ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

নওগাঁর মান্দা উপজেলার পাকুড়িয়ার গণহত্যা দিবস আজ

-ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার কৃষ্ণপুরে অবস্থিত অবহেলিত স্মৃতিফলক ও শহীদ হরিপদ সাহার ছেলে লক্ষণ চন্দ্র সাহা দোকান করার একাংশ।

একাত্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধে নওগাঁ জেলার অবদান কে খাটো করে দেখার অবকাস নেই। মুক্তিযোদ্ধাদের পাশাপাশি এখান কার শত শত মুক্তি গামি বাঙালি বুকের তাজা রক্ত দিয়ে দেশ মাতৃকার। তারা জীবন দিয়েছে অকাতরে।

 

ছরিয়ে ছিটিয়ে যারা ঘাতক দের হাতে প্রাণ দিয়েছে তাদের পাশাপাশি তিনটি বধ্যভূমিতে যেখানে শত শত মানুষের লাশ স্তুুপাকারে স্হায়ীত করে গণ কবর দেওয়া হয়েছিল। সেই স্মৃতি বিজোরিত বধ্যভূমির কথা আজ ওনেকে ভুলতে বসেছে।

 

নওগাঁ জেলা শহর থেকে ৩৭ কিঃমিঃ পশ্চিমে মান্দা উপজেলার একটি নিভূত পল্লির গ্রাম পাকুড়িয়া। ৭১ এর ২৮ আগষ্ট স্হানীয় রাজাকার, আলবদর আলসমসরা শান্তি বৈঠকের নামে এলাকার মুক্তি কামি মানুষ কে ডেকে জোর করেছিল পাকুড়িয়া স্কুল মাঠে। সেখানে পাকহানাদার বাহিনীর সদস্যরা তাদের মাঝখানে বসিয়ে রেখে চারপাশ থেকে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রের দ্বারা বার্শফাসারে হত্যা করেছিল ১২৮ জন মুক্তি গামী বাঙালিকে এদের মধ্যে ৭৩  জনের পরিচয় জানা গেলেও বাকি ৫৫ জনের নাম ঠিকানা জানা যায়নি আজও।

 

হানাদার বাহিনী চলে যাবার পর গ্রামবাসী এই লাশের স্তুপ সারিবদ্ধ করতে গিয়ে ১৮ জনকে জীবিত আবস্থায় উদ্ধার করেছিল। মৃত ১২৮ জনকে তাদের পাশ্ববর্তী হাজী সাহেবের জমিতে গণ কবর দেওয়া হয়।

 

 

ইতিহাসখ্যাত এই বদ্ধভুমি টির সংরক্ষণ বা এখানে কোন স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের কোন সরকারি উদ্যোগ নেওয়া হয়নি উক্ত পাকুড়িয়া বদ্ধভুমিটিতে  সংশ্লিষ্ট  মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প ভুক্ত করে বদ্ধভুমিটিতে শহীদের স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের প্রাণের দাবী এলাকাবাসীর।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

নওগাঁর মান্দা উপজেলার পাকুড়িয়ার গণহত্যা দিবস আজ

আপডেট টাইম : ০৪:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৩
মোঃ আব্দুল জব্বার ফারুক, আত্রই (নওগাঁ) প্রতিনিধি :

একাত্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধে নওগাঁ জেলার অবদান কে খাটো করে দেখার অবকাস নেই। মুক্তিযোদ্ধাদের পাশাপাশি এখান কার শত শত মুক্তি গামি বাঙালি বুকের তাজা রক্ত দিয়ে দেশ মাতৃকার। তারা জীবন দিয়েছে অকাতরে।

 

ছরিয়ে ছিটিয়ে যারা ঘাতক দের হাতে প্রাণ দিয়েছে তাদের পাশাপাশি তিনটি বধ্যভূমিতে যেখানে শত শত মানুষের লাশ স্তুুপাকারে স্হায়ীত করে গণ কবর দেওয়া হয়েছিল। সেই স্মৃতি বিজোরিত বধ্যভূমির কথা আজ ওনেকে ভুলতে বসেছে।

 

নওগাঁ জেলা শহর থেকে ৩৭ কিঃমিঃ পশ্চিমে মান্দা উপজেলার একটি নিভূত পল্লির গ্রাম পাকুড়িয়া। ৭১ এর ২৮ আগষ্ট স্হানীয় রাজাকার, আলবদর আলসমসরা শান্তি বৈঠকের নামে এলাকার মুক্তি কামি মানুষ কে ডেকে জোর করেছিল পাকুড়িয়া স্কুল মাঠে। সেখানে পাকহানাদার বাহিনীর সদস্যরা তাদের মাঝখানে বসিয়ে রেখে চারপাশ থেকে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রের দ্বারা বার্শফাসারে হত্যা করেছিল ১২৮ জন মুক্তি গামী বাঙালিকে এদের মধ্যে ৭৩  জনের পরিচয় জানা গেলেও বাকি ৫৫ জনের নাম ঠিকানা জানা যায়নি আজও।

 

হানাদার বাহিনী চলে যাবার পর গ্রামবাসী এই লাশের স্তুপ সারিবদ্ধ করতে গিয়ে ১৮ জনকে জীবিত আবস্থায় উদ্ধার করেছিল। মৃত ১২৮ জনকে তাদের পাশ্ববর্তী হাজী সাহেবের জমিতে গণ কবর দেওয়া হয়।

 

 

ইতিহাসখ্যাত এই বদ্ধভুমি টির সংরক্ষণ বা এখানে কোন স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের কোন সরকারি উদ্যোগ নেওয়া হয়নি উক্ত পাকুড়িয়া বদ্ধভুমিটিতে  সংশ্লিষ্ট  মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প ভুক্ত করে বদ্ধভুমিটিতে শহীদের স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের প্রাণের দাবী এলাকাবাসীর।


প্রিন্ট