মজা কিনে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ৫ বছরের ২ শিশু কন্যাকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছে সোবাহান হোসেন নামের ৬০ বছরের এক বৃদ্ধের বিরুদ্ধে। শিশু দুটি সম্পর্কে তার চাচাতো বোন।
বুধবার (১২ জুলাই) বিকেলে কুষ্টিয়ার সদর উপজেলার খাজানগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। শিশু দুটি বর্তমানে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় রাতে ভুক্তভোগী এক শিশুর বাবা বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার সকালে কুষ্টিয়া মডেল থানায় যৌন নিপীড়নের একটি মামলা দায়ের করেছেন।
হাসপাতালে ভুক্তভোগী শিশুর মা জানান, তার স্বামী এবং দেবর খাজানগরের একটি অটো চাল মিলের শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন। দুপুরের পর তাদের জন্য খাবার নিয়ে আমি ওই মিলে যাই। সে সময় বাড়িতে আমার ৫ বছর বয়সী ও দেবরের ৩ বছর বয়সী শিশু কন্যা একা ছিল। এ সুযোগে শিশুদের মজা কিনে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে নিজ বাড়িতে ডেকে নিয়ে যান প্রতিবেশী জমির হোসেনের ছেলে সোবাহান হোসেন।
বাড়িতে কেউ না থাকায় সোবাহান শিশু কন্যাদের তার নিজ ঘরে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালান। এ সময় আমার মেয়ে কান্নাকাটি করলে তাদের হাতে ৫ টাকা ধরিয়ে কৌশলে বাড়ি পাঠিয়ে দেন। বাড়িতে ফিরে এসে দেবরের মেয়ে ওর মায়ের কাছে ঘটনা বলে দেয়। এদিকে এ ঘটনার পর ভয়ে আমার মেয়ে পালিয়ে থাকে। মেয়েকে খুঁজে বের করে জিজ্ঞেস করলে সব জানায়। এর কিছুক্ষণ পর মেয়ের তলপেটে ব্যথা অনুভব করায় সন্ধ্যায় তাদের হাসপাতালে ভর্তি করি।
আরেক শিশুর বাবা কান্নারত অবস্থায় সোবাহানের বিচার দাবি করে বলেন, সোবাহান প্রতিবেশী সম্পর্কে কাকা হয়। সে মজা কিনে দেওয়ার কথা বলে দুইজনকে ঘরে ডেকে নিয়ে সর্বনাশ করেছে। ওর ফাঁসি দেওয়া হোক।
তিনি আরো বলেন, ঘটনার সময় আমি মিলে ছিলাম। বাড়ি এসে বিষয়টি জানার পর আমার ও ভাইয়ের মেয়েকে সন্ধ্যায় হাসপাতালে ভর্তি করি। সোবহানের নামে কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছি।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) তাপস কুমার সরকার বলেন, ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে হাসপাতালে দুই কন্যা শিশু ভর্তি হয়েছে। তাদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর ব্যাপারটি নিয়ে কথা বলা যাবে।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি আশিকুর রহমান বলেন, ভুক্তভোগী শিশুর বাবা বাদী হয়ে একজনের নামে যৌন নিপীড়নের মামলা দায়ের করেছেন। আসামি পলাতক রয়েছে, তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
প্রিন্ট