপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই)মো. নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ময়মনসিংহের নান্দাইল থেকে হাসি বেগমকে আটক করে সদরপুর থানায় নিয়ে আসেন। এর আগে গত ৭ সেপ্টেম্বর হাসি বেগম নিখোঁজ হন। গত ২০ সেপ্টেম্বর তার পরিবারের তত্ত্বাবধানে শৌলডুবী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

 

এলাকাবাসী ও পুলিশ সুত্রে জানাগেছে, গত ৮ বছর পূর্বে একই উপজেলার চরবিষ্ণুপুর ইউনিয়নের বড় বাড়ির মৃত শাহাআলম শেখের ছেলে মোতালেব শেখের সাথে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয় হাসি বেগমের। তাদের হুসাইন নামক ৭ বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। গত ৭ সেপ্টেম্বর হাসি বেগম তার শশুর বাড়ি থেকে বিদ্যুৎ বিল দেওয়ার কথা বলে সদরপুর আসার উদ্দেশ্যে বের হওয়ার পর থেকে নিখোঁজ হয় হাসি বেগম।

 

এ ঘটনায় হাসির বাবা শেখ হাবিবুর রহমান গত ১১ সেপ্টেম্বর সদরপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে উল্লেখ করা হয় তার মেয়ে হাসি বেগমকে হত্যা করে লাশ গুম করেছে জামাতা মোতালেব শেখ (৪৫)।পরবর্তীতে দুই দিন পর ১৪ সেপ্টেম্বর হাসির স্বামী মোতালেব শেখ সদরপুর থানায় পাল্টা একটি অভিযোগ দায়ের করেন এবং অভিযোগে উল্লেখ করেন তার স্ত্রী হাসি বেগম নগদ টাকাসহ প্রায় ১০ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে বাবার বাড়িতে পালিয়ে গেছে।

 

এদিকে গত ২০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় ভাঙ্গা উপজেলার মানিকদহ ইউনিয়নের আদমপুর এলাকার নাউটানা এলাকায় কচুরিপানার ভেতর থেকে একটি অর্ধগলিত নারীর লাশ উদ্ধার করে ভাঙ্গা থানা পুলিশ। পরবর্তীতে নিখোঁজ হাসি বেগমের মা সালমা বেগম লাশের কোমরে একটি তাবিজ ও পায়ের একটি আঙুল ছোট থাকায় নিখোঁজ হাসি বেগমের লাশ হিসেবে শনাক্ত করলে ময়নাতদন্ত ও আইনগত প্রক্রিয়ার পর শৌলডুবী মদিনাতুল কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়।

 

অপরদিকে, অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ চলা অবস্থায় গত ২৩ সেপ্টেম্বর হাসি বেগম ফোন করে তার বাবা-মাকে জানায় সে জীবিত আছে। পরবর্তীতে সোমবার সদরপুর থানা পুলিশ হাসি বেগমকে ময়মনসিংহের নান্দাইল থেকে জীবিত উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন।

 

এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার মোঃ গফফার শিকদার বলেন,এর আগে জানতে পারি নিখোঁজের পর হাসি বেগমের লাশ পাওয়া গেছে এবং পরবর্তীতে তার পরিবারের লোকজন হাসির লাশও দাফন করে। হঠাৎ আবার জানতে পারলাম হাসি বেগম মারা যায়নি।

এ বিষয়ে জেলা পরিষদের সদস্য, এখলাছ আলী বলেন, এ রকম একটি ঘটনা লোকমুখে শুনেছি। কিন্তু বিস্তারিত তথ্য জানতে পারিনি।

 

 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সদরপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মামুন আল রশিদ বলেন, হাসি বেগমকে ময়মনসিংহের নান্দাইল এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি থানায় আছেন। এখনই এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানানো সম্ভব নয়। পরবর্তীতে বিস্তারিত জানানো যাবে। ঘটনাটি ভাঙ্গা ও সদরপুর থানার জড়িয়ে আছে বিধায় সঠিক কিছু বলতে একটু সময় লাগবে।


প্রিন্ট