ঢাকা , শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫, ২৮ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo চাঁপাইনবাবগঞ্জে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন Logo গোমস্তাপুরে অটো গাড়ির ধাক্কায় ১ শিশু নিতহ Logo আইনি প্রক্রিয়া শেষে ছিনতাইকৃত ছাত্রদল নেতাসহ ২ জনকে আদালতে প্রেরণ Logo নগরকান্দায় কাদায় পিচ্ছিল সড়কে মোটরসাইকেল আরোহী নিহত Logo গাজায় ইসরায়লি হামলার প্রতিবাদে ভূরুঙ্গামারী ইসলামি যুব আন্দোলনের বিক্ষোভ মিছিল Logo খোকসায় শান্তিপূর্ণ, সুষ্ঠু সুন্দর নকল মুক্ত পরিবেশে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত Logo রিভার প্রকল্পের তিন দিনের প্রশিক্ষণ কর্মশালার সমাপ্তি Logo উপদেষ্টার নির্দেশনা মানলেন না বিএমডিএ চেয়ারম্যান Logo মধুখালীতে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্রদলের পক্ষ থেকে স্কেল ও কলম উপহার Logo কালুখালীতে নকলমুক্ত পরিবেশে এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

গৃহহীনরা পেলেন আরও ৩৯৩৬৫ ঘর

পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগে গৃহহীনদের মাঝে আরও ৩৯৩৬৫টি ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে। সকল ভূমিহীনদের আবাসন নিশ্চিত করার সরকারি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ঘরগুলো হস্তান্তর করেছেন।

আজ বুধবার (২২ মার্চ) প্রধানন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের চতুর্থ ধাপে এসব বাড়ি হস্তান্তর করেন।

এর আগে প্রথম ধাপে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মধ্যে ৬৩ হাজার ৯৯৯টি, দ্বিতীয় ধাপে ৫৩ হাজার ৩৩০টি এবং তৃতীয় ধাপে ৫৯ হাজার ১৩৩টি ঘর বিতরণ করা হয়েছে।

আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় আরও ৩৯৩৬৫টি বাড়ি বিতরণের ফলে মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২,১৫,৮২৭টি।

প্রধানমন্ত্রী সাতটি জেলা এবং ১৫৯টি উপজেলাকে গৃহহীন ও ভূমিহীন মুক্ত এলাকা হিসেবে ঘোষণা করেছেন। এর ফলে গৃহহীন ও ভূমিহীনমুক্ত জেলার মোট সংখ্যা নয়টি এবং উপজেলার সংখ্যা ২১১টি।

এর আগে তিনি পঞ্চগড় ও মাগুরাকে গৃহহীন-ভূমিহীনমুক্ত জেলা ঘোষণা করেন।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মোহাম্মদ তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া। অনুষ্ঠানে বাড়ির প্রাপকদের পরিবর্তিত জীবনধারার উপর একটি ভিডিও-প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়।

প্রকল্পের আওতায় ভূমিহীন ও গৃহহীনরা দুই শতাংশ জমিতে ভালো মানের টিনশেড আধা-পাকা ঘর পাবে।

পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার নয়াপাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্প, সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার নোয়াগাঁও আশ্রয়ণ প্রকল্প এবং বরিশালের বানারীপাড়ার উত্তরপাড় আশ্রয়ণ প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

জমির মালিকানা স্বামী-স্ত্রী উভয়কে দেওয়া হয় এবং জমির রেজিস্ট্রেশন ও মিউটেশনও তাদের নামে দেওয়া হয়।

সরকার শুধু খাস জমিতে প্রকল্পের বাড়ি নির্মাণই করছে না, বাড়ি নির্মাণের জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্টের কাছ থেকে জমি কেনা হচ্ছে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে গৃহহীনদের পুনর্বাসন কর্মসূচি চালু করেন।

বঙ্গবন্ধুর পদচিহ্ন অনুসরণ করে তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৭ সালে আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে গৃহহীন ও ভূমিহীনদের বাড়িঘর ও জমির মালিকানা দেওয়ার উদ্যোগ নেন।

আশ্রয়ণ প্রকল্পের অধীনে, ১৯৯৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত মোট ৭,৭১,৩০১টি পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। পুনর্বাসিত মানুষের সংখ্যা ৩৮,৫৬,৫০৫ (আনুমানিক একটি পরিবারে পাঁচজন ব্যক্তি হিসাবে)।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে ইতোমধ্যে ৫,৫৪,৫৯৭ পরিবারকে সরাসরি পুনর্বাসন করা হয়েছে এবং ২,১৬,৭০৪ পরিবারকে ভূমি মন্ত্রণালয় এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সরকারি অফিসের বিভিন্ন কর্মসূচির অধীনে পুনর্বাসন করা হয়েছে।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

চাঁপাইনবাবগঞ্জে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন

error: Content is protected !!

গৃহহীনরা পেলেন আরও ৩৯৩৬৫ ঘর

আপডেট টাইম : ০১:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ মার্চ ২০২৩
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা ডেস্ক :

পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগে গৃহহীনদের মাঝে আরও ৩৯৩৬৫টি ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে। সকল ভূমিহীনদের আবাসন নিশ্চিত করার সরকারি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ঘরগুলো হস্তান্তর করেছেন।

আজ বুধবার (২২ মার্চ) প্রধানন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের চতুর্থ ধাপে এসব বাড়ি হস্তান্তর করেন।

এর আগে প্রথম ধাপে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মধ্যে ৬৩ হাজার ৯৯৯টি, দ্বিতীয় ধাপে ৫৩ হাজার ৩৩০টি এবং তৃতীয় ধাপে ৫৯ হাজার ১৩৩টি ঘর বিতরণ করা হয়েছে।

আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় আরও ৩৯৩৬৫টি বাড়ি বিতরণের ফলে মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২,১৫,৮২৭টি।

প্রধানমন্ত্রী সাতটি জেলা এবং ১৫৯টি উপজেলাকে গৃহহীন ও ভূমিহীন মুক্ত এলাকা হিসেবে ঘোষণা করেছেন। এর ফলে গৃহহীন ও ভূমিহীনমুক্ত জেলার মোট সংখ্যা নয়টি এবং উপজেলার সংখ্যা ২১১টি।

এর আগে তিনি পঞ্চগড় ও মাগুরাকে গৃহহীন-ভূমিহীনমুক্ত জেলা ঘোষণা করেন।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মোহাম্মদ তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া। অনুষ্ঠানে বাড়ির প্রাপকদের পরিবর্তিত জীবনধারার উপর একটি ভিডিও-প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়।

প্রকল্পের আওতায় ভূমিহীন ও গৃহহীনরা দুই শতাংশ জমিতে ভালো মানের টিনশেড আধা-পাকা ঘর পাবে।

পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার নয়াপাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্প, সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার নোয়াগাঁও আশ্রয়ণ প্রকল্প এবং বরিশালের বানারীপাড়ার উত্তরপাড় আশ্রয়ণ প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

জমির মালিকানা স্বামী-স্ত্রী উভয়কে দেওয়া হয় এবং জমির রেজিস্ট্রেশন ও মিউটেশনও তাদের নামে দেওয়া হয়।

সরকার শুধু খাস জমিতে প্রকল্পের বাড়ি নির্মাণই করছে না, বাড়ি নির্মাণের জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্টের কাছ থেকে জমি কেনা হচ্ছে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে গৃহহীনদের পুনর্বাসন কর্মসূচি চালু করেন।

বঙ্গবন্ধুর পদচিহ্ন অনুসরণ করে তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৭ সালে আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে গৃহহীন ও ভূমিহীনদের বাড়িঘর ও জমির মালিকানা দেওয়ার উদ্যোগ নেন।

আশ্রয়ণ প্রকল্পের অধীনে, ১৯৯৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত মোট ৭,৭১,৩০১টি পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। পুনর্বাসিত মানুষের সংখ্যা ৩৮,৫৬,৫০৫ (আনুমানিক একটি পরিবারে পাঁচজন ব্যক্তি হিসাবে)।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে ইতোমধ্যে ৫,৫৪,৫৯৭ পরিবারকে সরাসরি পুনর্বাসন করা হয়েছে এবং ২,১৬,৭০৪ পরিবারকে ভূমি মন্ত্রণালয় এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সরকারি অফিসের বিভিন্ন কর্মসূচির অধীনে পুনর্বাসন করা হয়েছে।


প্রিন্ট