নতুন করে উদ্বোধন হতে যাওয়া মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হচ্ছে গাজীপুরের শ্রীপুর, কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর, মানিকগঞ্জের হরিরামপুর, কুষ্টিয়ার দৌলতপুর, শরীয়তপুরের ডামুড্যা, বগুড়ার আদমদীঘি ও সোনাতলা, নওগাঁর রানীনগর ও বদলগাছী, নাটোরের সিংড়া, পাবনার বেড়া, ঈশ্বরদী ও সদর, রাজশাহীর পুঠিয়া ও দুর্গাপুর, গাইবান্ধার পলাশবাড়ী ও নাগেশ্বরী, দিনাজপুরের বিরামপুর, লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা, নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ, খালিয়াজুড়ী ও সদর, জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ, ময়মনসিংহের ত্রিশাল ও সরাইল, চাঁদপুরের হাইমচর ও সদর, কুমিল্লার নাঙ্গলকোট ও সদর, চট্টগ্রামের সাতকানিয়া, ফেনীর ছাগলনাইয়া, রাঙামাটির নানিয়ারচর ও রাজস্থলী, খুলনার ফুলতলা, পাইকগাছা ও সদর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা মসজিদ, ভোলার দৌলতখান, ঝালকাঠির নলছিটি, পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া, সিলেটের গোলাপগঞ্জসহ মোট ৫০টি।
মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স প্রকল্পের পরিচালক (পিডি) মো. নজিবুর রহমান বলেন, ৩০ জুলাই সারা দেশে নতুন করে আরও ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্সের উদ্বোধন করা হবে। নজিবুর রহমান বলেন, ‘এটি গতানুগতিক কোনো মসজিদ নয়। এটি আরব বিশ্বের মসজিদ-কাম-ইসলামিক কালচারাল সেন্টারের আদলে করা। এ মসজিদ ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে থাকছে নারী ও পুরুষের পৃথক অজু ও নামাজ আদায়ের সুবিধা, লাইব্রেরি, গবেষণা ও দীনি দাওয়াত কার্যক্রম, পবিত্র কোরআন হেফজ ও শিশুশিক্ষাসেবা, অতিথিশালা, বিদেশি পর্যটকদের আবাসন, লাশ গোসলের ব্যবস্থা, হজযাত্রীদের নিবন্ধন ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, ইমামদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং ইমাম-মুয়াজ্জিনের আবাসনসহ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য অফিসের ব্যবস্থা।’ জানা গেছে, জেলা-উপজেলা পর্যায়ে ৪০ শতক জায়গায় অপার বিস্ময়ের এ মডেল মসজিদ নির্মাণ করা হচ্ছে। জেলা পর্যায়ে ও উপকূলীয় এলাকায় দৃষ্টিনন্দন চার তলা মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র এবং উপজেলার জন্য তিন তলা মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে। ৫৬৪টি মডেল মসজিদে সারা দেশে প্রতিদিন ৪ লাখ ৯৪ হাজার ২০০ পুরুষ ও ৩১ হাজার ৪০০ নারী একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারবেন।
ইসলামী চিন্তাবিদ ও আলেম সমাজের প্রতিনিধিরা বলছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে ইসলামের খেদমতে সর্বপ্রথম উদ্যোগ গ্রহণ করেন। ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের জন্য তিনি ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করে যান। টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমার জন্য সুবিশাল প্রান্তর বরাদ্দ করেন বঙ্গবন্ধুই। আজকের বাংলাদেশের মুসলমানদের তাবলিগ জামাতের যে মূল কেন্দ্র কাকরাইল মসজিদ, সেটিও জাতির পিতার অবদান। পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর প্রকৃত ইসলামী মূল্যবোধ থেকে সরে গিয়ে এ দেশের মাথার ওপর উগ্রবাদ জেঁকে বসে। ২১ বছর পর বঙ্গবন্ধুতনয়া শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। এরপর নানামুখী ষড়যন্ত্র তাঁকে কিছু সময়ের জন্য দেশসেবা থেকে দূরে রাখলেও ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে তিনি পুনরায় সরকার গঠন করেন।