গত ২০ মার্চ (সোমবার) গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ছয়টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এর মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়েছে। পাশপাশি বিপুল ভোটের ব্যবধানে পাঁচ প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে পরাজিত করে কবি ও সাহিত্যিক সফিকুর রহমান চৌধুরী (টুটুল) বড় বিজয় ছিনিয়ে নিয়েছেন। এ নির্বাচনে ২০ নং গোবরা ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান পদে বর্তমান চেয়ারম্যান কবি ও সাহিত্যিক সফিকুর রহমান চৌধুরী (টেলিফোন প্রতীক), ইমরান হোসেন চৌধুরী (মটরসাইকেল প্রতীক), ফয়সাল কবির কদর (আনারস প্রতীক), মুন্সী রফিকুল ইসলাম( চশমা প্রতীক), রিয়াজ মুন্সী প্রিন্স( ঘোড়া প্রতীক) এবং রজনীগন্ধা প্রতীক মুন্সী মইনুদ্দিনসহ মোট ছয়জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
ইউনিয়নটিতে ভোটের দিনে ছোটখাটো বিশৃংখলা ছাড়া তেমন কোন গুরুত্বপূর্ণ অনিয়মের ঘটনা ঘটেনি। সম্পন্ন শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সকাল ৮ টা হতে বিরতিহীন ভাবে ভোট গ্ৰহন শুরু হয়ে বিকাল ৪ টা ৩০ মিনিটে শেষ হয়ে গণনা শুরু হয়। গণনা শেষে ওইদিন সন্ধ্যায় বিপুল ভোটের ব্যবধানে কবি ও সাহিত্যিক সফিকুর রহমান চৌধুরী (টুটুল) কে বেসরকারি ভাবে বিজয়ী ঘোষণা করে রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাচন অফিস।
রিটার্নিং অফিসারের দফতরে হতে প্রকাশিত ফলাফলের তালিকা থেকে জানা যায়, টেলিফোন প্রতীক নিয়ে সফিকুর রহমান চৌধুরী (টুটুল) পেয়েছে ২৮৭০ ভোট, মটর সাইকেল প্রতীক নিয়ে ইমরান হোসেন চৌধুরী পেয়েছে ৭৭৬ ভোট, আনারস প্রতীক নিয়ে ফয়সাল কবির (কদর) পেয়েছে ১৯৪৩ ভোট, চশমা প্রতীক নিয়ে মুন্সী রফিকুল ইসলাম পেয়েছে ৬৯ ভোট, ঘোড়া প্রতীক নিয়ে রিয়াজ মুন্সী প্রিন্স পেয়েছে ২৯ ভোট, এবং রজনীগন্ধা প্রতীক নিয়ে মুন্সী মইনুদ্দিন পেয়েছে ৩৫ ভোট।
|
এতবড় বিজয় পাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান সফিকুর রহমান চৌধুরী (টুটুল) বলেন, আমি বিগত ৬ বছর নিঃস্বার্থ ও নিরলস ভাবে ইউনিয়নবাসীকে সেবা দিয়েছি, তারা ভালোবেসেই আমাকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করেছে, আমি গোবরা ইউনিয়নবাসীর কাছে চিরঋণী।
উল্লেখ্য, এরপূর্বে ২০১৬ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ২০ নং গোবরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন শফিকুর রহমান চৌধুরী।
প্রিন্ট