ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo ব্যাটারিচালিত রিক্সা ভ্যান মালিক সমিতির নেতাকর্মীদের সাথে চেয়ারম্যান প্রার্থী বিপুলের মতবিনিময় Logo সোনামসজিদ বন্দর দিয়ে ৬দিনে এলো ১২’শ মেট্রিক টন পেঁয়াজ Logo নাগরপুরে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী বিএনপি নেতা গোলাম বহিষ্কার Logo নড়াইলের জমজম রেস্টুরেন্টের উপর তলার নির্মাণাধীন ভবন থেকে ভিক্টোরিয়া কলেজ শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার Logo ভেড়ামারায় অগ্নিকাণ্ডে পানবরজ ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মাঝে সহায়তা প্রদান Logo ফরিদপুরে বান্ধব পল্লীতে প্রভু জগৎবন্ধু সুন্দরের ‌ ১৫৪ তম শুভ আবির্ভাব ‌ উৎসব পালন Logo ৫৬১ কোটি টাকার সার আত্মসাতে সাবেক এমপি পোটন সহ পাঁচজন কারাগারে Logo তানোরে কৃষি ভুর্তুকির মেশিন বিতরণে অনিয়ম Logo ভূরুঙ্গামারী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় বিএনপি নেতা বহিষ্কার Logo বাঘায় উদ্ধার করা দুই মোটরসাইকেল মালিককে খুঁজছে পুলিশ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

শেখ হাসিনার কমিউনিটি ক্লিনিককে স্বীকৃতি জাতিসংঘের

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অসামান্য উদ্ভাবন কমিউনিটি ক্লিনিককে জাতিসংঘের ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ হিসেবে স্বীকৃতির কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেছেন, এটা বাংলাদেশের সবার জন্য গর্বের।

বাংলাদেশের প্রাথমিক স্বাস্থ্য নিয়ে জাতিসংঘে পাস হওয়া এক রেজুলেশনে কমিউনিটি ক্লিনিকের বৈশ্বিক স্বীকৃতি উপলক্ষে বুধবার (১৭ মে) বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন মুখ্য সচিব।

তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেন, একটা আনন্দের সংবাদ দিতে চাই। সবাই আনন্দিত হবেন যে প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার উদ্ভাবনী মডেল বা উদ্ভাবনী উদ্যোগ কমিউনিটি ক্লিনিক সেটি জাতিসংঘ কর্তৃক স্বাস্থ্য বিষয়ক একটি রেজ্যুলেশন হয়েছে সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই কমিউনিটি ক্লিনিক ধারণার একটা চুড়ান্ত স্বীকৃতি প্রদান হয়েছে।

মুখ্য সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগের জাতিসংঘের স্বীকৃতি সেটা নিয়ে আমরা বাংলাদেশের সবাই গর্ব করতে পারি। প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবায় বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক মহলে এক অনুকরণীয় রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি পেল এই রেজ্যুলেশনের মাধ্যমে।

কমিউনিটি ক্লিনিককে ‘পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ’ মডেলের একটা অনন্য উদাহরণ হিসেবে মন্তব্য করে তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিক বাংলাদেশে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের সবচেয়ে বড় উদাহরণ। এখানে জমি জনগণ দিচ্ছে, ভবন নির্মাণ করে দিচ্ছে সরকার, সেবাদানে স্বাস্থ্য সেবা কর্মী সেটি সরকার দিচ্ছে। ওষুধ, যন্ত্রপাতিসহ সব উপকরণ সরকার দিচ্ছে।

জাতিসংঘের রেজুলেশনে অন্য দেশগুলোকে বাংলাদেশের কমিউনিটি ক্লিনিক ধারনাকে বাস্তবায়নের পরামর্শ দেয়া হয়েছে জানিয়ে মুখ্য সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই উদ্যোগকে জাতিসংঘ স্বাস্থ্য সেবা ও পরিচর্যা প্রদানের ক্ষেত্রে অংশীদারিত্বের একটা উজ্জল দৃষ্টান্ত বলছে।

তিনি বলেন, জাতিসংঘ প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্ভাবনী চিন্তাকে জাতিসংঘের অন্য সদস্য রাষ্ট্রগুলোকেও অনুসরণের আহ্বান জানিয়েছেন। বলা হয়েছে, জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলো যেন বাংলাদেশের এই কমিউনিটি ক্লিনিক ধারণাকে গ্রহণ করে ও বাস্তবায়ন করেন।

বাংলাদেশে স্বাস্থ্য খাতের উন্নতির পেছনে কমিউনিটি ক্লিনিকের অবদানের কথা উল্লেখ করে তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেন, স্বাস্থ্য সেবার উন্নতি, মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি পাওয়া বা স্বাস্থ্য সেবার ক্ষেত্রে নতুন নতুন সৃষ্টিশীলতার তৈরি হয়েছে সেগুলো সবই কিন্তু কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমেই শুরু।

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া

তিনি আরো বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিকের যে স্বাস্থ্য সেবা এর মধ্যে রয়েছে প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিচর্যা, অন্তঃসত্ত্বা ও প্রসূতির স্বাস্থ্য, নবজাতক ও শিশুদের স্বাস্থ্য, পরিবার পরিকল্পনা সেবা, পুষ্টি সেবা, ইপিআই কার্যক্রম পরিচালনা, সংক্রামক ও অসংক্রামক যাবতীয় রোগের চিকিৎসার জন্য কমিউনিটি ক্লিনিক একটা অসাধারণ প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি অর্জন করেছে।

সবার জন্য স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে পৌঁছাতে কমিউনিটি ক্লিনিক গুরুত্বের কথা উল্লেখ করে মুখ্য সচিব বলেন, বাংলাদেশে আমরা যে বলি ২০৩০ সালের মধ্যে সবার জন্য স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করা হবে, সে ক্ষেত্রে এই কমিউনিটি ক্লিনিক বড় মাইলফলক।

তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রবর্তিত কমিউনিটি ক্লিনিক এর মাধ্যমে বাংলাদেশে মাতৃমৃত্যু হ্রাস পেয়েছে, শিশু মৃত্যু হ্রাস পেয়েছে, আমাদের নবজাতকের যে মৃত্যু সেটি হ্রাস পেয়েছে। সংক্রামক, রোধ প্রতিরোধ হয়েছে, অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধ হয়েছে। অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধ করা হচ্ছে।

জাতিসংঘে প্রথমবারের মত কমিউনিটিভিত্তিক স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ক একটি রেজুল্যুশন সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে। এতে প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অসামান্য উদ্ভাবন কমিউনিটি ক্লিনিককে বৈশ্বিক স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ মে) জাতিসংঘে এ রেজুল্যুশনটি সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়।

রেজ্যুলেশনটির শিরোনাম ছিলো- কমিউনিটি ভিত্তিক প্রাথমিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থা: সার্বজনীন স্বাস্থ্য পরিষেবা অর্জনের লক্ষ্যে একটি অংশগ্রহণমূলক এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক পদ্ধতি।

Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

ব্যাটারিচালিত রিক্সা ভ্যান মালিক সমিতির নেতাকর্মীদের সাথে চেয়ারম্যান প্রার্থী বিপুলের মতবিনিময়

error: Content is protected !!

শেখ হাসিনার কমিউনিটি ক্লিনিককে স্বীকৃতি জাতিসংঘের

আপডেট টাইম : ০৬:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ মে ২০২৩

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অসামান্য উদ্ভাবন কমিউনিটি ক্লিনিককে জাতিসংঘের ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ হিসেবে স্বীকৃতির কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেছেন, এটা বাংলাদেশের সবার জন্য গর্বের।

বাংলাদেশের প্রাথমিক স্বাস্থ্য নিয়ে জাতিসংঘে পাস হওয়া এক রেজুলেশনে কমিউনিটি ক্লিনিকের বৈশ্বিক স্বীকৃতি উপলক্ষে বুধবার (১৭ মে) বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন মুখ্য সচিব।

তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেন, একটা আনন্দের সংবাদ দিতে চাই। সবাই আনন্দিত হবেন যে প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার উদ্ভাবনী মডেল বা উদ্ভাবনী উদ্যোগ কমিউনিটি ক্লিনিক সেটি জাতিসংঘ কর্তৃক স্বাস্থ্য বিষয়ক একটি রেজ্যুলেশন হয়েছে সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই কমিউনিটি ক্লিনিক ধারণার একটা চুড়ান্ত স্বীকৃতি প্রদান হয়েছে।

মুখ্য সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগের জাতিসংঘের স্বীকৃতি সেটা নিয়ে আমরা বাংলাদেশের সবাই গর্ব করতে পারি। প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবায় বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক মহলে এক অনুকরণীয় রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি পেল এই রেজ্যুলেশনের মাধ্যমে।

কমিউনিটি ক্লিনিককে ‘পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ’ মডেলের একটা অনন্য উদাহরণ হিসেবে মন্তব্য করে তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিক বাংলাদেশে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের সবচেয়ে বড় উদাহরণ। এখানে জমি জনগণ দিচ্ছে, ভবন নির্মাণ করে দিচ্ছে সরকার, সেবাদানে স্বাস্থ্য সেবা কর্মী সেটি সরকার দিচ্ছে। ওষুধ, যন্ত্রপাতিসহ সব উপকরণ সরকার দিচ্ছে।

জাতিসংঘের রেজুলেশনে অন্য দেশগুলোকে বাংলাদেশের কমিউনিটি ক্লিনিক ধারনাকে বাস্তবায়নের পরামর্শ দেয়া হয়েছে জানিয়ে মুখ্য সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই উদ্যোগকে জাতিসংঘ স্বাস্থ্য সেবা ও পরিচর্যা প্রদানের ক্ষেত্রে অংশীদারিত্বের একটা উজ্জল দৃষ্টান্ত বলছে।

তিনি বলেন, জাতিসংঘ প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্ভাবনী চিন্তাকে জাতিসংঘের অন্য সদস্য রাষ্ট্রগুলোকেও অনুসরণের আহ্বান জানিয়েছেন। বলা হয়েছে, জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলো যেন বাংলাদেশের এই কমিউনিটি ক্লিনিক ধারণাকে গ্রহণ করে ও বাস্তবায়ন করেন।

বাংলাদেশে স্বাস্থ্য খাতের উন্নতির পেছনে কমিউনিটি ক্লিনিকের অবদানের কথা উল্লেখ করে তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেন, স্বাস্থ্য সেবার উন্নতি, মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি পাওয়া বা স্বাস্থ্য সেবার ক্ষেত্রে নতুন নতুন সৃষ্টিশীলতার তৈরি হয়েছে সেগুলো সবই কিন্তু কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমেই শুরু।

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া

তিনি আরো বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিকের যে স্বাস্থ্য সেবা এর মধ্যে রয়েছে প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিচর্যা, অন্তঃসত্ত্বা ও প্রসূতির স্বাস্থ্য, নবজাতক ও শিশুদের স্বাস্থ্য, পরিবার পরিকল্পনা সেবা, পুষ্টি সেবা, ইপিআই কার্যক্রম পরিচালনা, সংক্রামক ও অসংক্রামক যাবতীয় রোগের চিকিৎসার জন্য কমিউনিটি ক্লিনিক একটা অসাধারণ প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি অর্জন করেছে।

সবার জন্য স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে পৌঁছাতে কমিউনিটি ক্লিনিক গুরুত্বের কথা উল্লেখ করে মুখ্য সচিব বলেন, বাংলাদেশে আমরা যে বলি ২০৩০ সালের মধ্যে সবার জন্য স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করা হবে, সে ক্ষেত্রে এই কমিউনিটি ক্লিনিক বড় মাইলফলক।

তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রবর্তিত কমিউনিটি ক্লিনিক এর মাধ্যমে বাংলাদেশে মাতৃমৃত্যু হ্রাস পেয়েছে, শিশু মৃত্যু হ্রাস পেয়েছে, আমাদের নবজাতকের যে মৃত্যু সেটি হ্রাস পেয়েছে। সংক্রামক, রোধ প্রতিরোধ হয়েছে, অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধ হয়েছে। অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধ করা হচ্ছে।

জাতিসংঘে প্রথমবারের মত কমিউনিটিভিত্তিক স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ক একটি রেজুল্যুশন সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে। এতে প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অসামান্য উদ্ভাবন কমিউনিটি ক্লিনিককে বৈশ্বিক স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ মে) জাতিসংঘে এ রেজুল্যুশনটি সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়।

রেজ্যুলেশনটির শিরোনাম ছিলো- কমিউনিটি ভিত্তিক প্রাথমিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থা: সার্বজনীন স্বাস্থ্য পরিষেবা অর্জনের লক্ষ্যে একটি অংশগ্রহণমূলক এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক পদ্ধতি।