বাসায় অসুস্থ বৃদ্ধা মাকে নিয়ে পরিবার সহ থাকেন দুই ভাই। বাসের পাশেই রয়েছে এমএম ছাত্রাবাস। সেখান থেকে ১৯ মার্চ রোববার দিবাগত রাত ৩ টায় অশ্লীল কথাবার্তা ও চিৎকার চেঁচামেচির আওয়াজ শুনে তাদেরকে নিষেধ করা হয়। কয়েকবার নিষেধ করলেও তারা কর্ণপাত না করে বাসার সামনে এসে জোরে জোরে চিৎকার চেঁচামেচি সহ অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে।এক পর্যায়ে তারা দরজায় লাথি মারে এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।ফলে বাড়ির দরজা ও ইলেক্ট্রনিক মিটার ভাংচুর হয়ে যায়।ঘটনার প্রতিবাদে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষে মঙ্গলবার (২১ মার্চ) দুপুরে স্থানীয় একটি রেস্তোরাঁয় সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার রহনপুর পৌরসভার বাগদুয়ারপাড়া নিবাসী ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষে মেজো ছেলে মাহমুদুল হাসান বলেন,সন্ত্রাসীরা অতর্কিত সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে আমাদের বাসার দরজা ও ইলেকট্রিক মিটার ভাঙচুর করেছে।তারা আমাদেরকে উদ্দেশ্য করে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ সহ প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে।
ঘটনাটি ঘটিয়েছে রহনপুর পৌর এলাকার বিশ্বাসপাড়া মহল্লার মাইনুল বিশ্বাসের ছেলে মুক্তাদির বিশ্বাস সহ ১৪/১৫ জন সন্ত্রাসী। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত মাহমুদুল হাসান ও নাজমুল হাসান দুই ভাই বলেন, আমরা নিরাপত্তা হীনতার কারণে গোমস্তাপুর থানায় একটি জিডি করেছি। বাড়ি ও ইলেক্ট্রিক মিটার ভাঙচুরের কারণে আমরা মামলার প্রস্তুতি গ্ৰহন করছি।
এবিষয়ে মুক্তাদির বিশ্বাসের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সেদিন রাতে এমএম ছাত্রাবাসে একটি পিকনিকের আয়োজন ছিলো। স্বাভাবিক কারণেই একটি উচ্চস্বরে কথা হয়।ফলে বাড়ির দিক তারা আমাদের ছেলেদের লক্ষ করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে ছাত্ররা প্রতিবাদ জানাতে তাদের বাসার সামনে যায়। তবে সেখানে কোনো ভাংচুরের ঘটনা ঘটেনি। আর আমিতো ঘটনা স্থলে উপস্থিত ছিলাম না।
প্রিন্ট