দুর্বৃত্তদের হামলায় গুরুতর আহত পাংশার কশবামাজাইল ইউপির ৮নং ওয়ার্ডের মেম্বার মিন্টু মন্ডল (৪৭) চিকিৎসকের পূর্ব নির্ধারিত পরামর্শ মোতাবেক শনিবার (১৯ আগস্ট) ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ক্ষতস্থানে শারীরিক চেকআপ করান। সলুয়া নিজ গ্রামের বাড়ি থেকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাওয়ার প্রাক্কালে সকাল ১০টার দিকে কশবামাজাইল ইউপির তার সহকর্মী ২নং ওয়ার্ডের মেম্বার আফসার মল্লিক, ৩নং ওয়ার্ডের মেম্বার লিয়াকত আলী মোল্লা, ৫নং ওয়ার্ডের মেম্বার মোঃ বাবুল হোসেন, ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বার মোঃ জাহাঙ্গীর আলম ও ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার মোঃ আক্কাছ আলীসহ শুভাকাঙ্খী অনেকেই আহত মিন্টু মেম্বারের বাড়িতে দেখা করেন। তারা মিন্টু মেম্বারের চিকিৎসাসহ সার্বিক সহযোগিতার জন্য পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
আহত মিন্টু মেম্বার বলেন, কশবামাজাইল ইউপির ৮নং ওয়ার্ডের জনসাধারণ আমাকে (মিন্টু মেম্বার) ভালোবাসেন। তারা ভোট দিয়ে আমাকে মেম্বার নির্বাচিত করেছেন। এলাকার টিয়া বাহিনীর চিহ্নিত কয়েকজন সলুয়া স্লুইজগেটসহ অত্র এলাকায় মহড়া দিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছিল। সুপথে চলার কথা বলায় আমি তাদের রোষানলে পড়ে হামলার শিকার হয়ে পঙ্গু অবস্থায় জীবন যাপন করছি। চিকিৎসাসহ সার্বিক সহযোগিতা দিতে পাশে দাঁড়ানোর জন্য তিনি সহকর্মী ও শুভাকাঙ্খীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
এ সময় ইউপি মেম্বার আফসার মল্লিক, লিয়াকত আলী মোল্লা, বাবুল হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম ও মোঃ আক্কাছ আলী ৮নং ওয়ার্ডের জনপ্রিয় মেম্বার মিন্টু মন্ডলের উপর দুর্বৃত্তদের নৃশংস হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, মিন্টু মেম্বারের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে সন্ত্রাসী লেলিয়ে দিয়ে হামলার পরিণতি ভালো হবে না। ইতোমধ্যে হামলার মদদদাতাদের মুখোশ উন্মোচিত হয়েছে। তারা বলেন, আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। মিন্টু মন্ডলের উপর নৃশংস হামলাকারী ও তাদের মদদদাতাদের আইনের আওতায় এনে বিচার দাবী করেন তারা। ইউপি মেম্বাররা আরো বলেন, আমরা ১৫ দিন অপেক্ষা করছি। প্রয়োজনে আরো সময় অপেক্ষা করব। কিন্তু টিয়া বাহিনী ও তাদের মদদদাতাদের আইনের আওতায় আনা না হলে এলাকার জনসাধারণকে সাথে নিয়ে পরবর্তীতে কর্মসূচি দিব।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট রাত আনুমানিক ৮টার দিকে মিন্টু মেম্বার মোটর সাইকেল যোগে নাদুরিয়া বাজার থেকে সলুয়া নিজ গ্রামের বাড়িতে ফেরার পথে নাদুরিয়া গ্রামের উজ্জল মোড়ে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা দুর্বৃত্তরা লোহার রড, হাতুড়ী, হকিস্টিক, বাঁশের লাঠিসহ মোটর সাইকেলের গতিরোধ করে হামলা চালায়। হামলায় এলোপাতাড়ি মারপিটের কারণে মিন্টু মন্ডলের ডান হাতের কনুইয়ের নিচে হাড় ভাঙ্গা এবং ডান পায়ের টাকনুর হাড় ফাটাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে নিলাফুলা ও রক্তাক্ত জখম হয়।
এ ঘটনায় গত ৬ আগস্ট ১০ জনকে এজাহারনামীয় আসামী করে পাংশা থানায় মামলা দায়ের করা হয়। মামলা নং ৩, ধারা-১৪৩/৩৪১/৩২৩/৩২৫/৩৭৯/৫০৬(২)/১১৪ পেনাল কোড।
প্রিন্ট