ঢাকা , সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo ফরিদপুরে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত Logo লালপুরে ভুট্টা ক্ষেত থেকে কবিরাজের লাশ উদ্ধার Logo পুলিশ পরিচয়ে প্রতারণাকারী গ্রেফতার Logo শালিখার আড়পাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শনে এসে মুগ্ধ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা Logo ভূমি অফিসের বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের অভিযোগ Logo ফরিদপুরের ধর্ষণ মামলার আসামী সোহেল গ্রেপ্তার Logo পাংশায় শিক্ষা কল্যাণ ট্রাস্টের সাধারণ সভায় নতুন কমিটি Logo কুষ্টিয়ায় উলামা সম্মেলন-২০২৫ অনুষ্ঠিত Logo নির্বাচন ছাড়া কোন সরকার দীর্ঘদিন থাকলে ফ্যাসিবাদ, স্বৈরাচারেরা জন্ম নেয়ঃ -আব্দুস সালাম Logo ভেড়ামারায় মাজারে মাদকবিরোধী অভিযান, ভক্তদের হাতে লাঞ্ছিত ম্যাজিস্ট্রেট
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

কমছে না কাঁচা মরিচের ঝাঁঝ, দাম বেড়ে ৫০০ টাকা কেজি

দেশের বাজারে আমদানির অনুমতি দেওয়ার পরও কিছুতেই নিয়ন্ত্রণে আসছে না কাঁচা মরিচের দাম। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কমের অজুহাতে কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী তে আবারও একদিনের ব্যবধানে কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। একদিন আগেও যা ২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল তা এখন বেড়ে ৫০০ টাকা দাঁড়িয়েছে। এদিকে কাঁচা মরিচের দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষজন। সরবরাহ বাড়লে দাম কমে আসবে বলেও জানিয়েছেন বিক্রেতারা।
শনিবার বার ( ১ জুলাই ) সরেজমিন নাগেশ্বরী  কাঁচা বাজার গুলো  ঘুরে দেখা গেছে, বাজারের অধিকাংশ দোকানেই কাঁচা মরিচ মিলছে না। দু-একটি দোকানে অল্প পরিমাণে কাঁচা মরিচ বিক্রির জন্য রাখা হয়েছে। বাড়তি দামের কারণে দোকানিরা কাঁচা মরিচ বিক্রি করছেন না। তেমনি ক্রেতাদেরও কাঁচা মরিচ কেনা থেকে বিরত থাকতে দেখা গেছে।
নাগেশ্বরী  বাজারে কাঁচা মরিচ কিনতে আসা শিংগিরভীটার মোঃ আবদুল হান্নান   বলেন, ‘বাজারে কাঁচা মরিচের যে ঝাঁঝ তাতে হাত দেওয়া যাচ্ছে না। কাঁচা মরিচের দামে কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। যে যেভাবে পারছে দাম বাড়িয়েই চলছে। ঈদের আগে যে কাঁচা মরিচ ২৪০ টাকা কেজি দরে কিনে নিয়ে গেলাম, ঈদের পরদিন তার দাম বেড়ে দ্বিগুণ হয়ে গেছে। বর্তমানে ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।’
বাজারে আসা সাবিনা আক্তার   বলেন, ‘একে তো নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যের দাম বাড়ছে। আমাদের মতো মানুষের সংসার চালাতে গিয়ে নাভিশ্বাস উঠে যাচ্ছে। আগে যেখানে কাঁচা মরিচ এক কেজি বা হাফ কেজি কিনতাম, এখন তা দুঃস্বপ্ন হয়ে গেছে। বর্তমানে ১২৫ গ্রাম কিনছি। তারপরেও চিন্তায় আছি, দাম বাড়তে থাকলে হয়তো খাওয়া ছেড়ে দিতে হবে।’
নাগেশ্বরী পৌর বাজারের সবজি বিক্রেতা রাজু  বলেন আমদানি বন্ধ থাকলেও দেশি কাঁচা মরিচ দিয়েই দেশের বাজারে সাধারণ মানুষের চাহিদা মিটছিল। কাঁচা মরিচের দাম সাধারণ মানুষের হাতের নাগালের মধ্যেই ছিল। কিন্তু গত কয়েক দিন ধরে চলা অতিরিক্ত গরমের কারণে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কাঁচা মরিচের ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে। এখন আবার শুরু হয়ে ঝড়-বৃষ্টি। বাজারে কাঁচা মরিচের যে চাহিদা সেই তুলনায় সরবরাহ কমের কারণেই দাম বাড়ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘মোকামে প্রায় প্রতিদিনই কাঁচা মরিচের দাম বাড়ছে। আমরা যখন যে দামে কিনছি সেই মোতাবেক বাজারে বিক্রি করছি। আমরা ঈদের আগে কাঁচা মরিচ ২০০ টাকা কেজিতে কিনে বাজারে বিক্রি করেছিলাম ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা কেজি দরে। আজ সেই কাঁচা মরিচ মোকামেই ২৫ কেজি কিনলাম ১০ হাজার টাকা দিয়ে। মানে কিনতেই আমাদের ৪০০ টাকা কেজি পড়লো। এর সঙ্গে পরিবহন খরচ রয়েছে। নষ্টসহ অন্যান্য কিছু মিলিয়ে ৫০০ টাকা কেজি দরে কাঁচা মরিচ বিক্রি করছি।
তবে আবহাওয়া ভালো হলে কাঁচা মরিচের সরবরাহ যদি বাড়ে সেক্ষেত্রে দাম কিছুটা কমতে পারে। এছাড়া ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি শুরু হলেও এর প্রভাব পড়েনি বাজারে। এ দিকে মরিচের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শসা ও টমেটোর দাম।

প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

ফরিদপুরে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

error: Content is protected !!

কমছে না কাঁচা মরিচের ঝাঁঝ, দাম বেড়ে ৫০০ টাকা কেজি

আপডেট টাইম : ০২:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ জুলাই ২০২৩
জেলাল আহম্মদ রানা, নাগেশ্বরী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি :
দেশের বাজারে আমদানির অনুমতি দেওয়ার পরও কিছুতেই নিয়ন্ত্রণে আসছে না কাঁচা মরিচের দাম। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কমের অজুহাতে কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী তে আবারও একদিনের ব্যবধানে কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। একদিন আগেও যা ২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল তা এখন বেড়ে ৫০০ টাকা দাঁড়িয়েছে। এদিকে কাঁচা মরিচের দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষজন। সরবরাহ বাড়লে দাম কমে আসবে বলেও জানিয়েছেন বিক্রেতারা।
শনিবার বার ( ১ জুলাই ) সরেজমিন নাগেশ্বরী  কাঁচা বাজার গুলো  ঘুরে দেখা গেছে, বাজারের অধিকাংশ দোকানেই কাঁচা মরিচ মিলছে না। দু-একটি দোকানে অল্প পরিমাণে কাঁচা মরিচ বিক্রির জন্য রাখা হয়েছে। বাড়তি দামের কারণে দোকানিরা কাঁচা মরিচ বিক্রি করছেন না। তেমনি ক্রেতাদেরও কাঁচা মরিচ কেনা থেকে বিরত থাকতে দেখা গেছে।
নাগেশ্বরী  বাজারে কাঁচা মরিচ কিনতে আসা শিংগিরভীটার মোঃ আবদুল হান্নান   বলেন, ‘বাজারে কাঁচা মরিচের যে ঝাঁঝ তাতে হাত দেওয়া যাচ্ছে না। কাঁচা মরিচের দামে কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। যে যেভাবে পারছে দাম বাড়িয়েই চলছে। ঈদের আগে যে কাঁচা মরিচ ২৪০ টাকা কেজি দরে কিনে নিয়ে গেলাম, ঈদের পরদিন তার দাম বেড়ে দ্বিগুণ হয়ে গেছে। বর্তমানে ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।’
বাজারে আসা সাবিনা আক্তার   বলেন, ‘একে তো নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যের দাম বাড়ছে। আমাদের মতো মানুষের সংসার চালাতে গিয়ে নাভিশ্বাস উঠে যাচ্ছে। আগে যেখানে কাঁচা মরিচ এক কেজি বা হাফ কেজি কিনতাম, এখন তা দুঃস্বপ্ন হয়ে গেছে। বর্তমানে ১২৫ গ্রাম কিনছি। তারপরেও চিন্তায় আছি, দাম বাড়তে থাকলে হয়তো খাওয়া ছেড়ে দিতে হবে।’
নাগেশ্বরী পৌর বাজারের সবজি বিক্রেতা রাজু  বলেন আমদানি বন্ধ থাকলেও দেশি কাঁচা মরিচ দিয়েই দেশের বাজারে সাধারণ মানুষের চাহিদা মিটছিল। কাঁচা মরিচের দাম সাধারণ মানুষের হাতের নাগালের মধ্যেই ছিল। কিন্তু গত কয়েক দিন ধরে চলা অতিরিক্ত গরমের কারণে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কাঁচা মরিচের ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে। এখন আবার শুরু হয়ে ঝড়-বৃষ্টি। বাজারে কাঁচা মরিচের যে চাহিদা সেই তুলনায় সরবরাহ কমের কারণেই দাম বাড়ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘মোকামে প্রায় প্রতিদিনই কাঁচা মরিচের দাম বাড়ছে। আমরা যখন যে দামে কিনছি সেই মোতাবেক বাজারে বিক্রি করছি। আমরা ঈদের আগে কাঁচা মরিচ ২০০ টাকা কেজিতে কিনে বাজারে বিক্রি করেছিলাম ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা কেজি দরে। আজ সেই কাঁচা মরিচ মোকামেই ২৫ কেজি কিনলাম ১০ হাজার টাকা দিয়ে। মানে কিনতেই আমাদের ৪০০ টাকা কেজি পড়লো। এর সঙ্গে পরিবহন খরচ রয়েছে। নষ্টসহ অন্যান্য কিছু মিলিয়ে ৫০০ টাকা কেজি দরে কাঁচা মরিচ বিক্রি করছি।
তবে আবহাওয়া ভালো হলে কাঁচা মরিচের সরবরাহ যদি বাড়ে সেক্ষেত্রে দাম কিছুটা কমতে পারে। এছাড়া ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি শুরু হলেও এর প্রভাব পড়েনি বাজারে। এ দিকে মরিচের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শসা ও টমেটোর দাম।

প্রিন্ট