ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে পুকুর খননের মাটি ভরাট কাজে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে মাটি খেকো রিপন ফকিরের বিরুদ্ধে। সে মাটি বহন করা হচ্ছে পুরাতন একটি ব্রিজ দিয়ে। যে কোন সময় ভেঙে যেতে পারে ব্রিজটি।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলার রুপাপাত ইউনিয়নের কদমী গ্রামে মো. কালাম মিয়ার ফসলী জমি ও পরিত্যক্ত ছোট খাল কেটে পুকুর খনন করে সেখান থেকে মাটি বিক্রি করে বিভিন্ন ভরাট কাজে মাটি বহন করা ট্রলী ব্রিজের রেলিং ভেঙে তার উপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করছে।
মাটি ব্যবসায়ী রিপন একই উপজেলার ডহরনগর গ্রামের বাসিন্দা। এর আগে তিনি ৭ জুন সালথা উপজেলার সাদোহাটি গ্রামে কুমার নদের মাটি চুরির দায়ে সহকারি ভূমি অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিট্রেট ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। সেখান থেকে তিনি আবার বোয়ালমারী উপজেলার কদমী গ্রামে ও তেলজুড়ী মাঠে তিন ফসলী জমির মাটি কেটে পুকুর খনন করে মাটি ভরাট কাজে বিক্রি করছেন। কদমী গ্রামের মাটি বহন করে তেঁতুলিয়া গ্রামের পুরাতন ব্রিজটি যে কোন সময় ভেঙে চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়বে। এতে প্রায় ওই এলাকার হাজার হাজার কৃষক ও পথচারীদের ব্যপক ক্ষতি হবে। বিভিন্ন স্থানের সংযোগ সড়কের এই একটি মাত্র ব্রিজ। তা এখন মাটি বহন করে ক্ষতি করছে মাটি খেকো রিপন ফকির।
মাটি ব্যবসায়ী ও জমির মালিকের ভয়ে স্থানীয় লোকজন ওপেনে কথা বলতে সাহস পাননা। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক লোকজন বলেন, মাটির ট্রলীর চেয়ে ব্রিজের কার্পেটিং ছোট। মাটির ট্রলীর এক চাকা র্যালিং ও অন্য চাকা কার্পেটিংয়ের ওপর দিয়ে জীবনের ঝুকি নিয়ে পারাপার করছে। এভাব মাটি বহন করে আমাদের যাতায়াতের একমাত্র ব্রিজটি ভেঙে ফেললে স্কুল কলেজের ছেলে মেয়ে ও কৃষক বা পথচারীদের চলাচলের বিঘ্ন ঘটবে। তাই প্রশাসন দৃষ্টি আকর্ষণ করে ব্রিজ টেম্পারিং ও রেলিং ভাঙার দায়ে মাটি ব্যবসায়ীকে দৃষ্টানন্তমূলক জরিমানা করে শাস্তির দাবী জানাই।
জমির মালিক কালাম মিয়া বলেন, জমির মাটি কে্টে নিয়ে আমাকে পুকুর খনন করে দিবে এবং মাটি ভেকু ও ট্রলীর মালিক নিয়ে যাবে।
মাটি ব্যবসায়ী রিপন ফকিরের কাছে মুঠো ফোনে ব্রিজের র্যালিং ভাঙার কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন মাথা দিয়ে গুতো মেরে ভেঙে ফেলেছি! আর মাটি কাটতে কার কাছ থেকে পার্মিশন নেব? অনেক বছর ধরেইতো মাটির ব্যবসা করছি। সব জয়গা মিটমাট করে ফসলী জমির মাটি কাটি।
বোয়ালমারী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোশারেফ হোসাইন বলেন, মাটি কেটে ব্রিজের উপর দিয়ে বহন করার বিষয়ে আপনার মাধ্যমে জানতে পেরেছি। এমনটি করে থাকলে মাটি ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোঃ মুরসিদ আহমেদ সিকদার, মোবাইল : 01728 311111
ঢাকা অফিসঃ হোল্ডিং-১৩, লাইন-৬, রোড- ১২, ব্লক-বি, মিরপুর-১১, ঢাকা-১২১৬
ফরিদপুর অফিসঃ মুজিব সড়ক, ফরিদপুর, ই-মেইলঃ [email protected]
Copyright © August, 2020-2025 @ Daily Somoyer Protyasha