শনিবার (২২) জুলাই বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটে তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে পদত্যাগ পত্রটি পোস্ট করেন। তিনি কয়া ইউনিয়নের গোট্টিয়া গ্রামের মো. ইব্রাহীম আলীর ছেলে। তার বাবা একজন সাবেক কৃষক লীগ নেতা।
ফেসবুকে পোস্ট করা ওই পদত্যাগপত্রে তিনি উল্লেখ করেছেন যে ,আমি পারিবারিক ও ব্যক্তিগত কারণে কুমারখালী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে পদত্যাগ করলাম।
জানতে চাইলে মুঠোফোনে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা রাসেল হোসেন আরজু বলেন, পারিবারিক ও ব্যক্তিগত কারণে দুপুরে জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদকের হাতে পদত্যাগপত্রটি জমা দিয়েছি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তার পরিবারের এক সদস্য পদত্যাগ প্রসঙ্গে জানান, আরজুর বাবা একটি মিথ্যা মামলায় প্রায় এক যুগ জেলে রয়েছেন। ২০২১ সালে র্যাব আরজুকে তুলে নিয়ে গিয়ে মিথ্যা অস্ত্র ও জাল টাকা তৈরির মামলা দিয়েছেন। কিন্তু দল থেকে তারা কোনো সহযোগিতা পাননি।
উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম ভূট্টো ব্যক্তিগত কারণে ভারতে থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
তবে পদত্যাগপত্রটি গ্রহণের বিষয় অস্বীকার করে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মানব চাকি বলেন, আরজু তার কাছে এসেছিলেন। সামনের সম্মেলন নিয়ে তার সঙ্গে কথা হয়েছে। কিন্তু পদত্যাগ নিয়ে কোনো কথা হয়নি। আমি কোনো পদত্যাগপত্র পাইনি।
ফেসবুকে পদত্যাগপত্র প্রচারের বিষয় জানতে চাইলে মানব চাকি বলেন, আমি খুব একটা ফেসবুক চালাই না, ফেসবুক বিশ্বাসও করি না। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
প্রিন্ট