ঢাকা , সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo সংবাদ সম্মেলনে মাধ্যমে নির্বাচনে প্রার্থিতা বর্জনের ঘোষণা দিলেন সালথা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী অহিদুজ্জামান Logo ফরিদপুরে প্রভু জগৎবন্ধু সুন্দরের ১৫৪ তম শুভ আবির্ভাব উৎসব শ্রীধাম শ্রী অঙ্গনে ভক্তবৃন্দের ঢল Logo নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন চেয়ারম্যান প্রার্থী মিলন মৃধা Logo ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধের দাবীতে লন্ডনে যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভ অব্যাহত Logo মোহনপুরে অর্ধশতাধিক পয়েন্টে অবৈধ পুকুর খনন ও মাটি বানিজ্যে Logo কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সদর খানকে শোকজ Logo সদরপুরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত Logo মোঃ ইমান আলী মোল্লাকে ফুলের শুভেচ্ছা প্রদান করল জাতীয় শ্রমিক লীগ Logo রাজশাহীতে এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ ধান উৎপাদন Logo ফরিদপুরের চর মাধবদিয়া ইউনিয়নে বিট পুলিশিং সভা অনুষ্ঠিত
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

মোবাইলে প্রেম, পালিয়ে এসে দেখেন প্রেমিক দৃষ্টিহীন

মোবাইলে প্রথম পরিচয়। এরপর এক বছর যাবত কথা বলার পর তা প্রেমের সম্পর্কে রূপ নেয়। ভালোবাসার সেই সম্পর্ককে প্রণয়ে রূপ দিতে চলে আসেন প্রেমিকের বাড়িতে। এসে দেখেন প্রেমিক দৃষ্টিহীন। অতঃপর নিয়তিকে ভরসা করে সেই অন্ধ প্রেমিককেই বিয়ে করেন দুই সন্তানের মা রেবা আক্তার সুমি (২৬)।

বৃহস্পতিবার রাতে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার চরঈশ্বর ইউনিয়নের তালুকদার গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। চাঞ্চল্যকর এ খবর শুনে এলাকার লোকজন দৃষ্টিহীন মো. রাসেলের (২৮) বাড়িতে ভিড় করছেন।

প্রেমিক দৃষ্টিহীন মো. রাসেল উপজেলার চরঈশ্বর ইউনিয়নের তালুকদার গ্রামের বাসিন্দা। প্রেমিকা সুমি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার বিদ্যাকুট ইউনিয়নের বাসিন্দা।

রাসেলের বড় ভাই জামসেদ জানান, এ বিষয়ে তারা আগে থেকে কিছুই জানতেন না। গত শনিবার হঠাৎ সুমি তাদের বাড়িতে এসে হাজির হন। রাসেল দৃষ্টিহীন, তিনি কোনো উপার্জন করেন না। সংসার চালানোর মতো সামর্থ্যও তার নেই। এসব জানার পরও রাসেলকে বিয়ে করতে চান সুমি। পরে দুজনকে নিয়ে যাওয়া হয় হাতিয়া থানায়। থানা থেকে সুমির বাড়িতে যোগাযোগ করা হলেও তার পরিবারের কেউ সাড়া দেননি। পরে বৃহস্পতিবার দুজনের সম্মতিতে বিয়ে হয়।

সুমি বলেন, তার দুটি সন্তান আছে। আগের স্বামী ট্রাকচালক। তার সঙ্গে দুই বছর আগে সম্পর্ক ছিন্ন হয়। এসব জেনেও রাসেল তাকে বিয়ে করবেন বলে জানান। রাসেল দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী এটা আমি আগে জানতাম না। চোখে সমস্যা আছে বলে রাসেল আমাকে মোবাইলে জানান। কিন্তু একেবারে দৃষ্টিহীন, এটা কখনো বলেননি। এখন যেহেতু চলে এসেছি, তাই নিয়তির ওপর ছেড়ে দিয়েই তাকে জীবনসঙ্গী হিসেবে বেছে নিলাম।

হাতিয়া থানার ওসি আমির হোসেন বলেন, সুমির আগের স্বামীর সঙ্গে কিছু দিন আগে তার ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। এরপর তিনি গার্মেন্টসে চাকরি করতেন। একপর্যায়ে মোবাইল ফোনে রাসেলের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। সুমির দেওয়া ঠিকানা অনুযায়ী তার অভিভাবকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু তারা কেউ আসেননি। পরে তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।

Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

সংবাদ সম্মেলনে মাধ্যমে নির্বাচনে প্রার্থিতা বর্জনের ঘোষণা দিলেন সালথা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী অহিদুজ্জামান

error: Content is protected !!

মোবাইলে প্রেম, পালিয়ে এসে দেখেন প্রেমিক দৃষ্টিহীন

আপডেট টাইম : ১২:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩

মোবাইলে প্রথম পরিচয়। এরপর এক বছর যাবত কথা বলার পর তা প্রেমের সম্পর্কে রূপ নেয়। ভালোবাসার সেই সম্পর্ককে প্রণয়ে রূপ দিতে চলে আসেন প্রেমিকের বাড়িতে। এসে দেখেন প্রেমিক দৃষ্টিহীন। অতঃপর নিয়তিকে ভরসা করে সেই অন্ধ প্রেমিককেই বিয়ে করেন দুই সন্তানের মা রেবা আক্তার সুমি (২৬)।

বৃহস্পতিবার রাতে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার চরঈশ্বর ইউনিয়নের তালুকদার গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। চাঞ্চল্যকর এ খবর শুনে এলাকার লোকজন দৃষ্টিহীন মো. রাসেলের (২৮) বাড়িতে ভিড় করছেন।

প্রেমিক দৃষ্টিহীন মো. রাসেল উপজেলার চরঈশ্বর ইউনিয়নের তালুকদার গ্রামের বাসিন্দা। প্রেমিকা সুমি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার বিদ্যাকুট ইউনিয়নের বাসিন্দা।

রাসেলের বড় ভাই জামসেদ জানান, এ বিষয়ে তারা আগে থেকে কিছুই জানতেন না। গত শনিবার হঠাৎ সুমি তাদের বাড়িতে এসে হাজির হন। রাসেল দৃষ্টিহীন, তিনি কোনো উপার্জন করেন না। সংসার চালানোর মতো সামর্থ্যও তার নেই। এসব জানার পরও রাসেলকে বিয়ে করতে চান সুমি। পরে দুজনকে নিয়ে যাওয়া হয় হাতিয়া থানায়। থানা থেকে সুমির বাড়িতে যোগাযোগ করা হলেও তার পরিবারের কেউ সাড়া দেননি। পরে বৃহস্পতিবার দুজনের সম্মতিতে বিয়ে হয়।

সুমি বলেন, তার দুটি সন্তান আছে। আগের স্বামী ট্রাকচালক। তার সঙ্গে দুই বছর আগে সম্পর্ক ছিন্ন হয়। এসব জেনেও রাসেল তাকে বিয়ে করবেন বলে জানান। রাসেল দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী এটা আমি আগে জানতাম না। চোখে সমস্যা আছে বলে রাসেল আমাকে মোবাইলে জানান। কিন্তু একেবারে দৃষ্টিহীন, এটা কখনো বলেননি। এখন যেহেতু চলে এসেছি, তাই নিয়তির ওপর ছেড়ে দিয়েই তাকে জীবনসঙ্গী হিসেবে বেছে নিলাম।

হাতিয়া থানার ওসি আমির হোসেন বলেন, সুমির আগের স্বামীর সঙ্গে কিছু দিন আগে তার ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। এরপর তিনি গার্মেন্টসে চাকরি করতেন। একপর্যায়ে মোবাইল ফোনে রাসেলের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। সুমির দেওয়া ঠিকানা অনুযায়ী তার অভিভাবকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু তারা কেউ আসেননি। পরে তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।