দুজনই অপ্রাপ্তবয়স্ক। একজনের বয়স ১৬ বছর, অন্যজনের ১৫। একই বিদ্যালয়ে পড়াশোনার সুবাদে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। একপর্যায়ে জন্মনিবন্ধন সনদ জাল করে নোটারি পাবলিক করে আদালতের মাধ্যমে বিয়ে করে তারা। বিয়ের মাত্র তিন মাসের মাথায় বনিবনা না হওয়ায় কিশোরকে তালাক দিয়েছে ওই কিশোরী।
তালাক দেওয়ার পর থেকেই ওই কিশোরীকে পথেঘাটে উত্ত্যক্ত করতে থাকে কিশোর। এ নিয়ে দুই পরিবারে মধ্যে বিরোধ দেখা যায়। সেই বিরোধের জেরে কিশোরীর বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার সদকী ইউনিয়নের মহম্মদপুর গ্রামে মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় বুধবার (১৬ আগস্ট) বিকেল ৩টার দিকে ওই কিশোর, তার মা, বাবাসহ পাঁচজনের নামে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে ও থানায় লিখিত অভিযোগ করেন কিশোরীর বাবা।
বিকেলে সরেজমিন কিশোরীর বাড়িতে দেখা যায়, টিনের বেড়া, ফ্রিজ, সেলাই মেশিনে ভাঙচুরের ক্ষতচিহ্ন। এলোমেলো ঘরের আসবাবপত্র।
এসময় কিশোরী বলে, প্রেম করে গত ১২ রমজানে আমাদের কোর্টের মাধ্যমে বিয়ে হয়। তবে বিয়ের পর থেকে আমার স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন খুব মারধর করতো। সেজন্য গত ৩১ জুলাই আমি ডিভোর্স দিয়েছি। তবুও ও (স্বামী) পথেঘাটে খুব বিরক্ত করে। বিভিন্ন হুমকি দিয়ে আসছে।’
কিশোরীর বাবা বলেন, তালাক দেওয়ার কারণে ছেলেপক্ষ তার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ঘরের বেড়া, ফ্রিজ ও আসবাবপত্র ভাঙচুর এবং নগদ টাকা লুটপাট করে নিয়ে গেছে। তিনি সুষ্ঠু বিচারের আশায় ইউএনও কার্যালয় ও থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
তবে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে কিশোরের বাবা বলেন, ছেলে-মেয়ে নিজেরাই বিয়ে করেছিল। পরে মেয়েই আবার তালাক দিয়েছে। তবে আমরা কারও বাড়িতে হামলা ও লুটপাট করিনি।
- আরও পড়ুনঃ কুড়িগ্রাম ১ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী
কুমারখালী ইউএনও (ভারপ্রাপ্ত) আমিরুল আরাফাত বলেন, প্রেমের জেরে আইনবহির্ভূত বিয়ে ও তালাকের ঘটনাকে কেন্দ্র করে হামলার ও লুটপাটের অভিযোগ তিনি পেয়েছেন। এ বিষয়ে পুলিশকে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
প্রিন্ট