পাবনার কাজিরহাট টু আরিচা নৌরুটে ফেরি সার্ভিস চালুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নামফলকে এমপি’র নাম বসানো নিয়ে বিআইডাব্লিউটি’র স্বজনপ্রীতির কারনে ফুঁসে উঠেছে নেতাকর্মি, সমর্থকসহ স্থানীয়রা।
কাজিরহাট টু আরিচা নৌরুটে দু’প্রান্তে বিআইডাব্লিউটি কর্তৃপক্ষ পৃথক দু’টি নামফলক বসিয়েছে উদ্বোধনের জন্য। ওই অনুষ্ঠানে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী প্রধান অতিথি হিসেবে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা ফেরি সার্ভিসের উদ্বোধন করবেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিআইডাব্লিউটি কর্তৃপক্ষ কাজিরহাট ঘাটে উদ্বোধনী নামফলক বসিয়েছেন। সেখানে শুধুমাত্র নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর নাম বসানো হয়েছে। অন্যদিকে আরিচা ঘাটের নামফলকে প্রতিমন্ত্রীর নীচে মানিকগঞ্জ-১ আসনের সাংসদ এ এম নাঈমুর রহমান দূর্জয়ের নাম লেখা হয়েছে।
এক ঘাটে এমপির নাম লেখা হলেও অপর ঘাটে স্থানীয় এমপির নাম না থাকায় ক্ষুব্দ হয়েছেন এমপির অনুসারী নেতাকর্মি, সমর্থকদের পাশাপাশি স্থানীয়রা। তাদের অভিযোগ বিআইডাব্লিউটিএ রহস্যজনক কারনে পাবনা-২ আসনের সংসদ সদস্য আহমেদ ফিরোজ কবিরের নাম নামফলকে দেয়নি।
এ বিষয়ে পাবনা-২ আসনের সংসদ সদস্য আহমেদ ফিরোজ কবির এমপি বলেন, নাম থাকা না থাকা এটা আমার কোন কষ্টের কারন হতে পারে না। আমার আনন্দের বিষয় দীর্ঘদিন পর হলেও ফেরি সার্ভিস চালু হচ্ছে। যা উত্তরবঙ্গের মানুষের জনকল্যাণে সবচেয়ে ভালো উদ্যোগ। এ জন্য তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা, নৌপরিবহন মন্ত্রী ও বিআইডাব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিআইডাব্লিউটিএ’র উপসহকারী প্রকৌশলী শাহ আলম বলেন, কাজিরহাট ঘাটে তিনজন এমপি আমন্ত্রিত। সে কারনে তিনজনের নাম দেয়া সম্ভব হয়নি। আর আরিচাঘাটে একজন এমপি আমন্ত্রিত হওয়ায় তার নাম দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
উদ্বোধনী নামফলকে কোন মন্ত্রীর পরে স্থানীয় সংসদ সদস্যর নাম লেখা হয় এমন প্রশ্ন করা হলে প্রকৌশলী শাহ আলম বলেন, আমাকে যেভাবে দেয়া হয়েছে। আমি সেভাবেই নামফলক বসিয়েছি। এ বেশি জানতে হলে নৌপরিবহন মন্ত্রী ও নৌ মন্ত্রণালয়ের সাথে যোগাযোগের পরামর্শ দেন তিনি।
প্রিন্ট