ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার গ্রামীণ সড়কগুলো এখন চৈতালী ফসলের চাতালে পরিণত হয়েছে। সড়কের উপর বিভিন্ন কলাই, সরিষা,গম, ধনেসহ মৌসুমী ফসল মাড়াই ও শুকাতে দিয়ে সড়ক দখলে রেখেছে স্থানীয়রা।
উপজেলা নির্বাহী অফিসারের পক্ষ থেকে উপজেলাতে মাইকিং করে সড়কের উপর ফসল শুকাতে বারণ করেছে। সে কথা উপেক্ষা করে কিছু লোক এখনও সড়কের উপর ফসল শুকাচ্ছে। যাহার ফলে সড়কগুলোতে ফসল রেখে শুকানোর কারণে প্রতিদিন ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহবুবুল ইসলাম সরেজমিনে গিয়ে বারণ করে মৌখিক ভাবে সতর্ক করেছে। প্রশাসনের গাড়ি দেখলেই সড়ক থেকে সব ফসল সরিয়ে নেয়। গাড়ি অতিক্রম হওয়ার পর পরই অনেকেই পূনুরায় সড়কের উপর ফসল শুকাচ্ছে।
বিশেষ করে উপজেলার বানা, পাচুড়িয়া ও টগরবন্দ ইউনিয়নের বিভিন্ন সড়কে এসব ফসল শুকাচ্ছে। বানা গ্রামের এক কৃষানী জানান, এ যে অন্যায় সে তাহার বুঝতে পারেন, তবে তাদের এসব ফসল শুকানোর মতো কোন জায়গা নেই বিধায় তাহার সড়কে ফসল শুকাচ্ছে।
এরই মধ্যে টগরবন্দ ইউনিয়নের পানাইল পঞ্চিম পাড়া গ্রামের পাকা সড়কে নাড়া গমের উপর মোটরসাইকেল দূর্ঘটনায় ব্যবসায়ী আবু তালিব গুরুতর আহত হয়। বর্তমান সে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চিকিৎসাধীন রয়েছে।
স্থানীয় ভ্যান, নছিমন, মোটরসাইকেল চালকরা পড়েছে বিপাকে, সময় মতো গন্তবে পৌছাতে পারছেনা, ভ্যান গাড়ি ভরে যাত্রী নিয়ে চলতে পারছেনা, ব্যাটারী চার্জ বেশি ক্ষয় হচ্ছে। এতে অল্প দিনের মধ্যে এসব যানবাহনের যন্ত্রাংশ ত্রæটি দেখা দিয়েছে। যাহার জন্য এসব ভুক্তভোগীরা নানান চিন্তায় রয়েছে।
পাচুড়িয়া ইউনিয়নের হোমিও চিকিৎসক ডাঃ আরিফুজ্জামান বলেন, সমস্থ গ্রামীণ সকড়জুড়ে যে ভাবে প্রতিদিন ফসল শুকানো হয় যাহার জন্য ঝুঁকি নিয়ে এসব সড়কে চলাচল করতে হচ্ছে। তবে সমস্থ সড়কে এভাবে ফসল না শুকিয়ে সড়কের পাশে শুকালে অনন্ত সাধারণ মানুষের যাতায়াতে বিগ্ন সৃষ্টি হতো না।
ইউএনও তৌহিদ এলাহী জানান, প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করে সতর্ক করা হয়েছে। প্রশাসনের কথা কেউ অমান্য করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রিন্ট