ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo বেনাপোলে যুবদলের যৌথ কর্মীসভা Logo পাংশা সরকারী কলেজে জুলাই শহিদ দিবস পালিত Logo কৃষি বিজ্ঞানী ড. আলী আফজাল ফুটবল টুর্নামেন্টে সেমিফাইনালে মহম্মদপুর Logo কুষ্টিয়া চাঁদা তোলা নিয়ে বিএনপি-জামায়াত সংঘর্ষ Logo কিছু কিছু দল বাংলাদেশকে মৃত্যুপুরী বানাচ্ছেঃ -মোমিন মেহেদী Logo মধুখালীতে কাঁচা মরিচের দাম হঠাৎ কম হওয়ায় কৃষকেরা হতাশ Logo কালুখালী থেকে কুষ্টিয়া আদালতে হাজিরা দিতে গিয়ে হামলার শিকার Logo ফরিদপুর সিভিল সার্জন অফিসের উদ্যোগে ‌‌ আলোচনা সভা ‌ দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত Logo কুষ্টিয়া সীমান্তে পৃথক অভিযানে বিদেশি পিস্তল ও শর্টগানসহ আটক ২ Logo জাতীয় নাগরিক পার্টি এনসিপির ‌ প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত 
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনঃধারাবাহিকভাবে বাড়ছে ক্ষুদ্রঋণ বিতরণ

করোনায় বিশ্ব অর্থনীতিতে টালমাটাল অবস্থা তৈরি করে। দেশের ব্যবসা বাণিজ্যেও এর প্রভাব পড়ে। অনেক ক্ষুদ্র ব্যবসা বন্ধ হয়ে যায়। সরকার এই খাতের উদ্যোক্তাদের কয়েক দফায় স্বল্প সুদে প্রণোদনা প্যাকেজের ঋণ দিয়েছে। এতে ধারাবাহিকভাবে ক্ষুদ্রঋণ বিতরণ বাড়ছে। ব্যাংকগুলো ২০২২ সালের ডিসেম্বর প্রান্তিকে খাতটিতে ৬০ হাজার ৬১২ কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করে। তবে নির্ধারিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেনি ব্যাংক খাত।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সাল শেষে ব্যাংক খাতের মাধ্যমে বিতরণকৃত মোট ঋণস্থিতি ছিল ১৩ লাখ ৮৭ হাজার ৭০৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে এসএমই খাতে ঋণ বিতরণ করা হয় ২ লাখ ৮২ হাজার ৮৯৭ কোটি টাকা। যা ব্যাংক খাতের মোট ঋণের ২০ শতাংশ। করোনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।

এ ব্যবসায়ীরা যেন ক্ষতি সামলিয়ে টিকে থাকতে পারেন, সেজন্য সরকার তাদের কয়েক দফায় স্বল্পসুদে প্রণোদনা প্যাকেজের ঋণ দিয়েছে। তারপরও অনেক ছোট ব্যবসায়ী কম বিনিয়োগ করেছেন। করোনার প্রভাব এখন আর নেই, তাই নতুন বিনিয়োগের কারণে ঋণের পরিমাণও বেড়েছে। একইসঙ্গে আমদানি-রপ্তানিও বেড়েছে বলে মনে করছেন খাত সংশ্লিষ্টরা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, এসএমই ঋণের উপখাতে মাইক্রো ক্রেডিটে ৩৩ হাজার ৮৭৯ কোটি, ক্ষুদ্র উপখাতে এক লাখ ২৬ হাজার ৪৩৬ কোটি এবং মাঝারি উপখাতে ৫৫ হাজার ৯৪৬ কোটি টাকা বিতরণ করেছে ব্যাংকগুলো। জানা যায়, এসএমই খাতে দেয়া ঋণ পেয়েছেন ১১ লাখ ২৪ হাজার ১৯৩ জন উদ্যোক্তা।

আলোচ্য সময়ে এসমএই ঋণ বিতরণের স্থিতি ২ লাখ ৮২ হাজার ৮৯৭ কোটি টাকা। ২০২১ সালে এসএমই ঋণের এই স্থিতি ছিল ২ লাখ ৫২ হাজার ৮২ কোটি টাকা। চলতি বছরের ১৬ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংক এসএমই খাতে ঋণ বিতরণ বাড়ানোর এক নির্দেশনায় বলা হয়, ২০২৪ সালে সিএমএসএমই খাতে ঋণ বিতরণের ৫০ শতাংশ দিতে হবে কুটির, অতিক্ষুদ্র ও ক্ষুদ্র উদ্যোগে। আর নারী উদ্যোগে দিতে হবে ১৫ শতাংশ ঋণ। এছাড়া খাতটির মোট ঋণের ৪০ শতাংশ যাবে উৎপাদনশীল খাতে, সেবা খাতে ২৫ শতাংশ ও ব্যবসা খাতে ৩৫ শতাংশ।

এছাড়া এসএমই খাতের উদ্যোক্তাদের কম সুদে ঋণ দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ জন্য চালু করা হয়েছে একাধিক পুনঃঅর্থায়ন তহবিল। আবার এসএমই ঋণে গ্যারান্টি সুবিধাও দিচ্ছে আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।

তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর সময়ে এসএমই খাতে নতুন উদ্যোক্তাদের মধ্যে ৭ হাজার ৭২২ কোটি টাকা ঋণ দেয় ব্যাংকগুলো। পল্লী এলাকার এসএমই প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে বিতরণ করা হয় ১৭ হাজার ৪২২ কোটি টাকার ঋণ। আলোচিত সময়ে জামানতবিহীন ঋণ ৮ হাজার ৮৮৪ কোটি টাকা দেয়া হয়।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

বেনাপোলে যুবদলের যৌথ কর্মীসভা

error: Content is protected !!

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনঃধারাবাহিকভাবে বাড়ছে ক্ষুদ্রঋণ বিতরণ

আপডেট টাইম : ০৯:৩৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ এপ্রিল ২০২৩
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা ডেস্ক :

করোনায় বিশ্ব অর্থনীতিতে টালমাটাল অবস্থা তৈরি করে। দেশের ব্যবসা বাণিজ্যেও এর প্রভাব পড়ে। অনেক ক্ষুদ্র ব্যবসা বন্ধ হয়ে যায়। সরকার এই খাতের উদ্যোক্তাদের কয়েক দফায় স্বল্প সুদে প্রণোদনা প্যাকেজের ঋণ দিয়েছে। এতে ধারাবাহিকভাবে ক্ষুদ্রঋণ বিতরণ বাড়ছে। ব্যাংকগুলো ২০২২ সালের ডিসেম্বর প্রান্তিকে খাতটিতে ৬০ হাজার ৬১২ কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করে। তবে নির্ধারিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেনি ব্যাংক খাত।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সাল শেষে ব্যাংক খাতের মাধ্যমে বিতরণকৃত মোট ঋণস্থিতি ছিল ১৩ লাখ ৮৭ হাজার ৭০৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে এসএমই খাতে ঋণ বিতরণ করা হয় ২ লাখ ৮২ হাজার ৮৯৭ কোটি টাকা। যা ব্যাংক খাতের মোট ঋণের ২০ শতাংশ। করোনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।

এ ব্যবসায়ীরা যেন ক্ষতি সামলিয়ে টিকে থাকতে পারেন, সেজন্য সরকার তাদের কয়েক দফায় স্বল্পসুদে প্রণোদনা প্যাকেজের ঋণ দিয়েছে। তারপরও অনেক ছোট ব্যবসায়ী কম বিনিয়োগ করেছেন। করোনার প্রভাব এখন আর নেই, তাই নতুন বিনিয়োগের কারণে ঋণের পরিমাণও বেড়েছে। একইসঙ্গে আমদানি-রপ্তানিও বেড়েছে বলে মনে করছেন খাত সংশ্লিষ্টরা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, এসএমই ঋণের উপখাতে মাইক্রো ক্রেডিটে ৩৩ হাজার ৮৭৯ কোটি, ক্ষুদ্র উপখাতে এক লাখ ২৬ হাজার ৪৩৬ কোটি এবং মাঝারি উপখাতে ৫৫ হাজার ৯৪৬ কোটি টাকা বিতরণ করেছে ব্যাংকগুলো। জানা যায়, এসএমই খাতে দেয়া ঋণ পেয়েছেন ১১ লাখ ২৪ হাজার ১৯৩ জন উদ্যোক্তা।

আলোচ্য সময়ে এসমএই ঋণ বিতরণের স্থিতি ২ লাখ ৮২ হাজার ৮৯৭ কোটি টাকা। ২০২১ সালে এসএমই ঋণের এই স্থিতি ছিল ২ লাখ ৫২ হাজার ৮২ কোটি টাকা। চলতি বছরের ১৬ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংক এসএমই খাতে ঋণ বিতরণ বাড়ানোর এক নির্দেশনায় বলা হয়, ২০২৪ সালে সিএমএসএমই খাতে ঋণ বিতরণের ৫০ শতাংশ দিতে হবে কুটির, অতিক্ষুদ্র ও ক্ষুদ্র উদ্যোগে। আর নারী উদ্যোগে দিতে হবে ১৫ শতাংশ ঋণ। এছাড়া খাতটির মোট ঋণের ৪০ শতাংশ যাবে উৎপাদনশীল খাতে, সেবা খাতে ২৫ শতাংশ ও ব্যবসা খাতে ৩৫ শতাংশ।

এছাড়া এসএমই খাতের উদ্যোক্তাদের কম সুদে ঋণ দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ জন্য চালু করা হয়েছে একাধিক পুনঃঅর্থায়ন তহবিল। আবার এসএমই ঋণে গ্যারান্টি সুবিধাও দিচ্ছে আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।

তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর সময়ে এসএমই খাতে নতুন উদ্যোক্তাদের মধ্যে ৭ হাজার ৭২২ কোটি টাকা ঋণ দেয় ব্যাংকগুলো। পল্লী এলাকার এসএমই প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে বিতরণ করা হয় ১৭ হাজার ৪২২ কোটি টাকার ঋণ। আলোচিত সময়ে জামানতবিহীন ঋণ ৮ হাজার ৮৮৪ কোটি টাকা দেয়া হয়।


প্রিন্ট