সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ আগামী ১৩ মে সন্ধ্যা থেকে ১৪ মে রবিবার সকালের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়টি চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের উপর দিয়ে স্থল ভাগে আঘাত করার সর্বোচ্চ সম্ভাবনা আছে বলে পূর্বাভাস পাওয়া গেছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রানালয় থেকে।
মোকাবেলায় জন্য সব দিক থেকে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রানালয় থেকে জানানো হলে ও এখনো চট্টগ্রামের সে সব এলাকায় ইউনিয়ন পরিষদ পর্যায়ে ঘোষনা আসেনি বলে জানান চরনদ্বীপের এলাকাবাসী ।
তারা বলেন এলাকায় অনেক আশ্রয়কেন্দ্র বন্ধ রয়েছে আশ্রয় কেন্দ্রের চাবি নিদৃষ্টব্যাক্তির কাছে রেখে যত সব আশ্রয় কেন্দ্র রয়েছে ফায়ার সার্ভিসসহ তার সবগুলো যেন প্রস্তুত রাখতে নির্দেশ দেওয়ার জন্য ইউনিয়ন পরিষদ পর্যায়ে ঘোষনা দেয়ার জন্য দাবি জানিয়েছেন বোয়াল খালী উপজেলার চরনদ্বীপ একতা যুব নাগরিক উন্নয়ন কমিটির সভাপতি মোঃ নেজাম ও সাধারন সম্পাদক মোঃ নঈম, সাবের আহমদ রিজভী, মোঃ রফিক মেম্বার, সালাহ উদ্দিন মাহমুদসহ নেতৃবৃন্দরা। এক সংক্ষিপ্ত বার্তায় ফায়ার সার্ভিস জানায়, ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় উপকূলবর্তী জেলাগুলোতে তাদের ১৪৯টি ফায়ার স্টেশন প্রস্তুত রয়েছে। সকল কর্মকর্তা–কর্মচারীকে সতর্ক ডিউটিতে রাখা হয়েছে।
আবহাওয়া অফিস জানায়, গতকাল সন্ধ্যা ৬টায় গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্ব্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়া ‘গভীর নিম্নচাপটি’ গতকাল সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৪২০ কিলোমিটার দক্ষিণে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৩৪০ কিলোমিটার দক্ষিণে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৪০০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৪০০ কিলোমিটার দক্ষিণ–দক্ষিণপূর্বে অবস্থান করছিল। এটি আরো ঘণীভূত হয়ে উত্তর–উত্তরপশ্চিম দিকে এবং পরবর্তীতে দিক পরিবর্তন করে ক্রমান্বয়ে উত্তর–উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বুলেটিনে জানানো হয়।
প্রিন্ট