রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার মৌরাট ইউপির আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী চেয়ারম্যান প্রার্থী আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান (রহিম মিয়া) বলেছেন, তিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে- এলাকার পিছিয়ে পড়া অতিদরিদ্র জনগোষ্ঠীর আর্থসামাজিক উন্নয়নে কাজ করবেন। মাদক বিরোধী কার্যক্রমকে সামাজিক আন্দোলনে পরিণত করে যুবসমাজ রক্ষায় কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
এ লক্ষ্যে যুবসমাজের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা এবং তাদেরকে ক্রীড়াঙ্গনমুখী করার উদ্যোগ গ্রহণ করবেন। সোমবার ২২ মার্চ সকালে পাংশার মৌরাট ইউপির বাগদুলী বাজারে তার এনজিও সমাজ বিকাশ সংস্থার কার্যালয়ে এ প্রতিনিধির সাথে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।
আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান মিয়া বলেন- আমি গ্রামের মানুষ, গ্রামের সাধারণ মানুষের সুখ-দুঃখ আমি উপলব্ধি করি। তিনি বলেন, আমি ১৯৮১ সালে ডিগ্রী পাশ করার পর প্রভা নামে একটি এনজিওতে প্রোগ্রাম অফিসার হিসেবে মৌরাট ইউনিয়নে দায়িত্ব পালন করি। সে সুবাদে মৌরাট ইউনিয়নের পিছিয়ে পড়া অতিদরিদ্র জনগোষ্ঠীকে সচেতন ও সামাজিক সেবা করার সুযোগ পাই।
১৯৮৭ সালে হিসাবরক্ষণ অধিদপ্তরের অডিট এন্ড একাউন্টস বিভাগের কর্মকর্তা হিসেবে চাকুরিতে যোগদান করি। ১৯৯০ সালে অফিসের কর্মচারী সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হই। দীর্ঘদিন বাংলাদেশ অডিট পরিষদের সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করি। ১৯৯০ সালে স্বৈরাচার এরশাদ পতন আন্দোলনে অডিট পরিষদের ব্যানারে সক্রিয় ভ‚মিকা পালন করি। ১৯৯১ সালে পে-স্কেল আন্দোলনে অডিট পরিষদের ব্যানারে সক্রিয় ভ‚মিকা পালন করি।
১৯৯৬ সালে বিএনপি সরকারের পতনের আন্দোলনে বাংলাদেশের সর্বস্তরের কর্মচারী সংগঠন মিলে সংগ্রাম পরিষদ গঠন করে অডিট পরিষদের ব্যানারে আমি নিজে ও পরিষদের সকলে জনতার মঞ্চে আন্দোলনে একাত্মতা ঘোষণা করি। সে সময় আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে আমাকে এবং আন্দোলনের সাথে জড়িতদের মোট ৩২জন নেতাকে ঢাকা থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বদলী করা হয়। কিন্তু আন্দোলনের মাধ্যমে আমাদের বদলী আদেশ প্রত্যাহার করতে সক্ষম হই।
সরকারী চাকুরী করাকালীন সময়ে এলাকায় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কর্মকান্ড বেগবান করতে সহযোগিতা করি। চাকুরী জীবন শেষে বর্তমানে মৌরাট ইউপি আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি ও পাংশা উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য হিসেবে রাজবাড়ী-২ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সংগ্রামী সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ জিল্লুল হাকিমের সার্বিক দিক নির্দেশনায় তৃণমূলে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কর্মকান্ড জোরদারকরণ, বীর মুক্তিযোদ্ধা জিল্লুল হাকিমের প্রচেষ্টায় এলাকায় রাস্তাঘাট, বিদ্যুৎ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা করছি। করোনা পরিস্থিতির লকডাউনের সময় কর্মহীন মানুষের এবং দরিদ্র মানুষের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছি। দরিদ্র মানুষের নানাভাবে সাহায্য সহযোগিতা করা, দরিদ্র শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা সহায়তা প্রদান, শীতের সময় দরিদ্র মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ এবং ঈদসহ বিভিন্ন অকশনে দরিদ্র মানুষের সাহায্য সহযোগিতা অব্যাহত আছে।
আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান আরও বলেন, আমার পরিবারের সবাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী আওয়ামী পরিবার। সাংগঠনিক কর্মকান্ড পরিচালনা, মানবিক সেবা, সামাজিক ও জনকল্যাণমূলক কাজের মধ্যদিয়ে নির্বাচনী গণসংযোগ করছেন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী চেয়ারম্যান প্রার্থী আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান মিয়া। পিতার নামে উৎসর্গ করে বাগদুলী বাজারে গনী প্লাজা নির্মাণ করে সেখানে বাণিজ্যিকভাবে অনেকের কর্মসংস্থান, এনজিও সমাজ বিকাশ সংস্থার চেয়ারম্যান হিসেবে শিক্ষিত যুব সমাজের কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং এলাকার মানুষের সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টিসহ অতিদরিদ্র জনগোষ্ঠীর আর্থসামাজিক উন্নয়নে কার্যকরী ভ‚মিকা রাখার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।
প্রসঙ্গতঃ আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান মিয়া মৌরাট ইউপির বড় চৌবাড়ীয়া গ্রামের মরহুম আব্দুল গনী মিয়ার জ্যেষ্ঠ পুত্র। তিনি বাগদুলীবাজারে একটি বেসরকারী ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেছেন। একজন সফল ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক নেতা হিসেবে তার সুনাম ও সুপরিচিতি রয়েছে। তিনি ঢাকাস্থ রাজবাড়ী জেলা সমিতির আজীবন সদস্য, বৃহত্তর ফরিদপুর চাকুরীজীবী সমিতির আজীবন সদস্য, লাবন্য মেনশন বসবাসকারী কল্যান সমিতির সভাপতি, বড় চৌবাড়ীয়া-চরপাড়া মিয়াবাড়ী ঈদগাহ কমিটির সভাপতি, সিভিল অডিট কর্মচারী সমিতির সাবেক সভাপতি, বাংলাদেশ অডিট পরিষদের সাবেক সহসভাপতি ও সমাজকল্যান সমিতি এজিবি কলোনীর (হাসপাতাল জোন) সাবেক সহসভাপতি তিনি।
প্রিন্ট