ঢাকা , বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo কৃষি বিজ্ঞানী ড. আলী আফজাল ফুটবল টুর্নামেন্টে সেমিফাইনালে মহম্মদপুর Logo কিছু কিছু দল বাংলাদেশকে মৃত্যুপুরী বানাচ্ছেঃ -মোমিন মেহেদী Logo জাতীয় নাগরিক পার্টি এনসিপির ‌ প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত  Logo চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে চোরাকারবারি ধরতে গিয়ে বিজিবির ফাঁকা গুলি, ১০টি মহিষ আটক Logo প্রয়াত বুড়ি মা’র তিরোধান বার্ষিকী স্মরণে দৌলতপুরের আনন্দ ধামে অনুষ্ঠিত হচ্ছে সাধুসঙ্গ Logo নাটোরে গরম পানি দিয়ে ঝলসানো নারীর সিএমএইচে চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন সেনাবাহিনী Logo নরসিংদী সিটি হাসপাতালে ১৮ ইঞ্চি ‘মব’ কাপড় পেটে রেখেই সেলাই, সংকটাপন্ন প্রসূতি Logo দৌলতপুরে থানার সামনে স্বর্ণের দোকানে দূর্ধর্ষ চুরি Logo শ্রেণিকক্ষে পানিঃ দৌলতপুরে দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা Logo সারাদেশে এনসিপির সাড়া দেখে বলা হচ্ছে নিবন্ধনের কাগজে ঝামেলা আছেঃ -হান্নান মাসউদ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

ফসলী জমি কেটে পুকুর খনন, মাটি বহনে ব্রিজ ও রেলিং ভেঙে ফেলার অভিযোগ

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে পুকুর খননের মাটি ভরাট কাজে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে মাটি খেকো রিপন ফকিরের বিরুদ্ধে। সে মাটি বহন করা হচ্ছে পুরাতন একটি ব্রিজ দিয়ে। যে কোন সময় ভেঙে যেতে পারে ব্রিজটি।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলার রুপাপাত ইউনিয়নের কদমী গ্রামে মো. কালাম মিয়ার ফসলী জমি ও পরিত্যক্ত ছোট খাল কেটে পুকুর খনন করে সেখান থেকে মাটি বিক্রি করে বিভিন্ন ভরাট কাজে মাটি বহন করা ট্রলী ব্রিজের রেলিং ভেঙে তার উপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করছে।

মাটি ব্যবসায়ী রিপন একই উপজেলার ডহরনগর গ্রামের বাসিন্দা। এর আগে তিনি ৭ জুন সালথা উপজেলার সাদোহাটি গ্রামে কুমার নদের মাটি চুরির দায়ে সহকারি ভূমি অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিট্রেট ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। সেখান থেকে তিনি আবার বোয়ালমারী উপজেলার কদমী গ্রামে ও তেলজুড়ী মাঠে তিন ফসলী জমির মাটি কেটে পুকুর খনন করে মাটি ভরাট কাজে বিক্রি করছেন। কদমী গ্রামের মাটি বহন করে তেঁতুলিয়া গ্রামের পুরাতন ব্রিজটি যে কোন সময় ভেঙে চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়বে। এতে প্রায় ওই এলাকার হাজার হাজার কৃষক ও পথচারীদের ব্যপক ক্ষতি হবে। বিভিন্ন স্থানের সংযোগ সড়কের এই একটি মাত্র ব্রিজ। তা এখন মাটি বহন করে ক্ষতি করছে মাটি খেকো রিপন ফকির।

মাটি ব্যবসায়ী ও জমির মালিকের ভয়ে স্থানীয় লোকজন ওপেনে কথা বলতে সাহস পাননা। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক লোকজন বলেন, মাটির ট্রলীর চেয়ে ব্রিজের কার্পেটিং ছোট। মাটির ট্রলীর এক চাকা র‍্যালিং ও অন্য চাকা কার্পেটিংয়ের ওপর দিয়ে জীবনের ঝুকি নিয়ে পারাপার করছে। এভাব মাটি বহন করে আমাদের যাতায়াতের একমাত্র ব্রিজটি ভেঙে ফেললে স্কুল কলেজের ছেলে মেয়ে ও কৃষক বা পথচারীদের চলাচলের বিঘ্ন ঘটবে। তাই প্রশাসন দৃষ্টি আকর্ষণ করে ব্রিজ টেম্পারিং ও রেলিং ভাঙার দায়ে মাটি ব্যবসায়ীকে দৃষ্টানন্তমূলক জরিমানা করে শাস্তির দাবী জানাই।

জমির মালিক কালাম মিয়া বলেন, জমির মাটি কে্টে নিয়ে আমাকে পুকুর খনন করে দিবে এবং মাটি ভেকু ও ট্রলীর মালিক নিয়ে যাবে।

মাটি ব্যবসায়ী রিপন ফকিরের কাছে মুঠো ফোনে ব্রিজের র‍্যালিং ভাঙার কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন মাথা দিয়ে গুতো মেরে ভেঙে ফেলেছি! আর মাটি কাটতে কার কাছ থেকে পার্মিশন নেব?  অনেক বছর ধরেইতো মাটির ব্যবসা করছি। সব জয়গা মিটমাট করে ফসলী জমির মাটি কাটি।

 

 

বোয়ালমারী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোশারেফ হোসাইন বলেন, মাটি কেটে ব্রিজের উপর দিয়ে বহন করার বিষয়ে আপনার মাধ্যমে জানতে পেরেছি। এমনটি করে থাকলে মাটি ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

কৃষি বিজ্ঞানী ড. আলী আফজাল ফুটবল টুর্নামেন্টে সেমিফাইনালে মহম্মদপুর

error: Content is protected !!

ফসলী জমি কেটে পুকুর খনন, মাটি বহনে ব্রিজ ও রেলিং ভেঙে ফেলার অভিযোগ

আপডেট টাইম : ০৪:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ জুন ২০২৩
এস. এম. রুবেল, স্টাফ রিপোর্টার :

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে পুকুর খননের মাটি ভরাট কাজে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে মাটি খেকো রিপন ফকিরের বিরুদ্ধে। সে মাটি বহন করা হচ্ছে পুরাতন একটি ব্রিজ দিয়ে। যে কোন সময় ভেঙে যেতে পারে ব্রিজটি।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলার রুপাপাত ইউনিয়নের কদমী গ্রামে মো. কালাম মিয়ার ফসলী জমি ও পরিত্যক্ত ছোট খাল কেটে পুকুর খনন করে সেখান থেকে মাটি বিক্রি করে বিভিন্ন ভরাট কাজে মাটি বহন করা ট্রলী ব্রিজের রেলিং ভেঙে তার উপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করছে।

মাটি ব্যবসায়ী রিপন একই উপজেলার ডহরনগর গ্রামের বাসিন্দা। এর আগে তিনি ৭ জুন সালথা উপজেলার সাদোহাটি গ্রামে কুমার নদের মাটি চুরির দায়ে সহকারি ভূমি অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিট্রেট ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। সেখান থেকে তিনি আবার বোয়ালমারী উপজেলার কদমী গ্রামে ও তেলজুড়ী মাঠে তিন ফসলী জমির মাটি কেটে পুকুর খনন করে মাটি ভরাট কাজে বিক্রি করছেন। কদমী গ্রামের মাটি বহন করে তেঁতুলিয়া গ্রামের পুরাতন ব্রিজটি যে কোন সময় ভেঙে চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়বে। এতে প্রায় ওই এলাকার হাজার হাজার কৃষক ও পথচারীদের ব্যপক ক্ষতি হবে। বিভিন্ন স্থানের সংযোগ সড়কের এই একটি মাত্র ব্রিজ। তা এখন মাটি বহন করে ক্ষতি করছে মাটি খেকো রিপন ফকির।

মাটি ব্যবসায়ী ও জমির মালিকের ভয়ে স্থানীয় লোকজন ওপেনে কথা বলতে সাহস পাননা। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক লোকজন বলেন, মাটির ট্রলীর চেয়ে ব্রিজের কার্পেটিং ছোট। মাটির ট্রলীর এক চাকা র‍্যালিং ও অন্য চাকা কার্পেটিংয়ের ওপর দিয়ে জীবনের ঝুকি নিয়ে পারাপার করছে। এভাব মাটি বহন করে আমাদের যাতায়াতের একমাত্র ব্রিজটি ভেঙে ফেললে স্কুল কলেজের ছেলে মেয়ে ও কৃষক বা পথচারীদের চলাচলের বিঘ্ন ঘটবে। তাই প্রশাসন দৃষ্টি আকর্ষণ করে ব্রিজ টেম্পারিং ও রেলিং ভাঙার দায়ে মাটি ব্যবসায়ীকে দৃষ্টানন্তমূলক জরিমানা করে শাস্তির দাবী জানাই।

জমির মালিক কালাম মিয়া বলেন, জমির মাটি কে্টে নিয়ে আমাকে পুকুর খনন করে দিবে এবং মাটি ভেকু ও ট্রলীর মালিক নিয়ে যাবে।

মাটি ব্যবসায়ী রিপন ফকিরের কাছে মুঠো ফোনে ব্রিজের র‍্যালিং ভাঙার কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন মাথা দিয়ে গুতো মেরে ভেঙে ফেলেছি! আর মাটি কাটতে কার কাছ থেকে পার্মিশন নেব?  অনেক বছর ধরেইতো মাটির ব্যবসা করছি। সব জয়গা মিটমাট করে ফসলী জমির মাটি কাটি।

 

 

বোয়ালমারী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোশারেফ হোসাইন বলেন, মাটি কেটে ব্রিজের উপর দিয়ে বহন করার বিষয়ে আপনার মাধ্যমে জানতে পেরেছি। এমনটি করে থাকলে মাটি ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


প্রিন্ট