রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার শরিষা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে পরিবার পরিকল্পনা সেবা কার্যক্রম চলছে ঢিমে তালে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের যথাযথ তদারকি না থাকায় মনগড়াভাবে কর্মস্থলে আসা-যাওয়া করছেন নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। অত্র কেন্দ্রের উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার (এসএসিএমও) ডা. সমীর কুমার কুন্ডু ও পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক (এফপিআই) শংকর কুমার বিশ্বাস দেশে আছেন নাকি বিদেশে আছেন তাদের অবস্থান সম্পর্কে তথ্য জানেন না পাংশা উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা।
জানা যায়, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার এবং পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা কেন্দ্রে সার্বক্ষণিক অবস্থান পূর্বক মা ও শিশুর স্বাস্থ্য সেবাসহ পরিবার পরিকল্পনা সেবা নিশ্চিত করবেন। বিশেষ করে গর্ভবতী মায়ের চিকিৎসা সেবা, নরমাল ডেলিভারী-প্রসব করানো এবং জটিলতা দেখা দিলে তাদের উন্নত চিকিৎসার পরামর্শ প্রদান করবেন তারা। এছাড়া এফপিআই ইউনিয়নের পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কার্যক্রম জোরদার করার লক্ষ্যে তদারকি করবেন।
গত ২৬ জুন দুপুরে সরেজমিন শরিষা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার (এসএসিএমও) ডা. সমীর কুমার কুন্ডু এবং পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা হাসিনা বেগমের দেখা মেলেনি। কর্মরত অফিস সহায়ক আব্দুল হামিদ ছাড়া কোন কর্মকর্তা-কর্মচারীর উপস্থিত পাওয়া যায় নি।
অফিস সহায়ক আব্দুল হামিদ বলেন, কেন্দ্রের আয়া এসে কিছুক্ষণ অবস্থান করে চলে গেছেন। এসএসিএমও ২৪, ২৫ ও ২৬ জুন সিএল ছুটিতে আছেন বলে শুনেছি। নির্দেশনা থাকলেও এসএসিএমও ডা. সমীর কুমার কুন্ডু ও পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা হাসিনা বেগম কর্মস্থলের বাসায় অবস্থান করেন না। এসএসিএমও ও এফপিআই’র কর্মস্থল ত্যাগের অনুমোদিত কোন ছুটির আবেদনপত্র উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা দপ্তরে এবং শরিষা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে সংরক্ষিত নেই। তারা দেশের বাইরে গেছেন বলে গুঞ্জন রয়েছে। উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ডা. সমীর কুমার কুন্ডু ও পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক শংকর কুমার বিশ্বাসের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলে তাদের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এ ব্যাপরে জানতে চাইলে পাংশা উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা খান এ আল মামুন বলেন, উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ডা. সমীর কুমার কুন্ডু এবং এফপিআই শংকর কুমার বিশ্বাসের ছুটির কোন তথ্য তার জানা নেই। তাদের দেশের বাইরে যাওয়ার বিষয়েও অবগত নন তিনি।
স্থানীয়রা জানায়, ঈদের টানা কয়েকদিন ছুটি পড়ছে। অন্তত শেষ কর্মদিবসে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সরকারী নিয়ম অনুযায়ী কর্মস্থলে থাকা উচিত ছিল। শরিষা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের এফপিআই এবং এসএসিএমও’র অবস্থান নিয়ে তদন্ত করার মতামত ব্যক্ত করেন তারা।
প্রিন্ট