ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo খোকসা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন, চেয়ারম্যান নির্বাচিত ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী Logo কালুখালীতে স্বাস্থ্য সেবার মান পরিবর্তন! Logo কালুখালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে টিটু সুমন ও টুকটুকি বিজয়ী Logo ফরিদপুর তিনটি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন যারা Logo তানোরে চেয়ারম্যান পদে ময়না, ভাইস চেয়ারম্যান তানভীর রেজা ও সোনিয়া নির্বাচিত Logo বাঘায় তিরস্কারমূূলক কথা বলার জেরে মারধর, আহত-৪ Logo নলছিটিতে চোরাই অটোরিকশাসহ আটক -২ Logo তীব্র গরমে ভেড়ামারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বাড়ছে ডায়রিয়া রোগী Logo কুষ্টিয়া বিএডিসি (সার) অফিসের এডির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ Logo কুষ্টিয়া ভোটকেন্দ্রে বিশৃঙ্খলাঃ আচরণ‌বি‌ধি লঙ্ঘ‌নের অ‌ভি‌যো‌গে কাউন্সিলর আটক
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

বিয়ের দাবিতে শিক্ষকের বাড়িতে ভাবির অবস্থান

-স্কুলশিক্ষকের বাড়িতে নারীর অবস্থান।

শরীয়তপুরের ডামুড্যায় বিয়ের দাবিতে আক্তার হোসেন নামের এক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্কুলশিক্ষকের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন এক নারী (৩৪)। এ ঘটনার পর থেকে আক্তার হোসেন পলাতক।

 

রবিবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে উপজেলার ধানকাঠি ইউনিয়নের চরপাতালিয়া এলাকার ৫৫ নম্বর বাহেরচর হাওলাদারকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আক্তার হোসেনের বাড়িতে অবস্থান নেন ওই নারী।

 

জানা যায়, স্কুলশিক্ষক আক্তার হোসেন এবং ওই নারী সম্পর্কে দেবর-ভাবি। তাদের মধ্যে আট মাস ধরে পরকীয়ার সম্পর্ক চলে আসছে। পরে একাধিকবার তারা শারীরিক সম্পর্কে জড়ান। তবে বিয়েতে অস্বীকৃতি জানালে বাড়িতে এসে অবস্থান নেন ওই নারী।

 

ভুক্তভোগী নারীর ভাষ্যমতে, তার স্বামী প্রবাসে থাকেন। তার বাচ্চাদের পড়াশোনার অজুহাতে আক্তার প্রায়ই বাড়িতে যাতায়াত করতেন। একপর্যায়ে জোর করে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন আক্তার হোসেন। শারীরিক সম্পর্কের ওই ভিডিও ধারণা করে প্রায়ই তাকে ব্ল্যাকমেইল করে বাড়িতে নিয়ে যেতেন তিনি। একপর্যায়ে তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ঢাকায় নিয়ে তার এক ভাইয়ের বাসায় ফেলে রেখে চলে যান আক্তার হোসেন। ঘটনা জানাজানি হলে ওই নারীর স্বামী তাকে ডিভোর্স লেটার পাঠান। এরপর থেকেই আক্তার হোসেন তাকে এড়িয়ে চলা শুরু করলে বাধ্য হয়ে তার বাড়িতে অবস্থান নেন ভুক্তভোগী নারী। তাকে বিয়ে না করলে আত্মহত্যার হুমকি দেন ওই নারী।

স্কুলশিক্ষক আক্তার হোসেনের মা ফাতেমা বেগম বলেন, ‘আমার ছেলে বাড়িতে নেই। কোথায় গেছে তাও জানি না। ওদের সম্পর্কে আমি কিছু শুনিনি। হঠাৎ করেই এ মেয়ে আমাদের বাড়িতে এসে অবস্থান নিয়েছে।’

 

 

বাহেরচর হাওলাদারকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বশির আহমেদ বলেন, ‘আক্তার হোসেন বৃহস্পতিবার থেকে তিনদিনের ছুটি নিয়েছেন। এরপর আর স্কুলে আসেননি। পরে শিক্ষা অফিস থেকে জানতে পারি তিনি ১৫ দিনের ছুটি নিয়েছেন।’

ধানকাঠি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম মাওলা রতন বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমরা সালিশ-বৈঠকে বসেছিলাম। তবে ছেলে বিয়েতে রাজি নয় বলে কোনো সমাধানে আসতে পারিনি।’

Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

খোকসা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন, চেয়ারম্যান নির্বাচিত ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী

error: Content is protected !!

বিয়ের দাবিতে শিক্ষকের বাড়িতে ভাবির অবস্থান

আপডেট টাইম : ০৬:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩

শরীয়তপুরের ডামুড্যায় বিয়ের দাবিতে আক্তার হোসেন নামের এক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্কুলশিক্ষকের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন এক নারী (৩৪)। এ ঘটনার পর থেকে আক্তার হোসেন পলাতক।

 

রবিবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে উপজেলার ধানকাঠি ইউনিয়নের চরপাতালিয়া এলাকার ৫৫ নম্বর বাহেরচর হাওলাদারকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আক্তার হোসেনের বাড়িতে অবস্থান নেন ওই নারী।

 

জানা যায়, স্কুলশিক্ষক আক্তার হোসেন এবং ওই নারী সম্পর্কে দেবর-ভাবি। তাদের মধ্যে আট মাস ধরে পরকীয়ার সম্পর্ক চলে আসছে। পরে একাধিকবার তারা শারীরিক সম্পর্কে জড়ান। তবে বিয়েতে অস্বীকৃতি জানালে বাড়িতে এসে অবস্থান নেন ওই নারী।

 

ভুক্তভোগী নারীর ভাষ্যমতে, তার স্বামী প্রবাসে থাকেন। তার বাচ্চাদের পড়াশোনার অজুহাতে আক্তার প্রায়ই বাড়িতে যাতায়াত করতেন। একপর্যায়ে জোর করে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন আক্তার হোসেন। শারীরিক সম্পর্কের ওই ভিডিও ধারণা করে প্রায়ই তাকে ব্ল্যাকমেইল করে বাড়িতে নিয়ে যেতেন তিনি। একপর্যায়ে তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ঢাকায় নিয়ে তার এক ভাইয়ের বাসায় ফেলে রেখে চলে যান আক্তার হোসেন। ঘটনা জানাজানি হলে ওই নারীর স্বামী তাকে ডিভোর্স লেটার পাঠান। এরপর থেকেই আক্তার হোসেন তাকে এড়িয়ে চলা শুরু করলে বাধ্য হয়ে তার বাড়িতে অবস্থান নেন ভুক্তভোগী নারী। তাকে বিয়ে না করলে আত্মহত্যার হুমকি দেন ওই নারী।

স্কুলশিক্ষক আক্তার হোসেনের মা ফাতেমা বেগম বলেন, ‘আমার ছেলে বাড়িতে নেই। কোথায় গেছে তাও জানি না। ওদের সম্পর্কে আমি কিছু শুনিনি। হঠাৎ করেই এ মেয়ে আমাদের বাড়িতে এসে অবস্থান নিয়েছে।’

 

 

বাহেরচর হাওলাদারকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বশির আহমেদ বলেন, ‘আক্তার হোসেন বৃহস্পতিবার থেকে তিনদিনের ছুটি নিয়েছেন। এরপর আর স্কুলে আসেননি। পরে শিক্ষা অফিস থেকে জানতে পারি তিনি ১৫ দিনের ছুটি নিয়েছেন।’

ধানকাঠি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম মাওলা রতন বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমরা সালিশ-বৈঠকে বসেছিলাম। তবে ছেলে বিয়েতে রাজি নয় বলে কোনো সমাধানে আসতে পারিনি।’