মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার বাবুখালী বাজারে কলেজ মার্কেটের একটি পাটের টিনশেড গোডাউনে আগুন লেগে ৬০০ মন পাট পুড়ে গেছে। গোডাউনে থাকা গম, ধান, কালোজিরা, মটর, ভুট্টা আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এ সময় পাশের কাইয়ুম শেখের মুদি ও তুহিন মৃধার মুরগীর দোকানে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় তিন ব্যবসায়ীর প্রায় অর্ধকোট টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন ব্যবসায়ীরা। বৈদ্যতিক শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে। শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার সময় এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে মহম্মদপুর ফায়ার সার্ভিসের ১ টি ইউনিট দেড় ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ভোর ৪.৫০ মিনিটে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে। ফায়ার সার্ভিস কর্মী, ব্যবসায়ী ও স্থানীয়রা এ কাজে সহযোগিতা করেন।
বাজার ব্যবসায়ী ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার সময় বাবুখালী বাজারে কলেজ মার্কেটে কল্যাণ মহুরীর পাটের টিনশেড গোডাউনে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে তা পাশের কায়ুম শেখ ও তুহিন মৃধার দোকানে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে মহম্মদপুর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ও স্থানীয় লোকজন প্রায় দেড় ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। এতে তিন ব্যবসায়ীর প্রায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে দাবি ক্ষতিগ্রস্থেেদর।
পাট ব্যবসায়ী কল্যাণ মহুরী বলেন, গোডাউনে থাকা পাট, ধান ও গম পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে আমার ২৫ লাখ টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে। মহম্মদপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার মো. মোস্তাইন আলী বলেন, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। আশে পাশে পুকুর বা জলাশয় না থাকায় অনেক দুরের একটি পুকুর থেকে পানি আনতে হয়েছে। এ কারণে ক্ষতির পরিমান কিছুটা বেশি হয়েছে। বাবুখালি আদর্শ ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবু আব্দুল্লাহ হেল বাকী বলেন, খবর পেয়ে সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি কলেজও ব্যপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
প্রিন্ট